মাতেরাজ্জিকে ঢুঁসো জিদানের
বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০০৬
দুজনের মধ্যে কী কথাকাটাকাটি হয়েছিল, তা নিয়ে আজও জল্পনা থামে না। সেই মুহূর্তটি টিভি ক্যামেরা ধরতে পারেনি। পরে রিপ্লেতে ধরা পড়ে, জিদান হঠাৎ মাথা দিয়ে ধাক্কা দেন মাতেরাজ্জির বুকে। সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এই ঘটনার পর লাল কার্ড দেখতে হয় জিদানকে। তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে।
কিয়েল্লিনিকে কামড়
সুয়ারেজ, ২০১৪
ম্যাচ শেষ হতে তখন আর দশ মিনিট। উরুগুয়ে বনাম ইতালি ম্যাচে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেজের শার্ট টেনে ধরে তাকে আটকান কিয়েল্লিনি। পরে কিয়েল্লিনি নিজের জার্সি খুলে দেখান, তার বাঁ কাঁধে কামড়ের দাগ। সুয়ারেজ মাঠে পার পেয়ে যান, কারণ রেফারি তাকে সতর্ক করেননি। পরে সুয়ারেজ দাবি করেন, কিয়েল্লিনি তার ওপর এমনভাবে ঝাপান যে, তার মুখ কাঁধে গিয়ে পড়ে।
ম্যারাডোনার ডোপ কেলেঙ্কারি, ১৯৯৪
নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের ম্যাচের পরেই ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েন ম্যারাডোনা। যা বিশ্ব ফুটবলে অন্যতম কেলেঙ্কারি বলে ধরা হয়। ম্যারাডোনা বলেন, ওরা আমার পা থেকে ফুটবলটাই কেড়ে নিল।
ব্রাজিলের ৭ গোল খাওয়া, ২০১৪
দেশের মাঠে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭ গোল খাওয়া এখনো মানতে পারেন না ব্রাজিলীয়রা। কোচ স্কোলারির কথায়, এটাই আমার কাছে জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্নের দিন।
রোনাল্ডোর ফাইনাল রহস্য, ১৯৯৮
প্রথমে ফাইনালের টিম লিস্টে তার নাম ছিল না, পরে সংশোধন করে তার নাম ঢোকানো হয়। ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের ০-৩ হারে রোনাল্ডো কিছুই করতে পারেননি। পরে নিজেই বলেন, আমার কনভালশন হয়েছিল। তিন থেকে চার মিনিট জ্ঞান হারিয়েছিলাম। জানি না, কখন ঠিক হয়েছিল।
অনেকে মনে করেন, অসুস্থ রোনাল্ডোকে স্পন্সরদের চাপে জোর করে খেলানো হয়েছিল।
রুডি ফোলারকে থুথু
ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের, ১৯৯০
ইতালি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে জার্মানি বনাম নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে হঠাৎই ফোলারকে কড়া ট্যাকেল করে তার গায়ে থুথু দেন ডাচ ডিফেন্ডার রাইকার্ড। রেফারিকে জানাতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন ফোলার নিজেই। যা আগেই দেখেছিলেন রাইকার্ড কড়া ট্যাকেলের জন্য। এই ঘটনার এক মিনিট পরে ফের দুজনের সংঘর্ষ হয়। এবার দুজনকেই লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেন রেফারি।