সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাষা শহীদ বরকতের মায়ের হাতে উদ্বোধন

রকমারি ডেস্ক

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ওই সময়কার পূর্ব পাকিস্তানের সবখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে। এর পরই মূলত শহীদ মিনারের নতুন স্থাপনা নির্মাণ সহজ হয়ে ওঠে...

বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃতি দেওয়ার পর শুরু হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ছিল সেই শহীদ মিনার নির্মাণের তত্ত্বাবধানে।

১৯৫৬ সালে আবু হোসেন যখন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে, ওই সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বর্তমান স্থান নির্বাচন করা হয়। ওই সময়ের পূর্ত সচিব (মন্ত্রী) আবদুস সালাম খান মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য চূড়ান্তভাবে স্থান নির্বাচন করেন।

১৯৫৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সরকারের এক মন্ত্রীর হাতে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা জানায় সরকার। তবে উপস্থিত জনতার প্রবল আপত্তির মুখে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন। শেষ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ রিকশাচালক আওয়ালের ছয় বছরের মেয়ে বসিরনকে দিয়ে এ স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ওই সময়কার পূর্ব পাকিস্তানের সবখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে। এর পরই মূলত শহীদ মিনারের নতুন স্থাপনা নির্মাণ সহজ হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমানের রূপকল্প অনুযায়ী ১৯৫৭ সালের নভেম্বরে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আরেক বিখ্যাত ভাস্কর নভেরা আহমদ। তাঁদের দুজনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সংশোধিত আকারে শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।

কেন্দ্রীয় এই শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৬৩ সালের শুরুর দিকে। ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ আবুল বরকতের মা হাসিনা বেগমের হাতে উদ্বোধন করা হয় নতুন শহীদ মিনার।

 

সর্বশেষ খবর