শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

জেরুজালেম নিয়ে যত বিরোধ

পবিত্র ভূমি জেরুজালেম

তানভীর আহমেদ

জেরুজালেম নিয়ে যত বিরোধ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ইহুদি শরণার্থীদের আশ্রয় হয়ে উঠে জর্ডান সংলগ্ন অঞ্চল। ১৯৪৮ সালে ইহুদিরা নিজেদের স্বাধীনতা দাবি করে দখল করতে শুরু করে আশপাশের এলাকা। ধর্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জেরুজালেমও মুসলমানদের কাছ থেকে দখল করে নেয় ইসরায়েল। অস্ত্রের শক্তিতে জেরুজালেম দখলদারির এই বিরোধই ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংকটের কেন্দ্রবিন্দু। তারপর থেকে দশকের পর দশক ধরে এই অঞ্চলে চলছে সহিংসতা। ইসরায়েলি আগ্রাসনে লেখা হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের রক্তপাতের ইতিহাস—

   

ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১০০ বছরের টানাপড়েন

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর জেরুজালেম জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে আসে। এখানে বসবাস করা ইহুদি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু ১৯৬৭ সালের পর সব বদলে যায় এক নাটকীয় যুদ্ধে। সেই যুদ্ধের স্থায়ীত্বকাল ছিল মাত্র ৬ দিন। ১৯৬৭ সালের কথা। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে প্রতিবেশী আরব দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ৬ দিন স্থায়ী সেই যুদ্ধে নাটকীয়ভাবে ইসরায়েল শুধু আরব দেশগুলোকে পরাজিতই করেনি, তারা মিসরের কাছ থেকে গাজা তীর ও সিনাই উপত্যকা দখলে নিয়ে নেয়। এই যুদ্ধের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে ওই অঞ্চলে। কারণ, একই সময় জর্ডানের কাছ থেকে ইসরায়েল দখল নেয় পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম। অর্থাৎ এ সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমের বাকি অংশসহ পুরনো শহর দখল করে নেয় এবং পশ্চিম অংশের সঙ্গে একীভূত করে পুরো এলাকাকে ইসরায়েলের অন্তর্গত করে ফেলে। বর্তমানে পুরো এলাকাটি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। জেরুজালেমকে ইসরায়েল তাদের জাতীয় রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। শরণার্থী হয়ে আসা ইহুদিদের যুদ্ধ, বিদ্রোহে মুসলমানদের হাত থেকে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের বড় অংশই আজ ইসরায়েল। সিরিয়ার কাছ থেকে নেয় গোলান উপত্যকা। যুদ্ধ আর থামেনি। দুই পক্ষের মিলিশিয়া বাহিনী দখল-বেদখলের এই লড়াইয়ে কেউ কখনোই পিছু হটেনি। হাজার হাজার যোদ্ধা, বিদ্রোহী প্রাণ দিয়েছেন। আরও সংঘবদ্ধ হয়েছে বিদ্রোহী দলগুলো। ফিলিস্তিনিরা বরাবরই দাবি করে আসছে তাদের স্বাধীন ভূমি। ইহুদি সেটেলাররা পূর্ব জেরুজালেম ধীরে ধীরে দখলে নিয়ে যাওয়ার এই ইতিহাস কারও অজানা নয়। বিভিন্ন যুদ্ধ-বিদ্রোহে ঘর হারানো ইহুদিরা ফিলিস্তিনের একাংশের দখল নিয়ে এই টানাপড়েনের শুরু হয়। মুসলমানরাও তাদের স্বাধীন ভূমির দাবিতে সোচ্চার। ইহুদি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ আগ্রাসন ওই অঞ্চলে মুসলমানদের জীবন আরও জটিল ও সংকটময় করে তুলে। জেরুজালেমকে দখলে রাখতে মরিয়া ইসরায়েল। নানা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও অস্ত্রের শক্তিতে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের শান্তি এখন স্বপ্ন।

মুসলমানদের কাছ থেকে জেরুজালেম ছিনিয়ে নেওয়ার ইতিহাস

জেরুজালেম নিয়ে যুদ্ধ, সংঘাতের ইতিহাস হাজার বছরের। বিভিন্ন ধর্মের শাসকদের হাতে এই অঞ্চলের শাসনভার ছিল। প্রায় তিনটি ধর্মের পবিত্র ভূমি বলে সম্মানিত জেরুজালেম শাসকদের কাছে মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১০৯৯ সালে প্রথম ক্রুসেডে খ্রিস্টানরা জেরুজালেম দখল করে নেয়। দখল-বেদখলের এই রক্তক্ষয়ী ইতিহাস দীর্ঘায়িত হয়েছে। ১১৮৭ সালে সুলতান সালাদিন আইয়ুবি আবার দখল করে নেন জেরুজালেম। মুসলমানদের হাতে আসে জেরুজালেম। প্রাচীন ইজিপ্ট, সিরিয়ার এই বাদশাহ সগৌরবে শাসন করেন এ অঞ্চল। এরপর বেশ কয়েকবার যুদ্ধ-বিদ্রোহে শাসনভার পাল্টেছে। জেরুজালেমের ভাগ্যও পাল্টে। ১৯ শতকে ইহুদিরা ইউরোপে অধিকার পেতে শুরু করল। মূলত তখন থেকেই মুসলমান শাসকদের দখলে থাকা জেরুজালেম কেড়ে নেওয়ার নিকট অতীতে গল্পের শুরু।

১৯০২ সালের মাঝে ৩৫,০০০ ইহুদি চলে আসে ফিলিস্তিনে। এরপর পালাক্রমে আরও কয়েক লাখ ইহুদি শরণার্থী এই অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। যেটা এখন ইসরায়েল নামে পরিচিত। ইসরায়েল ১৯৪৮ সালে তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এরপর থেকেই নতুন করে আবার যুদ্ধ, সহিংসতার ইতিহাস লেখা শুরু। ১৯৪৮ সালে প্রথমে অর্ধেকটা, ১৯৬৭ সালে বাকি অর্ধেকটার দখল করে ইসরায়েল। অস্ত্রের  জোরে সমগ্র ফিলিস্তিনসহ জেরুজালেম ইসরায়েল দখল করে রাখে।

 

মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র ভূমি বলে স্বীকৃতি পেয়েছে জেরুজালেম। ফিলিস্তিনি শহর হলেও এখন জেরুজালেম ইসরায়েলের হাতে...

ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক শহর জেরুজালেম। বহু প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় গুরুত্ব মিশে রয়েছে এই শহরের সঙ্গে। মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র ভূমি বলে স্বীকৃতি পেয়েছে জেরুজালেম। ফিলিস্তিনি শহর হলেও এখন জেরুজালেম ইসরায়েলের হাতে। অথচ ১৯৬৭ সালের আগেও এটি ছিল মুসলমানদের হাতে। জেরুজালেমের পূর্বাংশ ছিল জর্ডানের। সে যাই হোক, ধর্মীয়ভাবে মর্যাদাসম্পন্ন জেরুজালেমে রয়েছে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস। ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা এই অঞ্চলকে টেম্পল মাউন্ট নামেও ডাকে। জেরুজালেমে মুসলমানদের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত, যা মুসলমানদের স্মৃতিবিজড়িত এবং সেখানে অনেক নবী এবং সাহাবার কবর রয়েছে। খ্রিস্টান ধর্ম বিশ্বাসীদের কাছেও জেরুজালেমের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। বেথেলহামে যিশুখ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেন বলেই তারা বিশ্বাস করেন। বাইবেলে বর্ণিত এই বেথেলহাম রয়েছে জেরুজালেম শহরের দক্ষিণাংশে। এই জায়গাটি খ্রিস্টানদের কাছে তাই ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া জেরুজালেমে ইহুদিদের পবিত্র ওয়েলিং ওয়াল অবস্থিত। এসব কারণেই বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের কাছে জেরুজালেমের আলাদা ধর্মীয় গুরুত্ব ও মর্যাদা রয়েছে। পবিত্র ভূমি বলে জেরুজালেমের মর্যাদা রক্ষায় বিভিন্ন সময় শাসকরা জেরুজালেম দখলে রাখার চেষ্টা করেছেন। ইসরায়েলি সেনারা ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনিদের হাত থেকে এই শহর কেড়ে নেয়। ফিলিস্তিনিরা এরপর থেকেই জেরুজালেমের অন্যায় দখলের প্রতিবাদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে।

ইসরায়েলি সেনাদের পাহারায় আল-আকসা মসজিদ

জেরুজালেমের পুরনো শহরে রয়েছে আল-আকসা মসজিদ। মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী মহানবী হজরত  মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মেরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। মুহাদ্দিসরা একমত যে, সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটিই নবী হজরত সুলায়মান (আ.) তৈরি করেছিলেন। মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এই মসজিদটি এখন ইসরায়েলের দখলে রয়েছে। ফিলিস্তিনি, আরব অঞ্চলের মুসলিম দেশগুলোসহ বিশ্বের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও ইতিহাস গবেষকরা বরাবরই আল-আকসা মসজিদের দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি শাসককে অনুরোধ করে আসছেন। অস্ত্রের জোরে জেরুজালেম দখলে রাখায় ফিলিস্তিনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও জেরুজালেমের দখল পেতে মরিয়া। এ কারণে দুই দেশের মধ্যে সংকট, যুদ্ধ ওই অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবন, শান্তি নষ্ট করেছে। পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের ইসলামী ঐতিহ্য জবরদখলে আজ ইসরায়েলের মুঠোবন্দী। আল-আকসা মসজিদ পাহারা দেয় ইসরায়েলি সেনারা।

 

ট্রাম্পের খবরদারিতে সংকট চরমে

ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হলেও তাদের দাবিকৃত জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে কোনো রাষ্ট্রই স্বীকৃতি দেয়নি। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। বিশ্বের শীর্ষ নেতা ও রাষ্ট্রনায়করাও মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করছিল— এ ধরনের বিতর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে। এমনকি জাতিসংঘের শীর্ষ পর্যায় থেকেও ট্রাম্পকে বলা হয়েছিল, এ ধরনের মন্তব্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সংকট আরও চরম রূপ নেবে। কিন্তু মিডিয়ার প্রবল সতর্ক বার্তা, সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির কথা বলেন। ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র কার্যত ফিলিস্তিনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে উসকে দিয়ে পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুললেন ট্রাম্প। বিশ্লেষকদের এই মতামত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বিশ্ববাসী। ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে আরও দূরত্ব তৈরি হলো। যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে তখন ট্রাম্পের এমন ঘোষণা স্পষ্টতই প্রমাণ করে, এই অঞ্চলের দীর্ঘ বিদ্রোহ, আন্দোলন ও রক্তপাতের ইতিহাস আরও দীর্ঘায়িত করারই প্রচেষ্টা। সবাইকে অগ্রাহ্য করে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে। অনেক আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। তার বিতর্কিত এই মন্তব্যের পর তিনি তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কাজ শুরু করতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকৃতি দেওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এমনকি ব্রিটেন, ফ্রান্স, সৌদি আরবের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ দেশগুলোও এই স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ আর ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে বর্ণনা করেছে সৌদি আরব। ফ্রান্স, জার্মানি আর যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এটা খুবই গভীর উদ্বেগের সময়। কারণ দ্বিরাষ্ট্র সমাধান ছাড়া এর আর কোনো বিকল্প নেই। তার ঘোষণায় ক্ষোভে ফুঁসছে ফিলিস্তিন। প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে হাজারো ফিলিস্তিনি। ট্রাম্পের এই খবরদারি মন্তব্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। হোয়াইট হাউসের ডিপ্লোমেটিক রিসেপশন রুম থেকে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে। ট্রাম্পের বক্তব্য শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তার ঘোষণার প্রশংসা করেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা বলছেন, একেবারেই ভিন্ন কথা। তাদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্ত্ত মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। ফিলিস্তিনের বিদ্রোহী দল হামাস বলেছে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে নরকের দরজা খুলে দেবে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আগে থেকেই সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন অনেক বিশ্বনেতা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক ফোনালাপে ওই অঞ্চলের আরব নেতারা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ নিয়ে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করেন ও তাকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেছিলেন, তার এই পদক্ষেপে অঞ্চলটিতে ভয়াবহ  পরিণতি ডেকে আনবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের কারণ হলো তাদের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর