ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মোর্শেদ আলী বলেছেন, দীর্ঘ সময় পর ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে, এটাই বড় প্রত্যাশা। অনেক ধরনের ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে এ ভোট। সব শিক্ষার্থী যেন শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, সে জন্য প্রশাসন সঠিক ভূমিকা নেবে এমনটি আশা করি। পাকিস্তানের সামরিক শাসনের মতো লাঠিয়াল বাহিনী নেই। তারা ছাত্র রাজনীতিতে কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তেমন কোনো পরিবেশ যেন ফিরে না আসে। মোর্শেদ আলী বলেন, ডাকসু তার পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে শিক্ষার্থীর সব অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। একটি সুষ্ঠু ভোট উপহার দিয়ে প্রশাসন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় করবে। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। কোনো ধরনের অসুস্থ প্রবণতা, অসহিষ্ণুুতা ক্যাম্পাসে সৃষ্টি না হোক এটাই আমরা চাই। মোর্শেদ আলী বলেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ডাকসুর যে ঐতিহ্য বিশেষ করে ৬৯ সালের ১১ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে তা অবিস্মরণীয়। পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে এ ডাকসুর যে ভূমিকা আমরা দেখেছি তেমন একটি ছাত্র সংসদ তৈরি হবে। সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে ভূমিকা নেবে। এর বাইরে যদি কোনো অনিয়ম, প্রশ্নবিদ্ধ ভোট হয় সেটা হবে খুবই দুঃখজনক অধ্যায়।