বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

মৃত্যুর আগে শেষ কথা

রণক ইকরাম

মৃত্যু অমোঘ নিয়তি। এই নিয়তিকে পাল্টানো কোনো মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই মৃত্যুর এই নিয়ম মেনে নিতেই হয়। কিন্তু কখনো কখনো মৃত্যুর পরও মানুষের নাম আলোচিত হয়। কখনো শ্রদ্ধাভরে, কখনো প্রবল বিস্ময়ে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের মৃত্যুর আগের সর্বশেষ কথাগুলো বিস্ময়জাগানিয়া। এমন  কিছু মানুষের মৃত্যুর আগের সর্বশেষ উক্তি নিয়েই এ আয়োজন।

 

সক্রেটিস

আমার মৃত্যুর সময় হয়েছে ... আপনারা বেঁচে থাকবেন। কিন্তু আমি, নাকি আপনারা কে যে ভালো জায়গায় থাকবেন, সেটা ঈশ্বর বাদে কেউ জানেন না।’

তাকে বলা হয় ‘দর্শনের পিতা’। তার দর্শন এই আধুনিক যুগেও দারুণ মানিয়ে যায়। কিন্তু সেই সময়ের সমাজপতিরা এ দর্শন মানতে পারেননি। সে জন্য তরুণ সমাজকে বিপথগামী করার অভিযোগে ৭০ বছর বয়সে তাকে হেমলক খাইয়ে মৃত্যুদণ্ডে বাধ্য করা হয়েছিল। মৃত্যুর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘...এটা আমার কাছে পরিষ্কার যে, এখন মরলে এবং সব যত্নআত্তি থেকে মুক্ত হলে, আমার জন্য ভালো হবে ... কিন্তু এখন যাওয়ার সময় হয়েছে, আমার মৃত্যুর সময় হয়েছে ... আপনারা বেঁচে থাকবেন। কিন্তু আমি, নাকি আপনারা কে যে ভালো জায়গায় থাকবেন, সেটা ঈশ্বর বাদে কেউ জানেন না।’ ইংরেজিতে এই কথাটিকে বলা হয় “I to die, and you to live. Which of these two is better only God knows.”

 

চে গুয়েভারা

আমি জানি তোমরা আমাকে মারতে এসেছ। ভীরুর দল গুলি করো। তোমরা কেবল একটি মানুষকেই মারতে যাচ্ছ!

কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব চে গুয়েভারা একাধারে একজন বিপ্লবী, চিকিত্সক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, সামরিক তত্ত্ববিদ হিসেবে স্বীকৃত। তবে তিনি সারা বিশ্বে লা চে বা কেবলমাত্র চে নামেই পরিচিত। মৃত্যুর পর তার শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন বিপ্লবের প্রতীক এবং এক জনপ্রিয় সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়। বলিভিয়ার সেনাবাহিনী গুয়েভারাকে ৭ অক্টোবর গ্রেফতার করে এবং তার মৃত্যু হয় ৯ অক্টোবর ১৯৬৭ সালে। ১৯৬৭ সালের এই দিনটিতে লা হিগুয়েরা নামক স্থানে নিরস্ত্র অবস্থায় ৯টি গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। মৃত্যুর আগে বিপ্লবী চে বলিভিয়ার সৈন্যদ্যের উদ্দেশে বলেছিলেন “I know you have come to kill me. Shoot coward. You are only going to kill a man.”

 

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

আমি ঈশ্বর এবং মানুষকে বিরক্ত করেছি, কারণ আমার কাজ সেই মানে পৌঁছাতে পারেনি যা হওয়ার কথা ছিল।

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি  ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী। অবশ্য বহুমুখী প্রতিভাধর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির অন্যান্য পরিচয়ও সুবিদিত। তিনি একাধারে ভাস্কর, স্থপতি, সংগীতজ্ঞ, সমরযন্ত্রশিল্পী এবং বিংশ শতাব্দীর বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেপথ্য জনক। তবে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত চিত্রকর্ম মোনালিসার স্রষ্টা হিসেবেই তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। সেপ্টেম্বর ১৫১৩-১৫১৬ পর্যন্ত অধিকাংশ সময় তিনি রোমে দশম পোপ-এর অধীনে কাটিয়েছিলেন। এরপর তিনি রাজা ফ্রান্সিসের অধীনে কাজ শুরু করেন। ২ মে ১৫১৯ সালে লিওনার্দো ক্লস লুইস ভবনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি বলেছেন “ I have offended God and mankind because my work did not reach the quality it should have.”

