বেলজিয়াম
► বিস্ফোরক ত্রয়ী
দলের তিন বিস্ফোরক ইডেন হ্যাজার্ড, কেভিন দে ব্রুইনি ও রোমেলু লুকাকু। নিজেদের এতটায় বোঝাপড়া যে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করে ছাড়েন।
► দুর্দান্ত ভারসাম্য
অ্যাটাক থেকে ডিফেন্স পর্যন্ত হ্যাজার্ড-দে ব্রুইনিরা দারুণ ভারসাম্য রক্ষা করেন।
► গোলের মধ্যে অনেকে
বেলজিয়াম ৫ ম্যাচে ১৪টি গোল দিয়ে এগিয়ে রয়েছে অন্যদের চেয়ে। লুকাকু তার ৪টি করেছেন। হ্যাজার্ড, দে ব্রুইনিরাও গোল পাচ্ছেন।
► দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে ভয়
জাপান জেনে গিয়েছিল দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক বেলজিয়ামের ভয়ের কারণ। তাই সাবধান থাকা জরুরি।
ক্রোয়েশিয়া
► মিডফিল্ডে ডাবল ইঞ্জিন
মিডফিল্ডের ডাবল ইঞ্জিন লুকা মদ্রিচ ও ইভান রাকিতিচ সুযোগ পেলে গোল করতে পারেন।
► মান্দজুকিচের ফর্ম
নিজে গোল না পেলেও বক্সে অন্যকে গোলের জন্য দারুণ পাস করে প্রশংসনীয় মান্দজুকিচ। তার কারণে প্রতিপক্ষকে সাবধান থাকতেই হয়।
► দুর্দান্ত লোভ্রেন
ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্সে ধারাবাহিক দেজান লোভ্রেন। লিভারপুল ডিফেন্সেও দুর্দান্ত খেলেছিলেন।
র্ অন্যতম সেরা কিপার
দানিয়েল সুবাসিচ ডেনমার্কের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে ৩টি গোল ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১টি গোল বাঁচান। নিয়মিত কিপিংয়েও দারুণ ফর্মে।
► ক্লান্তি ফ্যাক্টর
পরপর দুটি ম্যাচ খেলে চোট ও ফিটনেস সমস্যায় পড়তে শুরু করেছে টিম। এটি ভাবনার বিষয় হতে পারে।
ফ্রান্স
► তারুণ্যের হুঙ্কার
দলে অভিজ্ঞতার ওজন না বাড়িয়ে দিদিয়ের দেশম একঝাঁক তরুণ ফুটবলারকে দলে রেখেছেন। তারাই উঁচিয়ে রেখেছেন ফ্রান্সকে।
► মাঝমাঠের দাপট
পল পোগবা, ব্লেইস মাতুইদি, এনগোলো কান্তেরা রীতিমতো মাঝমাঠে দাপটের সঙ্গে খেলছেন।
► ধারালো ফরোয়ার্ড লাইন
আঁতোয়ান গ্রিজম্যান, অলিভিয়ের জিরোর পাশাপাশি দুরন্ত গতির কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাকে কীভাবে আটকানো যাবে খুঁজে বের করতে হবে বেলজিয়াম কোচকে।
► রক সলিড লরিস
বিশ্বকাপ শুরুর আগে সম্ভাব্য সেরা কিপারের তালিকায় নাম ছিল উগো লরিসের। পাঁচ ম্যাচ পরে লরিস দারুণ পারফরম্যান্সে সেই জায়গা ধরে রেখেছেন।
► অনভিজ্ঞ ডিফেন্স
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ৩ গোল হজম করেছিল ফরাসি ডিফেন্স। তবে বাকি চার ম্যাচে খেয়েছে মাত্র ১ গোল। হ্যাজার্ড-দে ব্রুইনি-লুকাকু চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ইংল্যান্ড
► ফর্মে থাকা ফরোয়ার্ড
হ্যারি কেইন ৬ গোল করে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে। দলের হয়ে পাশাপাশি গোল পেয়েছেন জেসে লিনগার্ড, ডেলে আলিরাও।
► নির্ভরযোগ্য কিপার
জো হার্টকে টিমে না নেওয়ার সিদ্ধান্তে পুরোপুরি ঠিক ছিলেন সাউথগেট। জর্ডান পিকফোর্ড বারের নিচে দুরন্ত ভূমিকায়।
► সেটপিসে সফল
ফ্রি-কিক বা কর্নারে নিয়মিত গোল পাচ্ছে গ্যারেথ সাউথগেটের টিম। এমনকি সেট পিস থেকে ডিফেন্ডাররাও নিয়মিত গোল পাচ্ছেন
► মিডফিল্ড জেনারেল
জর্ডন হেন্ডারসন দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন মিডফিল্ডে। লিভারপুলে তার এই মৌসুমে যে ফর্ম ছিল তা-ই নিয়ে এসেছেন বিশ্বকাপে।
► পরীক্ষায় পড়েনি ডিফেন্স
গ্রুপে বেলজিয়াম ম্যাচে দুই টিমই রিজার্ভ বেঞ্চ খেলিয়েছিল। তাই বড় পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়নি ইংল্যান্ড ডিফেন্সকে।