মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
অবসর নিচ্ছেন না মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

২০২২ বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন?

২০২২ বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন?

বিশ্বকাপ জিতে তবেই বিদায় বলবেন মেসি। বিশ্বকাপ না জিতে অবসরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই তার। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের এভাবেই অভয় দিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ জয় আমার কাছে অনেক কিছু। কারণ, আর্জেন্টিনার জন্য বিশ্বকাপটা বিশেষ একটা ব্যাপার। আসলে আমার কাছেও এটা বিশেষ।’ বার্সেলোনার জার্সিতে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন মেসি। ক্লাব ফুটবলে ব্যক্তিগত অর্জনের ঝুলিও পূর্ণ। অথচ আর্জেন্টিনার হয়ে অলিম্পিক ফুটবলের সোনা জয় ছাড়া তেমন কিছুই নেই লিওনেল মেসির। তাই হয়তো দুর্দিনে পড়লে আর্জেন্টাইনরা দেশের প্রতি মেসির ভালোবাসা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েন না। বিশ্বকাপে নকআউটে ফ্রান্সের বিপক্ষে আরেকটা হৃদয়ভাঙা হার। এবার আর্জেন্টিনারই কেউ কেউ অবসর চাইছেন মেসির। তবে আর্জেন্টিনার হয়ে একটা বিশ্বকাপ জিততে মেসি কতটা মরিয়া তার প্রমাণ মেলে তার কথায়। মেসি স্পষ্টতই বলেন, বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার স্বপ্ন আমি সব সময়ই দেখে এসেছি। বিশ্বকাপ জেতার পর যে আনন্দের অনুভূতি হয়, সেটাও দেখেছি। ওই মুহূর্তটি নিয়ে ভেবে আমার মাথার চুল পর্যন্ত সোজা হয়ে যায়। আমি বিশ্বের লাখ লাখ আর্জেন্টাইনকে আনন্দে ভরিয়ে দিতে চাই। আমি এই স্বপ্নটা বিসর্জন দিতে পারি না। এই তারকার মনের কোণে জমে ওঠা কিছু ক্ষোভ থেকে ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরের পর জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের অনুরোধে ফিরে আসেন সেই অবসর ভেঙে। বলতে গেলে একাই আর্জেন্টিনাকে তুলেছেন বিশ্বকাপে। ফুটবলের আরেক তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগাল ছিটকে গেলেও অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৩৭। তারপরও পর্তুগাল মহাতারকা বলেছেন, ‘আমার অবসর, আমাদের কোচ বা দলের অন্য কোনো ফুটবলারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার এটা সঠিক সময় নয়। আমি নিশ্চিত, এই দলটার এখনো বিশ্বসেরা হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের দল এমন ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি, যারা সবাই একটা লক্ষ্য সামনে রেখে এগোয়। পর্তুগাল আরও জিতবে। দেশবাসীকে গর্বিত করে যাবে।’ নকআউট পর্বে হার নিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘আমরা উরুগুয়ের চেয়ে ভালো খেলেছি। কিন্তু যে দল বেশি গোল করে, তারাই জেতে। আমরা জিততে চেয়েছিলাম। আমরা দারুণ লড়াই করেছি। তবে উরুগুয়েকেও অভিনন্দন জানাতে হবে।’ রোনালদো আরও বলেছেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা মাথা উঁচু করেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছি। পর্তুগাল দলের প্রতিনিধিত্ব করে আমি গর্বিত। সতীর্থদের নিয়ে আমি গর্বিত।’ ম্যাচ হারলেও মন জিতে নিয়েছেন রোনালদো। উরুগুয়ে ম্যাচে রোনালদোর সৌজন্যবোধ সোশ্যাল মিডিয়ায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। উরুগুয়ের জয়ের নায়ক এডিনসন কাভানি জোড়া গোল করে পর্তুগালের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে দিলেও এক সময় তিনি চোট পেয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন। সে সময় রোনালদো দ্রুত এসে কাভানিকে মাঠ থেকে বের হতে সাহায্য করেন। কাভানি ম্যাচের পরে রোনালদোর প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা বিশ্বের সেরা ফুটবলারের বিরুদ্ধে খেলেছি। আমার কাছে রোনালদো চিরকালই আদর্শ হয়ে থাকবেন।’ পর্তুগালের অধিনায়কের এই খেলোয়াড়ি মানসিকতা দেখে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়াও।

সর্বশেষ খবর