 

আলবার্ট আইনস্টাইন

আমি তখনই যাব যখন আমি চাই। কৃত্রিমভাবে জীবন বাড়ানো বিস্বাদ। আমি আমার অংশ ভোগ করেছি এখন যাওয়ার সময়। আমাকে যেতে হবে।

নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫৫ সালের ১৭ এপ্রিল আইনস্টাইন  পেটের ধমনিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় পড়েন। এখানে আগে একবার সার্জারি করানো হয়েছিল। তখন ডাক্তারের সার্জারি করার চেষ্টা প্রতিহত করে তিনি বলেন—

‘‘I want to go when I want. It is tasteless to prolong life artificially. I have done my share, it is time to go. I will do it elegantly.’’ পরদিন সকালেই প্রিন্সটন হাসপাতালে ৭৬ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

বেনিতো মুসোলিনি

আমাকে গুলি করো আমার বুকে।

বেনিতো মুসোলিনি  ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ইতালির সর্বাধিনায়ক। ইতালির এই একনায়ক ১৯২২ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত শাসন করেন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত সমগ্র রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ছিলেন। মুসোলিনি দ্ব্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান একনায়ক এডলফ হিটলারের একান্ত বন্ধুতে পরিণত হন আর তাকে প্রভাবিত করেন। মুসোলিনি ১৯৪০ সালে অক্ষশক্তির পক্ষে দ্ব্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করেন। তিন বছর পর মিত্রবাহিনী ইতালি আক্রমণ করে। ১৯৪৫ সালে সুইজারল্যান্ডে পালানোর সময় তিনি কমিউনিস্ট প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং পরে তাকে হত্যা করা হয়। কমিউনিস্ট প্রতিরোধ বাহিনীর কাছে আটক হওয়ার পর মৃত্যুর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘‘Shoot me in my chest.’’

 

ভগৎ সিং

ব্যক্তিকে সহজেই হত্যা করা যায়, কিন্তু আদর্শকে হত্যা করা যায় না। বড় বড় রাজ্য ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে কিন্তু আদর্শ টিকে থেকেছে ঠিকই।

ভারতে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী পাঞ্জাবের বিশিষ্ট মার্ক্সবাদী সমাজকর্মী ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সনডার্সকে হত্যার অপরাধে ভগত্ সিংকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ। মৃত্যুর আগে তিনি তার সেই বিখ্যাত উক্তিটি করেছিলেন যেটি এখনো বিশেষভাবে সমাদৃত—  ‘ব্যক্তিকে সহজেই হত্যা করা যায়, কিন্তু আদর্শকে হত্যা করা যায় না। বড় বড় রাজ্য ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে কিন্তু আদর্শ টিকে থেকেছে ঠিকই’। ভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত্ মানা হয় তাকে। তার এই অবদানের জন্য তাকে শহীদ ভগত্ সিং নামে ডাকা হয়। এই উপমহাদেশে বিশেষত ভারতে তিনি সবচেয়ে বেশি সমাদৃত।

 

কার্ল মার্কস

এগিয়ে যান।  বেরিয়ে যান! শেষ শব্দগুলো সেসব মূর্খদের জন্য যারা বলেনি ‘যথেষ্ট’।

প্রভাবশালী জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী ও মার্কসবাদের প্রবক্তা পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন তার দর্শনের জন্য। জীবিত অবস্থায় সে রকম পরিচিত না হলেও মৃত্যুর পর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বিংশ শতাব্দীতে সমগ্র মানব সভ্যতা মার্কসের তত্ত্ব দ্বারা প্রবলভাবে আলোড়িত হয়।  সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের পতনের পর এ তত্ত্বের জনপ্রিয়তা কমে গেলেও তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে মার্কসবাদ এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৮১ সালে মার্কস এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগ তাকে জীবনের শেষ ১৫ মাস অসুস্থ করে রাখে। এই রোগের কারণেই ১৮৮৩ সালের ১৪ মার্চ তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তার শেষ উক্তি ছিল “Go on, get out! Last words are for fools who haven't said enough!”

 

আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট

কার কাছে আপনি আপনার রাজ্য ছেড়ে যেতে চান? সবচেয়ে সেরা এবং শক্তিশালী ব্যক্তির কাছে।

আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট সমগ্র বিশ্বে দিগ্বিজয়ী বীর হিসেবে সমাদৃত। ৩৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পেল্লা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করে আলেকজান্ডার মাত্র ২০ বছর বয়সে তার পিতা দ্ব্বিতীয় ফিলিপের স্থলাভিষিক্ত হন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি মিসর থেকে উত্তর পশ্চিম ভারত পর্যন্ত প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত হন। আলেকজান্ডার ৩২৩ খ্রিস্টপূর্ব জুন মাসে ব্যাবিলনে দ্ব্বিতীয় নেবুচাদনেজারের প্রাসাদে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল একটি প্রশ্ন। সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। প্রশ্নটি ছিল- “To whom do you leave your kingdom?” জবাবে তার উত্তর ছিল-“To the best and the strongest!”

 

প্রিন্সেস ডায়ানা

ও মাই গড...  ও মাই গড...।

ব্রিটিশ রাজবধূদের মধ্যে ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন কেবল একজন; প্রিন্সেস ডায়ানা। ডায়ানা ও যুবরাজ চার্লসের প্রেম ছিল সেরা রোমাঞ্চকর কাহিনী। তবে খুব বেশি দিন টেকেনি সেই প্রেম। এর মধ্যেই ব্রিটিশ রাজবধূ হিসেবে সমগ্র বিশ্ববাসীর মন জয় করে ফেলেছিলেন ডায়ানা। ১৯৯২ সালের ৯ ডিসেম্বর ডায়ানা ও চার্লস আলাদা থাকার ঘোষণা দেন। পরে মিসরীয় ধনকুবের ডোডি আল ফায়াদের সঙ্গে জড়ান ডায়ানা। কিন্তু খুব বেশি দিন দুনিয়ার বুকে টিকতে পারেননি সুন্দরী ডায়ানা। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ব্রিটেনের রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্সেস ডায়ানা এবং তার বন্ধু মধ্যপ্রাচ্যের ধনকুবের ডোডি আল ফায়াদ ফ্রান্সের প্যারিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন “Oh my god...oh my god on, get out!”

 

সাদ্দাম হোসেন

‘আল্লাহ মহান... আমাদের জাতি দীর্ঘজীবী হোক... আমাদের সংগ্রামী জনগণ দীর্ঘজীবী হোক ... ইরাক দীর্ঘজীবী হোক ... প্যালেস্টাইন দীর্ঘজীবী হোক ... জেহাদ ও মুজাহেদীন দীর্ঘজীবী হোক’।

ইরাকি একনায়ক সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০০৬ সালে। ইরাকের বিখ্যাত একনায়ক আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ১৩ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে ধরা পড়ে বিচারে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। যদিও তিনি বার বারই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন। ফাঁসিতে মৃত্যুর আগে তিনি এক চিঠিতে লিখেছিলেন : ‘‘প্রিয় বিশ্বাসী জনগণ, আমি তোমাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। কিন্তু আমি থাকব পরম করুণাময় আল্লাহর সঙ্গে। তার কাছে যারা আশ্রয় চান তিনি তাদের সাহায্য করেন এবং কখনই কোনো বিশ্বাসীকে নিরাশ করেন না ... আল্লাহ মহান ... আল্লাহ মহান ... আমাদের জাতি দীর্ঘজীবী হোক ... আমাদের সংগ্রামী জনগণ দীর্ঘজীবী হোক ... ইরাক দীর্ঘজীবী হোক ... প্যালেস্টাইন দীর্ঘজীবী হোক ... জেহাদ ও মুজাহেদিন দীর্ঘজীবী হোক।’’

 

মাস্টারদা সূর্যসেন

মৃত্যু আমার দরজায় এসে গিয়েছে... এত সুন্দর, এত কঠিন, এত পূতপবিত্র সময়ে আমি তোমাদের জন্য কী রেখে যাব? একটাই জিনিস। সেটা হচ্ছে আমার স্বপ্ন মুক্ত ভারতের সোনালি স্বপ্ন...

চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্যসেনের মৃত্যু হয় ১৯৩৪ সালে। অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মৃত্যু আমার দরজায় এসে গিয়েছে। অনন্তের দিকে আমার মন উড়ে চলেছে ... এত সুন্দর, এত কঠিন, এত পূতপবিত্র সময়ে আমি তোমাদের জন্য কী রেখে যাব? একটাই জিনিস। সেটা হচ্ছে আমার স্বপ্ন মুক্ত ভারতের সোনালি স্বপ্ন। ১৮ এপ্রিল ১৯৩০ তারিখটি কখনই ভুলে যেও না চট্টগ্রামে পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহের দিনটি ... ভারতের স্বাধীনতার জন্য যেসব দেশপ্রেমিক জীবন দিয়েছেন তাদের নামগুলো তোমার হূদয়ের অন্তঃস্থলে লিখে রেখ।’’

 

প্রথম চার্লস

দুর্নীতিগ্রস্ত স্থান থেকে আমি চলে যাব এমন একটি স্থানে যেখানে দুর্নীতি নেই। যেখানে কোনো অশান্তি হতে পারে না।

ইংল্যান্ডের বিখ্যাত এই রাজা রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে ইংল্যান্ডে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী বিপ্লবী দলের কাছে পরাজিত হন। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে প্রথম চার্লসকে কুঠারাঘাতে শিরচ্ছেদের দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মৃত্যুর আগে প্রথম চার্লস বলেছিলেন, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্ত স্থান থেকে আমি চলে যাব এমন একটি স্থানে যেখানে দুর্নীতি নেই। যেখানে কোনো অশান্তি হতে পারে না।’’

 

ষোড়শ লুই

আমার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের ক্ষমা করে দিচ্ছি।

ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুই-এর মৃত্যু হয় ১৭৯৩ সালে। ফরাসি বিপ্লবের ফলে সমগ্র ইউরোপেই পটপরিবর্তিত হয়েছিল। এই পরিবর্তনের শিকার খোদ ফ্রান্সের রাজা লুই। কারণ তখনকার আমলে রাজারা ব্যাপক ভোগবিলাসে মত্ত ছিলেন। ফ্রান্সের রাজা লুইও একজন বিলাসী ও অত্যাচারী সুবিধাবাদী শাসক ছিলেন। তিনি ফরাসি বিপ্লবের পথে বাধা হয়ে উঠতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত সফল হননি। ফ্রেঞ্চ রিভলিউশনের গিলোটিনে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের ক্ষমা করে দিচ্ছি।’’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর