বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

জিভে আনে জল

জিভে আনে জল

উন্মুক্ত জায়গায় রান্না ধোঁয়া উড়ানো পাও ভাজি

পাও ভাজি [ভারত]

ভারতের মুম্বাইয়ে পাও ভাজির জন্ম। টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকদের জন্য এই খাবারের সূত্রপাত ঘটে। লোহার গরম কড়াইয়ে তেলে ভাজা হয় আলু, টমেটো আর পিয়াজ। সঙ্গে থাকে ১০ থেকে ১৫টি সবজি। আর গোপন ‘পাও ভাজি মসলা’ কেবল মুম্বাই আর চেন্নাইয়ের পাও ভাজিতেই পাওয়া যায়। বার্গারের বন দিয়ে পাও ভাজি খাওয়া হয়। গোটা ভারতবর্ষেই অসংখ্য স্ট্রিট ফুড রয়েছে। সে সংখ্যা শতাধিক। তবে পাও ভাজি না খেলে ভারতের স্ট্রিট ফুড খাওয়া হয়নি বলেই মানা হয়। প্রায় ১৬০ বছর ধরে পাও ভাজি মুম্বাইবাসীর কাছে অদ্বিতীয়।

 

কচ্ছপের চচ্চড়ি [মেক্সিকো]

স্ট্রিট ফুডের স্বর্গরাজ্য মেক্সিকো। ঝাল মসলার অনন্য স্বাদ পেতে চাইলে মেক্সিকো স্ট্রিট ফুডে জিভ লাগানো চাই। মেক্সিকোর অন্যতম জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড তোস্তাদাস। তাকোসের মতো কচ্ছপের নরম মাংস না হলেও তোস্তাদাস রান্নায় পাতলা করে  কচ্ছপের মাংস কাটা হয়। তারপর ভেজে কড়কড়া করা হয়। এর সঙ্গে শিমজাতীয় সবজি বিচি যোগ করা হয়, সালসা বলতে যা বোঝায়। দেওয়া হয় মাখন। সামুদ্রিক খাবারের ব্যতিক্রমী স্বাদ আসে এই চচ্চড়িতে।

 

 

ঝাল কাঁকড়া [সিঙ্গাপুর]

১৯৫০ সাল থেকে ঝাল কাঁকড়ার জনপ্রিয়তার গ্রাফ উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। সিঙ্গাপুরে এই ঝাল কাঁকড়া পথচারীদের প্রথম পছন্দ। অনেক হকার দেখা যায় যারা এই খাবার ফেরি করে থাকেন। এটা শুরু করেছিলেন ইয়াম তিয়ান। তার কাস্টমাররা ঝাল খেতে চেয়েছিলেন বলে কাঁকড়ায় মসলা মেশান তিনি। সেটি এতটাই সুস্বাদু ছিল যে, মানুষ অর্ডার দেওয়ার জন্য লাইন ধরে থাকত। চিলি ক্রাব বা ঝাল কাঁকড়ায় গোটা একটি কাঁকড়া দেওয়া হয়। সঙ্গে টমেটো সস, ডিম এবং অবশ্যই মেক্সিকান মরিচ।

 

 

 

আংটি রুটি [তুরস্ক]

ভারতের পর স্ট্রিট ফুডের জন্য সমৃদ্ধ তুর্কি অঞ্চল। তুর্কিজুড়ে নানারকম পথের খাবার দেখা যায়। এগুলো যেমন সুস্বাদু তেমনি বহুকাল ধরেই বংশপরম্পরায় তৈরি হয়ে আসছে। সিমিত ব্রেড এক ধরনের রুটি। আমাদের দেশের নান রুটির আদলে হলেও এটি জিলাপির মতো পেঁচানো, অনেকটা আংটির মতো। তুর্কির এই আংটি রুটির বিশেষত্ব হলো— ফেরিওয়ালারা মাথায় করে এই রুটি শহরে, মহল্লার অলি-গলিতে ফেরি করেন। তুর্কিশরা সিমিত রুটি, সবজি, মাংস ও চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকেন।

 

 

 

 

লোভনীয় ভাজাপোড়া [বাংলাদেশ]

দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ভারত ও বাংলাদেশেই স্ট্রিট ফুডের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে সারাদিনই রাস্তার ধারে ভাজাপোড়া মেলে। শিঙ্গাড়া, সমুচা থেকে শুরু করে পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি সব খানেই পাওয়া যায়। এ ছাড়া মানুষ হাত বাড়ায় ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা, গ্রিল চিকেন, তন্দুরি, কাবাব, বট, ছোলা, নুডলসসহ অসংখ্য খাবারের দিকে। পথের ধারে মেলে বিভিন্ন ফল ও কাসুন্দি। বিভিন্ন ফলের আচারও এ দেশে জনপ্রিয়। আর পাওয়া যায় পিঠা ও কেক। তেলেভাজা ও মসলাযুক্ত খাবার এখানে চলে খুব।

 

 

সুস্বাদু জায়রো [মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]

নিউইয়র্ক স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত। জায়রো নিউইয়র্কের প্রথম সারির স্ট্রিট ফুড। জায়রোকে বাদ দিয়ে নিউইয়র্কের স্ট্রিট ফুডের কথা ভাবাই যায় না। এর দাম ৬ থেকে ৯ ডলারের মধ্যে। জায়রো এক ধরনের গ্রিক খাবার। এটি মূলত মাংসের স্যান্ডউইচ। মাংস ছাড়াও পিয়াজ, টমেটো, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও টাজাটকি সস দিয়ে স্যান্ডউইচটি মোড়ানো হয়। জায়রো গরম গরম পরিবেশন করা হয়। সঙ্গে থাকে সালাদ, মাস্টার্ড ও কেচাপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর