অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মালদ্বীপ। চলতি ২০২১ সালে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ প্রকৃত জিডিপি অর্জন করতে চায় মালদ্বীপ। মালদ্বীপ মনিটারি অথরিটি (এমএমএ) গত ১ জানুয়ারি এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে। ২০২০ সালে জিডিপিতে ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ পতনের পর চলতি বছর তা ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছে এমএমএ।
করোনার আঘাত থেকে ২০২২ সাল নাগাদ মালদ্বীপের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইবরাহিম আমির। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে অর্থমন্ত্রীর এ আশাবাদের কথা জানানো হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে সিনহুয়া। ইবরাহিম আমির জানান, করোনার কারণে মালদ্বীপের পর্যটন খাতের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়াতেই মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। গত বছর দেশটিতে ১৬ লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছিল। তবে সমপরিমাণ পর্যটক ২০২২-এর আগে ফিরবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, নতুন করে বেশ কিছু অবকাঠামোগত প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে মালদ্বীপ সরকার। যার মধ্যে দেশটির বন্দরগুলোর স্থানান্তর ও সেতু নির্মাণ অন্যতম।
জানা যায়, প্রাচীনকালে মুদ্রার পরিবর্তে যে ‘কড়ি’ ব্যবহার করা হতো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, মালদ্বীপ তার বেশির ভাগের জোগান দিত। ভারতীয় উপমহাদেশ তো বটেই, আফ্রিকায়ও যেত মালদ্বীপের কড়ি। এ কারণে দ্বিতীয় শতকে মালদ্বীপকে ‘মানি আইল্যান্ড’ নামে ডাকা হতো।পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে দশম স্থানে রয়েছে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ছোট এই দেশের মাথাপিছু আয় প্রায় ১৬ হাজার ৬৬৯ ডলার।