রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

শাহাদাতবরণ

ইমাম হুসাইন (রা.) একটু বিশ্রাম নিয়ে পুনরায় লড়তে শুরু করলেন। এ খবর ইবনে জিয়াদের কাছে পৌঁছল। তখন তিনি মুহম্মদ বিন আশআছকে পাঠালেন এই বলে যে, তুমি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পন্থায় হজরত হুসাইন (রা.) কে বন্দী করে আমার কাছে নিয়ে এসো। তিনি ইমাম মুসলিমের কাছে এসে বললেন, ওরা বোকামি করেছে। ওদের ইবনে জিয়াদ মোকাবিলা বা লড়াই করার জন্য পাঠায়নি। পাঠানো হয়েছিল আপনাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আপনি আমার সঙ্গে গভর্নর ভবনে চলুন। গভর্নরের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি আপনার সঙ্গে মতবিনিময় করতে চান। তিনি চাচ্ছেন, ইমাম হুসাইন (রা.) কুফায় এসে পৌঁছবেন। তাই যেন কোনো ফিতনা-ফাসাদের সৃষ্টি না হয়। গভর্নরের কাছে চলুন। কথাবার্তার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হন। মতবিনিময়ের মাধ্যমে হয়তো সন্ধিও হয়ে যেতে পারে। হজরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আমিও তাই চাচ্ছি। নইলে আমি যখন চল্লিশ হাজার সমর্থক নিয়ে গভর্নর ভবন ঘেরাও করেছিলাম, তখন আমার একটু ইশারাতেই গভনর ভবন তছনছ ও ইবনে জিয়াদকে গ্রেফতার করার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু আমি নিজে পছন্দ করি না মারামারি বা খুন-খারাবি হোক। মুহম্মদ বিন আশআছ বললেন, আমার সঙ্গে চলুন। সিপাহিদের ধমকের সুরে বললেন, তলোয়ার খোলা রাখছ কেন? এভাবে ধমক দিলেন আর হজরতকে সঙ্গে নিয়ে চললেন। হজরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তার সঙ্গে গেলেন। এদিকে ইবনে জিয়াদ উন্মুক্ত তলোয়ারধারী কিছু সিপাহিকে দরজার দুই পাশে রেখেছিলেন। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, হজরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি দরজা দিয়ে প্রবেশ করা মাত্রই দুই দিক থেকে আক্রমণ করে শহীদ করা হবে। তিনি যখন গভর্নর ভবনের দরজায় পা রাখলেন তখনই তাঁর ওপর দুই দিক থেকে তলোয়ার দ্বারা আক্রমণ করা হলো। সেখানেই তিনি শাহাদাতবরণ করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর