রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

মাদার তেরেসার কথা

তানভীর আহমেদ

মাদার তেরেসার কথা

ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বজয় করেছেন মাদার তেরেসা। মায়ের ভালোবাসা আর মমতায় আর্ত, দরিদ্র ও দুস্থদের আগলে রেখেছেন সারা জীবন। বিশ্বের প্রতিটি কোনায় আর্তের সেবায় ছুটে গেছেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই মনস্থির করেছিলেন— মানুষের সেবাই ব্রত। ঘর ছেড়ে সন্ন্যাসী হলেন। ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে নেমে পড়লেন আর্তের সেবায়। শুরু করেছিলেন কলকাতার বস্তিবাসীদের খাবার, আশ্রয় ও রোগীর সেবা দিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৫০ সালে কলকাতায় তিনি মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি সেবাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা দিয়ে গেছেন...

তাকে বলা হয় বিশ্বমাতা। মায়ের মমতা দিয়ে বিশ্ববাসীকে আগলে রাখতে চেয়েছেন। পৃথিবীবাসী ছিল তার কাছে সন্তানের মতো। আর্ত, দরিদ্র ও দুস্থদের কাছে সেবা আর ভালোবাসা নিয়ে ছুটে যেতেন তিনি। বিশ্বের প্রতিটি আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা দুঃখী মানুষগুলোকে মায়ের ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন তিনি। শিশুদের কাছে তিনি ছিলেন আনন্দের ফোয়ারা। মানুষকে ভালোবেসে তিনি বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন— ভালোবাসার চেয়ে সহজ ও সার্বজনীন ভাষা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। তার নাম মাদার তেরেসা। মাদার তেরেসা বলেছেন, পৃথিবীবাসীর গুলি আর বোমার দরকার নেই। দরকার ভালোবাসার।

মাদার তেরেসা ভালোবাসাই বিলিয়ে গেছেন। তার জীবন কেটেছে মানুষের কাছে ভালোবাসা পৌঁছে দিয়ে। তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসার স্রোতে যাদের বুক ভিজেছে তাদের কাছে তিনি ‘মা’ হয়ে উঠেছেন। বিশ্ববাসী তাই তেরেসাকে ‘মাদার তেরেসা’ বলেই তৃপ্তি পায়। আলবেনীয় বংশোদ্ভূত মাদার তেরেসার জন্ম মেসিডোনিয়ার স্কোপিয়েতে। তিনি ছিলেন নিকোলা ও দ্রানা বয়াজু দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান। বাবা ছিলেন আলবেনীয় রাজনীতির একজন সক্রিয় কর্মী। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান। আকস্মিক এ বিপর্যয়ের ফলে তেরেসার মা ভীষণ মুষড়ে পড়েন। জীবনের এ সংগ্রাম থেকে দারিদ্র্য আর প্রতিকূলতাকে সাহস ও উদ্দীপনার সঙ্গে গ্রহণ করার তত্পরতা আবিষ্কার করেন মাদার তেরেসা। বাবার মৃত্যুর পর মা তাকে ক্যাথলিক আদর্শে লালন-পালন করেন। শৈশবেই তেরেসা মিশনারিদের জীবন ও কাজকর্মের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি ধর্মীয় জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ১৮ বছর বয়সে ঘর ছেড়ে সন্ন্যাস জীবন শুরু করেন। প্রথমে তেরেসা ও তার সঙ্গিনীকে পাঠানো হয় আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে। তাদের সন্ন্যাস জীবনের প্রশিক্ষণ এবং ইংরেজি শিক্ষার জন্য। প্রশিক্ষণ পর্বের প্রায় ৬ সপ্তাহ শেষে ১৯২৮ সালের পয়লা ডিসেম্বর দুই সন্ন্যাসিনী সুদূর ভারতবর্ষের উদ্দেশে সমুদ্রপথে পাড়ি দিলেন। ১৯২৯ সালের ৬ জানুয়ারি তারা কলকাতায় পৌঁছলেন। এরও প্রায় চার মাস পর ১৯২৯ সালের ২৩ মে তার পূর্ব নাম অ্যাগনেস থেকে রাখা হলো ‘তেরেসা’। তেরেসা ছিল মূলত লিসিউ কনভেন্টের জনৈক ফরাসি কারমেলাইট সন্ন্যাসিনীর নাম। ইনি খুব অল্প বয়সে মারা গিয়েছিলেন এবং এই শিক্ষা দিয়েছিলেন যে, নিজেকে হাসি-খুশি ও প্রসন্ন রাখলে নিতান্ত সাধারণ বা একঘেয়ে কাজের মাধ্যমেও সৃষ্টিকর্তার সেবা করা যায়। তিনি এর সংক্ষিপ্ত নাম দিয়েছিলেন সংক্ষিপ্ত পথ বা ‘দি লিটিল ওয়ে’। ১৯৩১ সালের ২৪ মে সর্ব প্রথম দারিদ্র্য, বাধ্যতা ও সংযমের সাময়িক সংকল্প গ্রহণ করেন  তেরেসা। সিস্টার তেরেসার নতুন প্রশিক্ষণ শুরু হলে তাকে হিমালয়ের কোলের ছোট্ট শহর দার্জিলিংয়ে পাঠানো হয়। ১৯৩৭ সালের ১৪ মে পূর্ব কলকাতায় একটি  লোরেটো কনভেন্ট স্কুলে পড়ানোর সময় তিনি চূড়ান্ত শপথ গ্রহণ করেন। স্কুলে পড়াতে তার ভালো লাগলেও কলকাতার দরিদ্র মানুষের দুঃখ-কষ্টে তিনি উত্তরোত্তর উদ্বিগ্ন হতে লাগলেন। তিনি সম্পূর্ণভাবে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করার সংকল্পে লোরেটো স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিলেন। তিনি যখন লোরেটো স্কুলের চাকরি ছেড়ে দেন তখন তার হাতে ছিল মাত্র পাঁচ টাকা। এ রকম নিঃস্ব অবস্থাতেই তিনি আশ্রয় নিলেন শিয়ালদহ  রেলস্টেশন-সংলগ্ন এক পুরনো ভাঙা বাড়িতে। কলকাতার অলিগলি আর বস্তিতে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। ১৯৪৮ সালে দরিদ্রের মাঝে মিশনারি কাজ শুরু করেন। প্রথাগত লোরেটো অভ্যাস ত্যাগ করেন। পোশাক হিসেবে পরিধান করেন নীল পাড়ের একটি সাধারণ সাদা সুতির বস্ত্র। এ সময়ই ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করে বস্তি এলাকায় কাজ শুরু করেন। প্রথমে একটি ছোট স্কুল স্থাপনের মাধ্যমে শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে ক্ষুধার্ত ও নিঃস্বদের ডাকে সাড়া দিতে শুরু করেন। মাত্র ১২ জন সদস্য নিয়ে ১৯৫০ সালের ৭ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা করেন ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’। যার শাখা বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে আছে। ১৯৫২ সালে এ চ্যারিটির অধীনেই গড়ে ওঠে ‘নির্মল হৃদয়’, কুষ্ঠ রোগীদের জন্য ‘শান্তিনগর’। ১৯৫৫ সালে মাদার তেরেসা স্থাপন করেন ‘নির্মল শিশুভবন’। ১৯৬৩ সালে গড়ে তোলা হয় ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’-এর ব্রাদার শাখা। মাত্র ১২ জন সদস্য নিয়ে যে চ্যারিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল, সময়ের ব্যবধানে তা এখন কয়েক হাজারে পৌঁছেছে। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের দুস্থ মানুষের সেবা করার জন্য ভারতের বাইরে প্রথমবারের মতো ১৯৬৫ সালে ভেনিজুয়েলায় মিশনারি অব চ্যারিটির শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৮ সালে রোম, তানজানিয়া এবং অস্ট্রিয়াতে শাখা খোলা হয়। ১৯৭০-এর দশকে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েক ডজন দেশে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০-এর দশকের মধ্যেই সমাজসেবী এবং অনাথ ও আতুরজনের বন্ধু হিসেবে তার খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৯ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি তার সেবাকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার ও ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ লাভ করেন। বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও একাধিক রাষ্ট্রের সরকার তার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আর্তমানবতার প্রতীক মাদার তেরেসা সারাটা জীবন কাজের মাঝে ডুবে ছিলেন।

অতিরিক্ত পরিশ্রম আর বয়সের চাপে এক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ১৯৮৩ সালে পোপ জন পল-২ এর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে রোম সফরের সময় মাদার তেরেসার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়। ১৯৮৯ সালে আবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার দেহে কৃত্রিম পেসমেকার স্থাপন করা হয়। ১৯৯১ সালে মেক্সিকোতে থাকার সময় নিউমোনিয়া হওয়ায় হৃদরোগের আরও অবনতি ঘটে। ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে পড়ে গিয়ে তার কলার বোন ভেঙে যায়। আগস্টে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন।

১৯৯৭ সালের ১৩ মার্চ মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রধানের পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়ান। ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ এই মহীয়সী নারী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বিশ্ববাসী তাকে মায়ের শ্রদ্ধায় স্মরণ করে।

 

মানবপ্রেমে কেটেছে যার জীবন

যার হাতে ছিল মাত্র পাঁচ টাকা, সেই তেরেসার মিশনারিজ অব চ্যারিটি প্রতিদিনই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সেবাকাজের জন্য খরচ করে ১২ লাখ টাকা। তিনি বিভিন্ন লঙ্গরখানা গড়ে তুলেছিলেন সেগুলোতে প্রতিদিন আহার করে ৬০ হাজার নিরন্ন মানুষ।

মাদার তেরেসার পুরো জীবনটাই কেটেছে আর্তের সেবায়। বিশ্বজুড়ে ছুটে চলেছেন এই সেবাব্রত নিয়ে। ১৯৫০ সালে শুরু হয় তার ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটির কাজ। কলকাতা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় আরও বেশ কয়েকটি সেবাশ্রম। কলকাতার জগদীশচন্দ্র বসু রোডেই অবস্থিত তেরেসার মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রধান কার্যালয়। এরপর ১৯৫২ সালে মাদার তেরেসা  মুমূর্ষুদের জন্য প্রথম আশ্রয় ও সেবাকেন্দ্র গড়ে তোলেন। এটি ছিল দরিদ্র্যদের জন্য নির্মিত দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র। পরবর্তীতে এই কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘নির্মল হৃদয়।’ ১৯৫৮ সালে টিটাগড় রেললাইনের ধারে প্রতিষ্ঠা করেন কুষ্ঠ আশ্রম ‘গান্ধীজী প্রেমনিবাস’। এ ছাড়া ‘পোপ জন শান্তি পুরস্কার’ স্বরূপ তিনি যে টাকা পেয়েছিলেন সেটা দিয়ে আসানসোলের কাছে প্রতিষ্ঠা করেন কুষ্ঠরোগীদের জন্য শান্তিনগর নামের একটি শহর। তার সেবার দুয়ার খুলে উঠান ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।  পৃথিবীর সব মহাদেশেই তেরেসা পৌঁছেছেন। কে জানত, লরেটো স্কুল ছেড়ে আসার সময় যার হাতে ছিল মাত্র পাঁচ টাকা, সেই তেরেসার মিশনারিজ অব চ্যারিটি প্রতিদিনই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সেবাকাজের জন্য খরচ করে ১২ লাখ টাকা। তিনি বিভিন্ন লঙ্গরখানা গড়ে তুলেছিলেন। সেগুলোতে প্রতিদিন আহার করে ৬০ হাজার নিরন্ন মানুষ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে ঘুরে ঘুরে দিন-রাত তিনি নিরলসভাবে সেবা করে  গেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন।

 

বিশ্বজুড়ে তেরেসার পদচিহ্ন

বিশ্ববাসী ছিল তেরেসার সন্তানের মতো। যেখানেই আর্ত ও দুস্থের অসহায় সাহায্য প্রার্থনা সেখানেই সেবা নিয়ে ছুটে গেছেন তেরেসা। ১৯৮২ সালে বৈরুত অবরোধের চূড়ান্ত প্রতিকূল সময়ে মাদার তেরেসা যুদ্ধের একেবারে ফ্রন্ট লাইনের হাসপাতালে আটকেপড়া ৩৭টি শিশুকে উদ্ধার করেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ফিলিস্তিনি গেরিলাদের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি ঘটিয়ে পরিবেশ কিছুটা অনুকূলে এনেছিলেন। এই সুযোগেই রেড ক্রসের সহায়তায় যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে যান। বিধ্বস্ত হাসপাতালগুলো থেকে কম বয়সের রোগীদের সরিয়ে আনেন। ১৯৮০-এর দশকে ইউরোপের কিছু অংশে মাদার তেরেসা মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কাজ পূর্ব ইউরোপ পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। কয়েক ডজন প্রকল্পের মাধ্যমে তার কাজ শুরু হয়েছিল। এ সময় গর্ভপাত এবং বিবাহবিচ্ছেদ-এর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের কারণে অনেকে তার সমালোচনা করেন। কিন্তু তেরেসা পিছু হটেননি। মাদার তেরেসা ইথিওপিয়ার ক্ষুধার্তদের কাছে যেতেন, ভ্রমণ করতেন চেরনোবিল বিকিরণে আক্রান্ত অঞ্চলে। আমেরিকার ভূমিকম্পে আক্রান্তদের মাঝে সেবা পৌঁছে দিতেন। ১৯৯১ সালে মাদার তেরেসা প্রথমবারের মতো মাতৃভূমি তথা আলবেনিয়াতে ফিরে আসেন। এ দেশের তিরানা শহরে একটি ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি ব্রাদার্স হোম’ স্থাপন করেন।

 

এক নজরে

প্রকৃত নাম : আনিয়েজ গঞ্জে বয়াজিউ। তবে তিনি বিশ্ববাসীর কাছে ‘মাদার তেরেসা’ নামে পরিচিত।

তার জন্ম : ২৬ আগস্ট ১৯১০ ইউস্কুপ, অটোম্যান সাম্রাজ্য (বর্তমানে স্কোপিয়ে, ম্যাসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্র)

জাতীয়তা : ভারতীয়

বংশোদ্ভূত : আলবেনিয়ান

নাগরিকত্ব : ভারত (১৯৪৭-১৯৯৭)

ধর্ম : ক্যাথলিক চার্চ

পেশা : ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী। সমাজসেবী।

যে জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত : বিশ্বব্যাপী মানবতার সেবায় ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’-এর প্রতিষ্ঠাতা। আর্তদের সেবা।

পুরস্কার : নোবেল শান্তি পুরস্কার (১৯৭৯), ভারতরত্ন (১৯৮০), প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (১৯৮৫), বালজান পুরস্কার (১৯৭৮)। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় তাকে সম্মান জানানো হয়েছে।

মৃত্যু : ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭, কলকাতা, ভারত।

 

বাণীতে মানবপ্রেম

♦ ভালোবাসা নিয়ে সর্বত্র ছুটে যাও। ভালোবাসা না বিলিয়ে কোনো জায়গা থেকে ফিরে এসো না।

♦ যদি তুমি মানুষকে বিচার করতে যাও তাহলে ভালোবাসার সময় পাবে না।

♦ এ জীবনে আমরা সুমহান কিছু করতে পারব না। কিন্তু অল্প করে হলেও মানুষকে মহানভাবে ভালোবাসতে পারব।

♦ আমাদের মধ্যে সবাই সব বড় কাজগুলো করতে পারবে তা নয়।  কিন্তু আমরা অনেক ছোট কাজগুলো করতে পারি আমাদের অনেক বেশি ভালোবাসা দিয়ে।

♦ যদি তুমি একশ মানুষকে খাওয়াতে না পার তাহলে একজনকে খাওয়াও।

♦ যতক্ষণ পর্যন্ত নিঃস্বার্থভাবে কাউকে সাহায্য না করেছ ততক্ষণ পর্যন্ত জীবনে কিছুই করতে পারনি।

♦ ছোট বিষয়ে বিশ্বস্ত হও কারণ এর ওপরই তোমার শক্তি নির্ভর করে।

♦ আসুন, আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করি—

প্রভু, আমাদের যোগ্য কর, যেন আমরা পৃথিবীতে যেসব মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে ক্ষুধার মধ্যে জীবনযাপন করেন, মৃত্যুমুখে পতিত হন, তাদের সেবা করতে পারি।

♦ কেবল সেবা নয়, মানুষকে দাও তোমার হৃদয়। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ।

♦ আনন্দই প্রার্থনা, আনন্দই শক্তি, আনন্দই ভালোবাসা।

♦ হৃদয়কে স্পর্শ করতে চায় নীরবতা। কলরবের আড়ালে নীরবেই পৌঁছাতে হয় আর্তের কাছে।

♦ তুমি যখন কারও সঙ্গে দেখা কর, তখন হাসিমুখ নিয়েই তার সামনে যাও। কেননা হাস্যোজ্জ্বল মুখ হলো ভালোবাসার শুরু।

♦  তুমি দৃশ্যমান মানুষকে যদি ভালোবাসতে না পার তবে অদৃশ্য ঈশ্বরকে কী করে ভালোবাসবে?

 

মায়ের মমতা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর