শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ প্রতিদিন আজীবন সম্মাননা

বাংলাদেশ প্রতিদিন আজীবন সম্মাননা

অনুষ্ঠানের ছবি তুলেছেন— রোহেত রাজীব ও জয়ীতা রায়

যাঁরা সম্মাননা  পেলেন -------------------------

 

 

এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার (অব.)  বীরউত্তম

বিমান বাহিনীতে উইং কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। নেতৃত্বদানের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হন ১৯৭১-এর ২১ নভেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্সের আত্মসমর্পণ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। মুক্তিযুদ্ধে  বিচক্ষণ অংশগ্রহণের জন্য বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

 

 

 

 

 

মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (অব.) বীরউত্তম

মুক্তিযুদ্ধে এস ফোর্সের প্রধান ও ৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বেই বিদ্রোহ ঘোষণা করে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। গড়ে তোলেন ১৯টি গেরিলা ঘাঁটি। সড়ক ও রেলপথে পাকবাহিনীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার নেতৃত্ব দেন। সিলেটসহ বিশাল এলাকা শত্রুমুক্ত  করে চূড়ান্ত বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।

 

 

 

 

 

মেজর রফিকুল ইসলাম (অব.) বীরউত্তম

মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই বাহিনীর গেরিলাদের ১৩৭টি গ্রুপে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়। চট্টগ্রামে পাকবাহিনীর জাহাজ এমভি সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাসে বাধা দেন। প্রায় ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্ব দেন এই বীরউত্তম।

 

 

 

 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী (অব.)

মুক্তিযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। অভিনব যুদ্ধকৌশলের জন্য এই সেক্টর আলাদা খ্যাতি অর্জন করে। তার তত্ত্বাবধানে মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয়।  ২৭ বেলুচ রেজিমেন্টকে নিশ্চিহ্ন করে কুষ্টিয়া জেলাকে শত্রুমুক্ত করেন।

 

 

 

 

কর্নেল এইচ এম এ গাফফার (অব.)  বীরউত্তম

পাকিস্তান আর্মির চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন। কর্নেল খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। কুমিল্লা থেকে পথে পথে পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে চট্টগ্রাম পৌঁছান।

 

 

 

 

 

কমোডর এ ডব্লিউ চৌধুরী (অব.)  বীরউত্তম ও বীরবিক্রম

অপারেশন জ্যাকপটের চট্টগ্রাম অভিযানের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তিন মাসের প্রশিক্ষণেই নৌ-কমান্ডোরা কর্ণফুলীর ১১ জাহাজ ডুবিয়ে দেন। নৌ-কমান্ডোর এত বড় সাফল্য ছিল যুদ্ধ ইতিহাসের বিরল ঘটনা।

 

 

 

 

 

স্কোয়াড্রন লিডার  লিয়াকত আলী খান (অব.) বীরউত্তম

এয়ার ফোর্সের ফ্লাইং অফিসার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। সিলেটের চা বাগান, কমলপুর ও জৈন্তাপুরের অপারেশনে অংশ নেন।  যুদ্ধরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হলেও বীরের মতো লড়াই করেন।

 

 

 

 

 

গ্রুপ ক্যাপ্টেন শামসুল আলম (অব.)  বীরউত্তম

যুদ্ধকালীন বিমানবাহিনীর একজন ছিলেন শামসুল আলম। ঘণ্টায় মাত্র ৮০ কিলোমিটার গতিবেগের অটার বিমান ছিল তার অস্ত্র। এই ক্ষুদ্র বিমান নিয়ে অসীম সাহসিকতায় আকাশ কাঁপান।  চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় তেলের ডিপোতে বোমা হামলা করেন।

 

 

 

 

ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম

ঝালকাঠির নলছিটির চাচৈরে গড়ে তোলেন দুর্ধর্ষ মুক্তিবাহিনী। দু-একটি এসএলআর, দুই ইঞ্চি মর্টার আর ২২ বোর রাইফেল নিয়েই যুদ্ধ শুরু। সম্মুখ লড়াইয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি হানাদাররা। যুদ্ধ কৌশলে আলোড়ন তোলেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

 

 

 

 

মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া (অব.)

২৫ মার্চ বর্বর হামলার পর মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যোগ দেন ২ নম্বর সেক্টরে। অসীম সাহসিকতায় বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন দেশের স্বাধীনতায়।

 

 

 

 

 

মেজর  আখতারুজ্জামান (অব.)

তরুণ বয়সে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করেন ৩ নম্বর সেক্টরে।  এপ্রিলে মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রুখে দেন পাকিস্তানি হানাদারদের।

 

 

 

 

কমান্ডার খলিলুর রহমান (অব.)

পাকিস্তানি আর্মিদের ফরিদপুর যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়ান তিনি। মাইন দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় গাড়ি।  লড়াই চলে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওইদিন সন্ধ্যায় ২৫ পাকিস্তানি সেনা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।

 

কামাল লোহানী

মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক। আগরতলা থেকে গোপনে প্রতি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান প্রচারের অগ্রগামী সৈনিক। ছিলেন প্রথম  স্বাধীন বেতারের বার্তা বিভাগীয় ইনচার্জ। যুদ্ধক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের প্রেরণা দিয়েছেন মুক্তিসেনাদের।

 

 

 

 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য  জ্ঞান দান করেন, যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন।

 

 

 

 

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন

ঢাকার গেরিলা যোদ্ধা। তৎকালীন আমেরিকান সেন্টারে হামলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। কোটের নিচে স্টেনগান নিয়ে সকাল ৯টায় পৌঁছান ইউসিস সেন্টারে।  ডেটোনেট কর্ডে দিয়াশলাইয়ের আগুন জ্বালিয়ে উড়িয়ে দেন মার্কিন অফিস।

 

 

 

 

মামুনুর রশীদ

সম্মুখ সমরে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন তিনি। অবদান রেখেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রমে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেই রচনা করেছেন নাটক ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’। শোষণ  আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার তিনি।

 

 

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর