বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

TIME—এর চোখে ২০১৬ সালে যত সেরা

TIME—এর চোখে ২০১৬ সালে যত সেরা

টাইম ম্যাগাজিন বছরজুড়ে আলোচনায় থাকা বিষয়গুলো নিয়ে প্রকাশ করছে তাদের শীর্ষ দশের তালিকা। প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয়, খবর আলোচনায় আসছে পৃথিবীতে। ব্যক্তিত্ব, অর্জনের পাশাপাশি সেরা বই, সেরা গবেষণা, সেরা তরুণ আগামীর নেতৃত্ব, সেরা সিনেমা, সেরা ফটোগ্রাফি, সেরা মোবাইল অ্যাপ, সেরা তারকা কী নেই সেই তালিকায়? ২০১৬ সালের প্রথম সারির অর্জন, সাহিত্যকর্ম, উদ্ভাবন, আলোচিত ঘটনাগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিতেই আজকের রকমারি। লিখেছেন— তানভীর আহমেদ

 

সম্ভাবনাময় তরুণ নেতৃত্ব

আগামী প্রজন্মের নেতৃত্ব খুঁজে পেতে মরিয়া ছিল টাইম কর্তৃপক্ষ। এবার সবাইকে চমকে দিয়ে ১০ জনেরও বেশি তরুণ নেতৃত্বের কথা লিখেছে তারা। ২০১৬ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণরা এগিয়ে ছিল বলেই ১০ জনেরও বেশি নাম চলে এসেছে। তারা হলেন— আশিমা শিরাইশি, ইরেন কিম, ডেসটিনি ওয়াটফোর্ড, ফিরাস আলশাতার, সারান কাবা জোনস, ফ্রান্সিসকো সোরো, পলি স্টেনহ্যাম, উমেস সাচদেব, সাওরস রোনান, সাইমন বিলস, ফেঞ্চ জেং, লুত্ফুল্লাহ নাজাফিজাদা, হেলোস লেতিসার, রোবেন ডবালস, মাদেও, জেন সারিও, জুত্কাল্ট মার্টিনেজ, মলি ক্রাবাপল, জোয়ে আলেক্সান্ডার ও অলিভার সেনজিমানা।

এদের মধ্যে বিশেষভাবে আলোচিত সেনজিমানা। তিনি রুয়ান্ডার প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে কাজ করছেন। মাদেও ছিলেন ফ্যাশন আইকন। তার নিত্যনতুন স্টাইল ফ্যাশন জগতে চমকপ্রদ নতুনত্ব যোগ করেছে। বলা হচ্ছে, তিনি ২০১৬ সালের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির বিস্ময়। মলি ক্রাবাপলকে বলা হচ্ছে নতুন গল্পকার। স্কেচ ও সাংবাদিকতায় পারদর্শী মলির লেখনীতে রয়েছে মোহনীয় জাদু। ফেঞ্চ জেং বিজ্ঞানে রেখেছেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। ৩৪  বছর বয়সেই তার কৌশল অবলম্বন করেই ‘ক্রিসপার’ বিজ্ঞানী দল ডিএনএ-তে সংযোজন সম্ভব বলে যুগান্তকারী ঘোষণা দেয়।

 

নক ফিকশন বই

‘মার্চ ভলিয়ম থ্রি’ প্রকাশিত হয় এ বছর। নন ফিকশন বই হিসেবে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত ছিল এটি। টাইম ম্যাগাজিনের হিসাবে এটি ২০১৬ সালের সেরা নন ফিকশন বই। ‘ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড ফর ইয়ং পিপল’ জিতে এটি পাঠকপ্রিয়তার উদাহরণ তুলে ধরে। জন লুইস, আন্দ্রে অডিন ও পাওয়েলের এই জমজমাট ট্রিলজি শুরু হয় ১৬ নম্বর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে বোমিং ও বারাক ওবামার শোকবার্তা পাঠের মাধ্যমে।

হিলবিলি এলিজিও ছিল বর্ষসেরা নন ফিকশনের তালিকায়। ভিন্স হারবারের লেখা বইটিতে পারিবারিক আবহে নানা সংকট উঠে আসে। কর্মজীবী মধ্যবিত্তের পরিবারে নানা অসামঞ্জস্য, দরিদ্রতার চিত্র ও মদপানের আসক্তির সংস্কৃতি বইটিতে বৈচিত্র্য যোগ করেছে। জেসি ক্লেইনের ‘ইউ উইল গ্লো আউট অব ইট’ বইটি কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল পাঠক। মজার এই বইটিতে শৈশবের নানা অপ্রাপ্তির কথা দিয়ে শুরু হলেও সম্পর্ক ও নারীত্বের বর্ণনা গল্পছলে চত্মকারভাবে চিত্রিত হয়। তেজু কোলের ‘নোউন অ্যান্ড স্ট্রেঞ্জ থিংস’ বইটি ছিল তথ্য-উপাত্তে ভরপুর সুখপাঠ বই। একাধিক বিষয়ের সংগ্রহশালা হয়ে ওঠা বইটিতে সেবাল্ক, বোথোফেন, রয় কারাভার কে নেই!

মার্গট লি লিখেছেন ‘হিডেন ফিগারস’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অ্যারোনটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির ওপর অন্যতম উল্লেখযোগ্য বই হিসেবে ইতিমধ্যে সমাদৃত হয়েছে এটি। রুথ ফ্যাঙ্কলিনের ‘শার্লি জ্যাকসন : অ্যা রেদার হন্টেড লাইফ’ আত্মজীবনীমূলক বইয়ের স্বাদই পাল্টে দিয়েছে।

হোপ জাহরেনের ‘ল্যাব গার্ল’ নিয়ে পাঠকদের কাড়াকাড়ি ছিল। তিনটি ল্যাব তৈরি ও তাতে প্রেরণামূলক পরীক্ষা নিয়ে গল্প এগোলেও সম্পর্কের নানাদিকও উঠে আসে বইটিতে।

‘কিল অ্যান্ড লিভ’ লিখে পাঠকদের মন জিতে নিয়েছেন জেমস ম্যাকব্রিড। বংশসূত্রের রহস্যময় শৈশবকাল, তার জীবনের প্রভাব নিয়ে বইটিতে জমজমাট প্লট রচনা করেন। আলোচিত অন্য দুটি বই ছিল আখিল রিদের ‘দ্য কনস্টিটিউশন টুডে ও পেগি ওরেনস্টাইনের ‘গার্লস অ্যান্ড সেক্স’। ওরেনস্টাইনের বইটিতে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সংস্কৃতিতে যৌনতার নানা বিষয় ওঠে আসে।

 

তারকাদের মেলা

২০১৬ সালের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে নিকি মিনাজের নাম উঠে এসেছে টাইম ম্যাগাজিনে। সংগীত শিল্পী নিকি মিনাজের সঙ্গে বর্তমান সময়ের তারকা কণ্ঠশিল্পীরা গলা মিলিয়ে ব্যবসায়িক সাফল্য তো বটেই, অ্যালবাম হিট করিয়েছেন। এ ছাড়াও এ তালিকায় নাম এসেছে লুইস হ্যামিল্টনের। রিও অলিম্পিক মাতিয়ে রেখেছিলেন গতিদানব উসাইন বোল্ট। তিনিও এসেছেন তারকাদের কাতারে। মেরিলিন রবিনসন, কার্লি ক্লস, জর্ডান স্পেতের মতো প্রতিভাবানদের নামও উঠেছে। তবে চিত্রপরিচালক ইনারিত্তু চমকটা দেখিয়েছেন ভালোভাবেই। তার নির্মাণশৈলী এখন সমাদৃত বিশ্বজুড়ে। টাইম ম্যাগাজিন তাকে ২০১৬ সালের সেরা তারকাদের কাতারে রেখেছে। সংগীতশিল্পী অ্যাডেল এ বছরটাও নিজের করে নিয়েছেন। টু ইয়ো ইয়ো, ডেনিস মুকওয়েজের নামও এসেছে। অবশ্য টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা বিশ্বব্যাপী সেনসেশনে রূপ নিয়েছেন এ বছরের। টাইম বলছে, নারী তারকা হিসেবে তো বটেই খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৬ সালে অনলাইন, পত্র-পত্রিকায় অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। রেসলার রোন্ডা রৌসিও বিশ্বসেরা তারকা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এ বছর। আর অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও অস্কার জিতে বর্ষসেরা তারকাদের তারকা হয়ে ওঠেন আবারও।

 

রুপালি পর্দায় জীবন-গল্প

বেরি জ্যাকসনের ‘মুনলাইট’ নিয়ে সিনেমাবোদ্ধাদের মতামত ছিল এমন— জীবনের প্রতিটি উপাদান একেকটি সিনেমা। তিনজন অভিনেতার একটি চরিত্রে অভিনয়ের অভিনবত্ব মুনলাইটকে বিশেষ বৈচিত্র্য দিয়েছে। ভালোবাসার গল্প, মা এবং সন্তানের গল্প ও অনিশ্চয়তার গল্প মুনলাইটকে অনবদ্য করেছে। এ ছাড়াও বলা হয়েছে পেটারসনের কথা। জিম জারমুসচের পেটারসনে দেখিয়ে দিয়েছেন অবসর মানুষের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্যকে কীভাবে ধারণ করে।

জেফ নিকোলাসের ‘লাভিং’ ছিল রোমান্টি-ড্রামা জেনরের মধ্যে অন্যতম। সিনেমার সময়কালে বিয়ে আইনসিদ্ধ নয়, কিন্তু সম্পর্কের জালে দুজনের প্রেম জড়িয়ে। ভালোবাসা জীবনকে কীভাবে আঁকড়ে ধরে সেই গল্পই উঠে আসে সিনেমায়।

পল ভেরহভেনের এলি নিয়ে মাতামাতি ছিল বছরজুড়ে। থ্রিলার ঘরানার সিনেমা হলেও নাটকীয়তায় পিছিয়ে ছিল না এটি। সেক্সুয়াল পলিটিক্স নিয়ে এ ধরনের সিনেমা দর্শকদের চমকে দিয়েছে।

মার্টিন স্করসেস এ বছর উপহার দিয়েছেন ‘সাইলেন্স’। বলাবাহুল্য বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ছিল এটি। এ ছাড়াও ম্যানচেস্টার বাই দ্য সি, টাওয়ার, লা লা ল্যান্ড,  এভরিবডি ওয়ান্টস সাম ও দ্য শ্যালোস সিনেমাগুলো জায়গা করে নিয়েছে সেরা দশে।

 

মোবাইল অ্যাপের বছর

টাকা প্রেরণের অ্যাপ ভেনমো ছিল ২০১৬ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ। গুগল যখন এই অ্যাপকে সার্টিফাইড করে তখন মিডিয়া বলেছিল, ভার্বিফায়েড। হ্যাঁ, ভেরিফায়েড নয় ভার্বিফায়েড— এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অ্যাপটি। এ ছাড়া ‘মেসেজেস’ অ্যাপটিও ব্যবহারকারীদের কাছে এসেছে নতুন সব ফিচার নিয়ে। জনপ্রিয়তার তালিকায় এটি ছিল দুই নম্বরে। চ্যাটিংয়ে নিরাপত্তা বাড়িয়ে নিশ্চিন্তে কথা বলতে ‘সিগন্যাল’ আসে ২০১৬ সালে। মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে অ্যাপটি ডাউনলোডের জন্য। এ ছাড়াও স্ন্যাপচ্যাট কথাবার্তা চালাচালিতে সেরাদের কাতারে ছিল। অবশ্য মোবাইল অ্যাপ হিসেবে মাতামাতি ছিল ‘পোকেমন গো’-কে নিয়ে। এশিয়াতে পোকেমন গো রীতিমতো ঝড়ের বেগে ছুটে চলে স্মার্টফোনগুলোতে। ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ মেসেজিং ক্যাটাগরির অ্যাপ, ১৮৭টি দেশে একযোগে ডাউনলোড হয়ে তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়। এ ছাড়াও এনওয়াইট কুকিং, এনপিআর ওয়ান, স্পুটিফাই ও এ গুড স্নোম্যান হার্ড টু বিউল্ড ছিল সেরা।

 

 

 

ইন্টারনেটে ঝড় তুলল যা

ইন্টারনেট এখন জনপ্রিয় মিডিয়া। এমন কোনো বিষয় নেই যা নিয়ে হৈচৈ নেই ইন্টারনেটে। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও নির্বাচনী বিতর্ক নিয়ে উত্তাল ছিল ইন্টারনেট। এ ছাড়াও বেসবলে ক্লিভল্যান্ড ইন্ডিয়ানার বিপক্ষে শিকাগো কিউব জয় পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস ও লেখালেখিতে সরগরম হয়ে ওঠে ইন্টারনেট। রিও অলিম্পিকে লচ গেটের সঙ্গে মাইকেল ফেলপেসর দেখা হয়। এ নিয়ে টুইটার ও ফেসবুকে মাতামাতি শুরু হয়। হ্যাসট্যাগে ভরে উঠে সোশ্যাল মিডিয়া। আন্তর্জাতিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ ওয়েবপোর্টালগুলোও এক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল না। সংগীত তারকা বেয়ন্সের ওয়ার্ল্ড ট্যুর ও তার লেমোনেড গানটির মঞ্চে পরিবেশনা হট টপিক ছিল ইন্টারনেটে। কোটি কোটি মানুষ তাদের ভালো লাগার কথা প্রকাশ করে অনলাইনে। ‘ড্যাম, ডেনিয়াল’ অ্যামেচার ভিডিওটি টুইটার কাঁপিয়ে দেয়। আলোচনায় ছিল ক্লিভল্যান্ডে খালি গায়ে স্মিথের উত্সব, গরিলা হারামবে হত্যা, মার্কিন নির্বাচনী বিতর্কে  ক্যান বোনের উপস্থিতি। অবশ্য কিম কারদেশিয়ান তার স্ন্যাপচ্যাট ভিডিও দিয়ে ব্যক্তিগত পার্টি প্রচার করেন ইন্টারনেটে। টেলর সুইফটকে দেখা যায় ওইখানে— এমন ভিডিও নিয়ে রীতিমতো ঝড় ওঠে ইন্টারনেটে। ফেসবুক লাইভে ‘গরিলা মুখোশের মা’ ছিল বহুল আলোচিত।

 

 

নাটক রাজ্যে...

বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল ‘লাভ, লাভ, লাভ’, ‘ডিয়ার ইভান হেনসান’, ‘নাতাশা, পিরে অ্যান্ড দ্য গ্রেট কমেট অব এইটেন টুয়েলভ’, ‘রেড স্পিডো’, ‘ফেলসেত্তাস’, ‘শি লাভস মি’, ‘মাস্ট্রো’, ‘স্কেলেটন ক্রু’ এবং ‘নোটস ফ্রম দ্য ফিল্ড’।

কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে উবি ব্লেক ও নোবেল সিসেলের মিউজিক্যাল প্লে শাফল অ্যালং ছিল সেরা। মিউজিক্যাল প্লে হিসেবে নতুন করে উপস্থাপনায় নানা বৈচিত্র্য যোগ হয়েছে এটিতে। এ ছাড়া কে না জানে, ব্ল্যাক মিউজিকের ল্যান্ডমার্ক শাফল অ্যালং।

 

 

গানের অ্যালবাম

গানের জগতেও এবার একাধিক অ্যালবাম জনপ্রিয় হয়েছে। শ্রোতাদের মন জয় করেই থেমে থাকেনি, সিডি বিক্রি ও অনলাইনে গান কেনার ব্যাপারেও এ বছর আর্থিক সাফল্যের দেখা পেয়েছে আন্তর্জাতিক সংগীত প্রযোজক প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৬ সালে টাইমের চোখে সেরা অ্যালবামগুলো ছিল— ফ্রাঙ্ক ওশানের ‘ব্লন্ড’,  স্লোনেঞ্জের ‘অ্যা স্ট্রিট অ্যাট দ্য টেবল’, মিটস্কির ‘পুবার্টি টু’, অ্যাঞ্জেল অলসেনের ‘মাই ওমেন’,  দ্য রেঞ্জ (জেমন হিলটন)-এর ‘পটেনশিয়াল’, রেডিওহেডের ‘অ্যা মুন শেপড পুল’, রিয়ানার ‘অ্যান্টি’, ব্লাড অরেঞ্জের ‘ফ্রি টাউন সাউন্ড’, অ্যাসপারেঞ্জা স্পেলডিংয়ে ‘অ্যামেলিস ডি প্লাস ইভোলুশন’। তবে বছরের সেরা অ্যালবামটি নিয়ে আসেন কানাডিয়ান সংগীতশিল্পী জেন মাইকেল ব্লেইস। তার প্রথম অ্যালবামটি ‘ইল (আইএল)’ বিশ্বজুড়ে শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করে। সংগীতবোদ্ধারা তার অ্যালবামকে সাধারণ-সরল সুর-লয়ের অনবদ্য উৎসব বলে সম্বোধন করেছেন।

 

 

অনুপ্রেরণীয় নেতা

বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী নেতাদের তালিকায় রাষ্ট্রপ্রধানদের নামই উঠে আসে। কিন্তু অনুপ্রেরণীয় নেতৃত্বের কথা এলে হিসাবটা কিছুটা পাল্টে যায়। টাইম ম্যাগাজিনের অনুপ্রেরণীয় নেতাদের তালিকায় তাকালেই কিছুটা বিস্মিত হতে হয়। এই তালিকায় রয়েছেন কিম জং উন, রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, ভ্লাদিমির পুতিন, পল রায়ান, দিয়ানা নাতালিসিও, লরি রবিনসন, লেসটার হল্ট, কুইন ম্যাক্সিমা, টেড ক্রজ, হোল্যান্ড, ডেরেন ওয়াকার, জেমস কোমি, রঘুরাম রাজান, হিলারি ক্লিনটন, অং সান সু চি, সার্জিও মরো, জাস্টিন ট্রুডো, শি জিনপিং, বারাক ওবামা, মরিসিও মাক্রি, ডোনাল্ড ট্রাম্প, অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, বার্নি সেন্ডার্সসহ আরও কয়েকজন। এদের বেশির ভাগই রাজনৈতিক নেতা। রাষ্ট্রপ্রধানও রয়েছেন। অবশ্য খেয়াল করলে দেখা যাবে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা নেতারাও এখানে জায়গা পেয়েছেন। আবার রাষ্ট্রীয় মতপার্থক্যে বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের নামও চলে এসেছে টাইমের অনুপ্রেরণীয় নেতাদের তালিকায়।

সর্বশেষ খবর