বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

মহাকাশচারীদের গল্প

সাইফ ইমন

মহাকাশচারীদের গল্প

অসীম শূন্যতার এক নাম মহাকাশ। তাই এর অপর নাম মহাশূন্য। এটা কি আসলে বিশাল বড় একটা শূন্য না অন্য কিছু! বিস্ময়কর এই অসীমের বুকেই মানুষের বসবাস। আরও রয়েছে গ্রহ, নক্ষত্র-নীহারিকা কত কী! সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ যেতে চেয়েছে চাঁদে, হাতছানি দিয়ে ডেকেছে অচেনা অজানা ছায়াপথ। মানুষ জানতে চেয়েছে ব্ল্যাকহোলের ওপাশে কী আছে। অজানাকে জানার এই দুর্নিবার আকর্ষণ থেকেই এখন পর্যন্ত ৫৩৪ জন মহাকাশচারী পা বাড়িয়েছেন পৃথিবীর মাটির বাইরে কোথাও। মহাকাশচারীদের গল্প নিয়ে আজকের রকমারি—

 

প্রথম নারী মহাকাশচারী

১৯৬২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সোভিয়েত প্রকৌশলী সার্জেই করোলভ মহাকাশে প্রথম নারী নভোচারী পাঠানোর চিন্তাভাবনা করেন। এখন পর্যন্ত ৫৩৪ জন মহাকাশচারী মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন, এর মধ্যে নারী মহাকাশচারী হচ্ছেন ৫৭ জন। এদের মধ্যে সর্বপ্রথম নারী মহাকাশচারী হচ্ছেন ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৪০০ জন নারীকে পেছনে ফেলে তিনি প্রথম নারী হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণের যোগ্যতা অর্জন করেন। ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা প্রথম নারী নভোচারী হিসেবে ১৯৬৩ সালের ১৬ জুন মহাকাশে পাড়ি জমান। তেরেসকোভা ১৯৫৯ সালে স্থানীয় একটি ক্লাব অ্যারোক্লাবে স্কাইডাইভিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৫৯ সালের ২১ মে তিনি প্রথম আকাশ থেকে লাফ দেন। তিনি কমিউনিস্ট লিগের সদস্য ছিলেন এবং প্যারাসুট থেকে ঝাঁপ দিয়ে বিশেষ কৃতিত্ব লাভ করেন। মোট ১২৬ বার তিনি প্যারাসুট থেকে লাফিয়ে পড়েন। তেরেসকোভা শৌখিন প্যারাসুট আরোহী হিসেবে অংশ নেন। তাই তাকে মহাশূন্য প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সাফল্যজনকভাবে তিনি প্রশিক্ষণ শেষ করেন। ১৯৬৩ সালে নভোযানে করে সর্বপ্রথম নারী হিসেবে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন। তার নভোযানের নাম ছিল Vostok-৬। তিনি মোট ৪৯ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন।

 

চাঁদের বুকে প্রথম মানুষের পা

চাঁদের বুকে সর্বপ্রথম পা পড়ে যে মানুষটির তিনি নিল আর্মস্ট্রং। তার জন্ম ১৯৩০ সালের ৫ আগস্ট। তিনি মৃত্যুবরণ করেনও এই আগস্ট মাসেই। ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট নিল আর্মস্ট্রং ওহাইওর সিনসিনাটিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর স্টেফান কনিগ আর্মস্ট্রং ও ভায়োলা লুইসা দম্পতির প্রথম সন্তান নিল আর্মস্ট্রং। তিনি বংশানুক্রমভাবে স্কটিশ ও জার্মান। নিল আর্মস্ট্রং একজন মার্কিন নভোচারী ও বৈমানিক। চাঁদে অবতরণকারী প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার প্রথম মহাকাশ অভিযান হয় ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে, জেমিনি ৮ নভোযানের চালক হিসেবে। এই অভিযানে তিনি ও ডেভিড স্কট মিলে সর্বপ্রথম দুটি ভিন্ন নভোযানকে মহাকাশে একত্রে যুক্ত করেন। আর্মস্ট্রংয়ের দ্বিতীয় মহাকাশ মিশন ছিল অ্যাপোলো-১১ এর মিশন কমান্ডার হিসেবে।

১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে এডউইন অলড্রিনকে সঙ্গে নিয়ে নিল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেন এবং প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। সে সময়ে মাইকেল কলিন্স মূল নভোযানে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে নিল আর্মস্ট্রং আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত হয়েছিলেন।

 

অচেনা মাইকেল কলিন্স

পৃথিবীর ইতিহাসের একটি অবিস্মরণীয় দিন ছিল ২৪ জুলাই, ১৯৬৯। চন্দ্র অভিযান শুরুর ১৯৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড পর তিন অভিযাত্রীই সুস্থভাবে ফিরে এলেন পৃথিবীতে। চাঁদের বুকে মানুষের চিহ্ন রেখে এসে ইতিহাস সৃষ্টিকারী তিনজনের একজন মাইকেল কলিন্স। আর অন্য দুজন হলেন নিল আর্মস্ট্রং আর বাজ অলড্রিন। কিন্তু এরা দুজন খুব বিখ্যাত হয়ে গেলেও মাইকেল কলিন্স অনেকটা অচেনাই রয়ে গেছেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩০ সালের ৩১ অক্টোবর ইতালির রোমে। তার বাবা ছিলেন ইউএস আর্মির মেজর জেনারেল জেমস লটন কলিন্স। মাইকেল কলিন্স ১৯৫২ সালে ইউএস মিলিটারি একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। সেখান থেকে নাসা কর্তৃক ১৯৬৩ সালে মহাকাশচারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক। ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই মানুষটি নিজেকে নায়ক স্বীকার করতে নারাজ। তিনি মনে করেন, তারা শুধু নিজেদের কাজটুকু করেছেন, এর বাইরে কিছু করেননি। মাইকেল কলিন্স অ্যাপোলো ১১ মিশনের আগে তিন দিনের একটি স্পেস ফ্লাইট মিশনে ১৯৬৬ সালে জেমিনি ১০ মিশনে পাইলট হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

 

প্রথম মহাকাশচারী

সোভিয়েত বৈমানিক এবং মহাকাশচারী ইউরি আলেক্সিভিচ গ্যাগারিন (৯ মার্চ ১৯৩৪-২৭ মার্চ ১৯৬৮) সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি মহাকাশ ভ্রমণ করেন। তিনি ভস্টক নভোযানে করে ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেন।

কৈশোরেই গ্যাগারিন মহাকাশ এবং গ্রহ সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং তার মহাকাশ যাত্রা নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেন।

গ্যাগারিন লম্বা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি ছিলেন, যা ছোট ভস্টক ককপিটে তার জন্য সুবিধাজনক ছিল। পৃথিবী থেকে ১৭৭ কিলোমিটার দূরের মহাকাশে একাকী গ্যাগারিনের ১০৮ মিনিটের কক্ষপথ ভ্রমণ ছিল চরম দুর্দশাপূর্ণ। তার তৃতীয় প্রজন্মের ‘ভস্টক-১’ রকেটের  নেভিগেশানাল নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত ছিল না। চরম সাহসের সঙ্গে তিনি সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। মহাকাশ ভ্রমণের জন্য ২৭ বছর বয়সেই গ্যাগারিন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের নায়কে পরিণত হন এবং দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কার এবং পদক লাভ করেন। গ্যাগারিন ১৯৬৮ সালে একটি মিগ ১৫ প্রশিক্ষণ বিমান চালনার সময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।

 

দুবার চাঁদে গিয়েছিলেন

পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র ১২ জন ব্যক্তি চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ৩ জন দুবার করে চাঁদে গিয়েছিলেন। জন ওয়াটস ইয়ং ছিলেন সেই তিনজনের একজন। জন ওয়াটস ইয়ং ১৯৩০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণ করেন। আজীবন অসম্ভব বিনয়ী এই মানুষটি নিজের অনন্য সাফল্যে কোনোরকম অহংকারবোধ করেননি। তিনি নিজের ভূমিকাকে কখনো বড় করে দেখতেন না। ওরল্যান্ডো সেন্টিনেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান  যে, আমি সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে ছিলাম এবং এটা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা অসাধারণ কোনো ব্যাপার নয়, আমি নিশ্চিত, যে কেউ এটা করতে পারত। তাকে শুধু চেষ্টা করে যেতে হবে।’ অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জন ইয়ং ১৯৬২ সালে  মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাতে যোগদান করেন। জন ইয়ং মোট দুবার চাঁদে গেলেও চাঁদের মাটিতে নেমেছিলেন একবার। ১৯৬৫ সালে তিনি সর্বপ্রথম ‘জেমিনি ৩’ নামক মহাকাশযানে করে মহাকাশ ভ্রমণ করেন। ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ এর চন্দ্র বিজয়ের মাত্র দুই মাস আগে তিনি ‘অ্যাপোলো ১০’ এর কমান্ডার হিসেবে চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করেন। এর তিন বছরের মাথায় ১৯৭২ সালে ইয়ং ‘অ্যাপোলো ১৬’ অভিযানে নিজে চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করেন। তিনি তিন চান্দ্র রাত চাঁদের বুকে অবস্থান করেছিলেন এবং বিশেষ ধরনের গাড়িতে চড়ে চাঁদের মাটিতে সর্বমোট ২৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলেন। তিনি ছিলেন চাঁদের বুকে পদার্পণ করা নবম ব্যক্তি। চন্দ্র বিজয়ী মার্কিন নভোযাত্রী জন ওয়াটস ইয়ং ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

 

মহাকাশে প্রথম ভারতীয়

৩৫তম ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির সাবেক ছাত্র রাকেশ শর্মা প্রথম ভারতীয় নাগরিক হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। রাকেশ শর্মাকে বলা হয় হিরো অব দ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন। তার জন্ম ১৩ জানুয়ারি

১৯৪৯ সালে। একজন ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের পাইলট যিনি সারা বিশ্বের আকাশ ভ্রমণ করেছেন। ইন্টারকসমস কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে  সোয়ুজ টি-১১ উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৮৪ সালের ২ এপ্রিল। তিনি হায়দরাবাদের সেন্ট জর্জেস গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন।

নিজাম কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি এয়ার ফোর্সের একজন ক্যাডেট হিসেবে  যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাইয়ে ভর্তি হন একজন এয়ার ফোর্সের কর্মী হিসেবে। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের পাইলট নিযুক্ত হন। ১৯৭১ থেকে আরম্ভ করে তিনি নানা ধরনের এয়ার ক্রাফটে মহাকাশ ভ্রমণ করেন।

 

সুনিতার অনন্য অর্জন

সবচেয়ে বেশি সময় মহাশূন্যে অবস্থান করে রেকর্ড করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনিতা উইলিয়ামস। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানী সুনিতা উইলিয়ামস ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর মহাকাশযান ডিসকভারিতে চড়ে মহাশূন্যে গমন করেন এবং ১৬৭ দিন  সেখানে অবস্থান করেন। এর আগে আর কোনো নারী নভোচারী এতদিন মহাশূন্যে অবস্থান করেননি। ২০০৭ সালের ২২ জুন তিনি পৃথিবীতে ফিরে আসেন। তিনি ফিরে আসার পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে নানা রকম খবর নানা জায়গায় প্রকাশিত হয়েছে। যদিও এর কোনো সত্যতা এখনো পাওয়া যায়নি। গুগল ওয়েবসাইটে সুনিতা উইলিয়ামস সার্চ দিলেই এ জাতীয় অনেক খবর চোখে পড়বে। ১৯৮৭ সালে সুনিতা মার্কিন নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে নেভাল অফিসার হিসেবে নাসায় যোগদান করেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে মহাশূন্য থেকে ফিরে আসার পর সুনিতা ভারত সফর করেন এবং সেখানে তাকে বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধীসহ আরও জনপ্রিয়  নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সুনিতা বর্তমানে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে বসবাস করছেন।

 

 

মহাকাশচারী লাইকা

পৃথিবীর কক্ষপথে প্রথম পরিভ্রমণ করেছিল রাশিয়ার একটি বেওয়ারিশ মাদি কুকুর। তার নাম রাখা হয়েছিল লাইকা। খুবই শান্ত স্বভাবের ছিল লাইকা। আদুরে চেহারার পাশাপাশি তার বুদ্ধিমত্তা নিয়েও সবাই খুব মুগ্ধ ছিল। তার চোখের রং ছিল কালো। ১৯৫৭ সালের নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ লাইকাকে মহাশূন্যে পাঠানো হয়। চারবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেছিল কুকুরটি। এ সময় প্রচুর তাপ উৎপন্ন হতে থাকে স্পেসক্রাফট স্পুটনিক-২ এ। ১০ ঘণ্টা পর প্রচণ্ড তাপে লাইকা অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করে মহাকাশযানের ভিতর।

 

চাঁদের মাটিতে দ্বিতীয়

ড. এডউইন ইউগিন বাজ অলড্রিন জুনিয়র। তার বোন তাকে ব্রাদার বলে না ডেকে সংক্ষেপে বাজ বলে ডাকত। এটিই পরবর্তীতে তার নামের অংশ হয়ে যায়। তিনি হলেন চাঁদের বুকে পা রাখা দ্বিতীয় মানুষ। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩০ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির গ্লেন রিজ এলাকায়।  তিনি ছিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল, পাইলট ও নভোচারী। ৩৯ বছর বয়সে তিনি অ্যাপোলো ১১ চন্দ্র অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। নিল আর্মস্ট্রংয়ের পর দ্বিতীয় মানব হিসেবে ২১ জুলাই ১৯৬৯ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছিলেন। জনসম্মুখে তিনি এডউইন অলড্রিন নামেও পরিচিত। স্কটিশ এবং সুইডিশ অধিবাসী ও পূর্ব-পুরুষ জার্মানির তার বাবা এডউইন ইউগিন অলড্রিন, সিনিয়র সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং মা ম্যারিয়নের গর্ভে বাজ অলড্রিনের জন্ম। ১৯৭২ সালে বাজ অলড্রিন নাসা ত্যাগ করেন। তিনি তিনবার বিয়ে করেছিলেন। জোয়ান আর্চার, বেভার্লি জিল এবং লোই ড্রিগস ক্যাননকে বিয়ে করেন। তিনি যন্ত্রকৌশলে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর