বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ড্রপ আউট সেলিব্রেটি

ড্রপ আউট সেলিব্রেটি

স্টিভ জবস ও বিল গেটস। কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করতে পারেননি। কিন্তু তাদের হাত ধরেই একদিন প্রযুক্তি বিশ্বের চেহারাটা বদলে যায়।

জ্ঞানের দুয়ার খুলতে পড়াশোনার বিকল্প নেই। মনে আলো জ্বালতেও চাই শিক্ষকের সংস্পর্শ। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও আছে। পড়াশোনা শেষ করতে না পারলেও কিছু মানুষ মেধা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে পৃথিবীর চেহারাই বদলে দিয়েছেন। ড্রপ আউট হয়েও সেলিব্রেটি হয়েছেন। এমন কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির বিষয়ে জানাচ্ছেন—  তানিয়া তুষ্টি

 

হেনরি ফোর্ড

হেনরি ফোর্ড। ১৯০৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফোর্ড মোটর কোম্পানি’। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটি মডেল টি মোটরগাড়ি উদ্ভাবন করে আমেরিকার শিল্প ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনে। এ ছাড়াও একজন বহুমুখী উদ্ভাবক এবং ১৬১টি ইউএস পেটেন্টের অধিকারী ছিলেন হেনরি ফোর্ড। পৃথিবীর প্রথম বিলিয়নিয়ার যিনি শিল্প বিপ্লবের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। তাকে সস্তা পণ্যের বহু উৎপাদনশীলতার জনকও বলা হয়ে থাকে। ফোর্ড ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ডিলারশিপ ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। হেনরি ফোর্ডের বর্তমান নিট সম্পদের পরিমাণ ১৯৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু তিনি পড়াশোনায় খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি। ফোর্ড লেখাপড়া করেছেন মাত্র ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত।

 

শচীন টেন্ডুলকার

ভারতে ক্রিকেটের দেবতা হিসেবে খ্যাত শচীন টেন্ডুলকার। ক্লাস টেন পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। খেলার মাঠে তার বিস্ময়কর দক্ষতার কাছে এই অযোগ্যতা কোনো বিষয়ই ছিল না। এখনো ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চমানের ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। মাত্র ১৬া বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয়। এরপর প্রায় ২৪ বছর ধরে শচীন আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের হয়ে খেলেন। টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় সর্বোচ্চসংখ্যক শতকের অধিকারী হন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ও টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ মিলিয়ে প্রথম শততম শতক করেন। ২০১৩ সালে তিনি সব ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেট খেলায় প্রথম ভারতীয় হিসেবে মোট ৫০ হাজার রানের মালিক হন।

 

বিল গেটস

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট বলা যেতে পারে বিল গেটসকে। ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন বিল। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি ১৯৭৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ১৯৭৭ সালে গেটস বিশ্বের প্রথম পারসোনাল কম্পিউটার ‘এমআইটিএস অলটেয়ার’ নিয়ে কাজ শুরু করেন। এর মাধ্যমেই মেক্সিকোতে বিল ও পল তাদের প্রথম সফটওয়্যার কোম্পানির কাজ শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে মাইক্রোসফটকে দুজন মিলে প্রথমবারের মতো সিয়াটলে আনেন। ১৯৮৫ সালে মাইক্রোসফট তাদের উইন্ডোজ তৈরি করে এবং ১৯৮৬ সালে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। ১৯৮৭ থেকেই ৩১ বছর বয়সী বিল গেটস পরিণত হন একজন বিলিয়নিয়ারে। বর্তমানে তার নিট সম্পদ ৭৮.৮ বিলিয়ন ডলার।

 

স্টিভ জবস

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক স্টিভ জবসকে পারসোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎও বলা হয়। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রগতিশীল, প্রভাবশালী, প্রতিভাবান আর সফল প্রযুক্তিক ভাবনার অধিকারী হিসেবেও পরিচিত। তিনি ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। স্টিভ অ্যাপল ইন করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। স্টিভ পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার সম্পদ ৮.৩ বিলিয়ন ডলার। এত এত অর্জনকারী স্টিভ জবস হয়তো এক জায়গাতেই বিফল হয়েছেন। ২১ বছর বয়সে কলেজের পড়ালেখার খরচ চালাতে না পারায় নাম কাটা যায়। বড় ডিগ্রি হয়তো অর্জন করা তার ভাগ্যে জোটেনি, তবে এত অর্জনের শিরোমণি স্টিভ জবসকে ২০০৫ সালে স্ট্যানফোডর্ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়।

 

মার্ক জুকারবার্গ

আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ। এর চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা বললে পরিচয়টি আরও পরিষ্কার হয়। বিশেষ করে তরুণ সমাজের কাছে। বর্তমানে তিনি ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রেসিডেন্ট। জুকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে আবাসিক হলে বন্ধুদের নিয়ে ২০০৪ সালে তৈরি করেন ফেসবুক। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট হন তিনি। এই ড্রপ আউট ছেলের আবিষ্কার ফেসবুক এখন বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। জুকারবার্গ ২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে সমাবর্তন বক্তব্য দেন। এ ছাড়াও মাত্র ২৬ বছর বয়সেই তিনি টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বছরের সেরা ব্যক্তিত্বরূপে নির্বাচিত হন। বর্তমানে মার্ক জুকারবার্গ ৩৩.৭ বিলিয়ন ডলারের মালিক।

 

মুকেশ আম্বানি

ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ব্যবসা জগতের সেরাগুলোর একটি। এই গ্রুপের মালিক মুকেশ আম্বানি ব্যবসাকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। ব্যবসায়িক উন্নতির সঙ্গে যোগ হয়েছে অর্থ-বিত্ত-সম্মান-মর্যাদা। বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় নিজের জায়গাটা বেশ শক্ত করেই ধরে রেখেছেন তিনি। আর ভারতীয় হিসেবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখন তিনিই। তার মোট সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ২১.২ বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় রুপিতে ১.২৯ লাখ কোটি। স্কুল জীবনেই অনন্য মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। বিশেষ করে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ডে এমবিএ ভর্তি হন। অথচ হঠাৎ করেই এমবিএ প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হয়ে যান। লেখাপড়া শেষ না করেও জীবনের এই অর্জন কম কিসে?

 

 

ব্র্যাড পিট

যুক্তরাষ্ট্রের ছোট্ট একটি শহর স্প্রিংফিল্ড। শহরের হাইস্কুুলের সবচেয়ে পরিচিত মুখ ছিল কিশোর পিট। গলফ থেকে শুরু করে স্কুুলের টেনিস দলের দাপুটে সদস্য ছিলেন তিনি। খেলাধুলা আর পড়াশোনা দুটোই চলত সমান তালে। এমনকি স্কুলের গানের অনুষ্ঠানেও তার ঝলক দেখা মিলত। সেই কিশোর হাইস্কুুলের পড়াশোনা শেষে ভর্তি হয় মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাংবাদিকতা ও বিজ্ঞাপন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে বুঝল, পড়ালেখার দিকে তার একটুও মন নেই। সব মনোযোগ যেন সিনেমার প্রতি। মনের কথাই শুনলেন পিট। পড়ালেখা ছেড়ে নাম লেখালেন অভিনয়ের ক্লাসে। মিসৌরি ছেড়ে লস অ্যাঞ্জেলেস ভাগলেন কাজের জন্য। বছর খানেকের মধ্যে টেলিভিশনে ডাক পড়ে আজকের হলিউড তারকা ব্র্যাড পিটের।

 

কপিল দেব

ইন্ডিয়ার সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে কপিল দেব জনপ্রিয়। একজন ভালো কোচ হিসেবেও তার পরিচিতি কম নয়। তিনি ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৩১টি টেস্ট ও ২২৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ভারত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করে তার অধিনায়কত্বে। ২০০২ সালে উইজডেন কর্তৃক ‘শতাব্দীর সেরা ভারতীয় ক্রিকেটারে’ মনোনীত হন। গ্যারি সোবার্স, রিচার্ড হ্যাডলি এবং ইমরান খানের সঙ্গে তাকেও ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বলা হয়। বর্তমানে তিনি একজন ধারাভাষ্যকার। কিন্তু তার যোগ্যতার থলিতে একটি দুর্নামের সংযুক্তি আছে। তিনি তার কলেজ জীবন শেষ করেননি।

 

আমির খান

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম তীক্ষ বুদ্ধিসম্পন্ন অভিনেতা আমির খান। তার প্রমাণ মেলে প্রতি বছর উপহার দেওয়া সিনেমাগুলো থেকে। আমির খানের অসংখ্য সিনেমার মধ্যে থ্রি ইডিয়ট, গজনি, পিকে, দঙ্গল হাল আমলের অন্যতম সাড়া জাগানো ছবি। এসব সিনেমায় সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলার ভঙ্গিই নির্দেশ করে আমির খানের পারফেকশনিজম। অথচ আমির হতে পারেন কলেজ পালানোদের মধ্য থেকে সফল মানুষের একজন। তিনি মাত্র ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তখন থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার তুমুল আগ্রহ আজ এই পর্যায়ে এনেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্য লেখক এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। হিন্দি চলচ্চিত্রে সফল কর্মজীবনের মাধ্যমে আমির খান ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।

 

সালমান খান

বলিউডের ব্যাড ভাই এবং সবচেয়ে বেশি উৎসাহ প্রদানকারী অভিনেতা সালমান খান। তিনিও কিন্তু কলেজে যাননি। সাল্লু সাহেব এবং তার ভাই নিজের জীবনের প্রয়োজনে শুধু স্কুল শেষ করাকে বেছে নিয়েছেন। তারপর তারা তাদের আগ্রহের জায়গাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত প্রায় ৮০টির বেশি হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সালমান খান, যিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন বিবি হো তো এহসি চলচ্চিত্রের একটি গৌণ ভূমিকায়  অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৮৮ সালে প্রখ্যাত অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে অবশ্য তার অভিনীত প্রথম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র মেনে পেআর কিয়া। এ জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ নবাগতার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর নব্বই এর দশক থেকে এ পর্যন্ত তিনি বলিউডে বেশ কিছু ব্যবসা সফল হিন্দি ছবি উপহার দেন।

 

ঐশ্বরিয়া রায়

ঐশ্বরিয়া রায় স্কুুল শেষ করেন মুম্বাই থেকে। কিন্তু আর্কিটেকচারাল কলেজের মাঝপথে লেখাপড়া থামিয়ে দেন। ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খ্যাতি অর্জনের পর আবার লেখাপড়া করেন। অভিনয় জগতে পদার্পণ করার আগে এই অভিনেত্রী মডেল হিসেবে কাজ করতেন। ঐশ্বরিয়া বেশকিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রসহ চল্লিশটিরও বেশি হিন্দি, ইংরেজি, তামিল এবং বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। গণমাধ্যমে প্রায়ই বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী মহিলাদের আসরে তার ডাক পড়ে তার। মণি রত্নমের তামিল ছবি ইরুবর (১৯৯৭) এ অভিনেত্রী হিসেবে আসেন। প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ছবি জিন্স-তে। তিনি সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে স্থান পাকাপোক্ত করেন।

 

অক্ষয় কুমার

মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্টধারী এবং অভিনয়ের নিজস্ব দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি অক্ষয় কুমার। তার সব স্টাইলই ভক্তমহলের কাছে অনেক প্রিয়। অথচ চিরসবুজ এই অভিনেতা স্নাতক শেষ করার আগেই কলেজ ত্যাগ করেন। মার্শাল আর্ট শেখার জন্য ব্যাংকক এ যান। পরে থাইল্যান্ডে মুই থাই শেখার পর প্রধান ওয়েটার- এর কাজ করেন। এর কিছুদিন বাদেই বাংলাদেশেও কাজ করেছিলেন। তারপর মুম্বাই ফিরে মার্শাল আর্ট শেখানো শুরু করেন। এক ফটোগ্রাফার ছাত্র অক্ষয় কুমারকে মডেলিং করার জন্য পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে অভিনয় জগতে আসার এটিই প্রধান কারণ হিসেবে দাঁড়িয়ে যান। নব্বইয়ের দশকে তিনি মূলত অ্যাকশন হিরো হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০০২ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ খলনায়কের পুরস্কার পান। বর্তমানে রম্য অভিনয় করে তিনি বেশি জনপ্রিয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর