শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

অতীতে যেভাবে মহামারীমুক্ত হয়েছিল পৃথিবী

সাইফ ইমন

অতীতে যেভাবে মহামারীমুক্ত হয়েছিল পৃথিবী

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় আস্তে আস্তে নিস্তেজ

জাস্টিনিয়ান প্লেগ (৫৪১ খ্রিস্টাব্দ)

৫৪১ খ্রিস্টাব্দে জাস্টিনিয়ান প্লেগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। যার শুরুটা হয়েছিল মিসর থেকে। এরপর ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। সম্রাট জাস্টিনিয়ানের নামানুসারে ওই সময় এই মহামারীর নামকরণ হয়েছিল। এই রোগ এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই প্লেগের মূল বাহক ছিল ইঁদুর। ইতিহাসবিদদের মতে, ভয়ঙ্কর এই মহামারীতে প্রায় ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অনেকের মতে, বিশ্বের তৎকালীন মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর দেপল ভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক থমাস মকাইটিস বলেন, তখন অসুস্থ লোককে এড়িয়ে যাওয়া শুরু করে সুস্থরা। যতটুকু জানা যায়, একপর্যায়ে এই রোগের প্রকোপ কমে আসে। যারা বেঁচে ছিলেন, তাদের ওই রোগের প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছিল।  যা বংশ পরম্পরায় শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করেছিল।

 

লাশ জোর করে গণকবরে দাফন

দ্য গ্রেট প্লেগ অব লন্ডন (১৩৩৪ খ্রিস্টাব্দ)

গ্রেট প্লেগ অব লন্ডন হিসেবে স্বীকৃত ১৩৩৪ সালের প্লেগ আসলে ছড়ায় চীন থেকে। এরপর ইতালির ফ্লোরেন্স শহরেই ছয় মাসে প্লেগে মারা যায় ৯০ হাজার মানুষ। পরবর্তী কয়েক বছরে এশিয়া-ইউরোপে মারা গেছে ৫ কোটি মানুষ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইঁদুরের খাদ্য ও প্রস্রাব থেকে এই ভয়াবহ রোগটি হয়েছে। এই রোগটি সম্ভবত এশিয়ায় উৎপত্তি এবং পরে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, একপর্যায়ে রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সব অসুস্থ লোকের বাড়িতে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। মৃতদের লাশ জোর করে গণকবরে দাফন করা হয়েছিল। যেন মৃতের শরীর থেকে ভাইরাস ছড়াতে না পারে। ধারণা করা হয়, এসব পদক্ষেপেই একসময় এই ভয়ঙ্কর প্লেগ পৃথিবী  থেকে ধীরে ধীরে দূর হয়েছিল।

 

আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের শুরু

ব্ল্যাক ডেথ (১৪০০ খ্রিস্টাব্দ)

প্রশাসনিকভাবে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম চালু হয়েছিল ১৪০০ শতকে। পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর মহামারী ব্ল্যাক ডেথের সময়। ব্ল্যাক ডেথের মতো আলোচিত মহামারী আর নেই। কৃষ্ণসাগরের (ব্ল্যাক সি) উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল বিধায় একে ব্ল্যাক ডেথ বলা হয়। সে সময় এশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্য হতো এ কৃষ্ণসাগর দিয়েই। আর এখান থেকে খাদ্যদ্রব্যের জাহাজগুলোতে চড়ে বসত অসংখ্য ইঁদুর, যেগুলো কি না রোগের প্রধান জীবাণুবাহী। এই মহামারীর কবলে পড়ে ১৪০০ শতাব্দীতে বিশ্বের জনসংখ্যা ৪৫০ মিলিয়ন থেকে ৩৫০-৩৭৫ মিলিয়নে নেমে আসে। ১৭০০ শতক পর্যন্ত প্লেগ পরবর্তী সময়েও এই সংখ্যা আর পুনরুদ্ধার হয়নি। এমনকি ’১৯ শতকেও এটি ইউরোপের কিছু কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছিল। এই মহামারী ইউরোপের ইতিহাসে ব্যাপক ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। ইউরোপে বেশ কয়েকটি সূত্রপাত হয়েছিল বলে মনে হয়। ১৩৪৭-৫১ খ্রিস্টাব্দ সময়কালই ছিল ব্ল্যাক ডেথের সবচেয়ে বিধ্বংসী সময়। এ সময় ইউরোপের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গিয়েছিল। সে সময় মহামারী থেকে বাঁচতে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রচলন শুরু হয়েছিল। যার ফলে মহামারীর প্রকোপ কমতে শুরু করে এবং এক সময় স্বাভাবিক হয়ে আসে সবকিছু। এদিকে ব্ল্যাক ডেথের কারণ হিসেবে অনেকে ধারণা করেছিলেন, পাপের শাস্তি হিসেবে মানুষকে এ রোগ দিয়েছেন ঈশ্বর। ব্ল্যাক ডেথ ইউরোপের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছিল।  ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালির মতো দেশগুলো ভুগছিল ভয়াবহ শ্রমিক সংকটে।

 

ভ্যাকসিনে নিয়ন্ত্রণ হয়

দ্য থার্ড প্লেগ প্যানডেমিক (১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ)

আধুনিক যুগে প্লেগ ছড়ায় ১৮৬০ সালে। চীনের ইউয়ান নামক একটি ছোট্ট গ্রামে পৃথিবীর ইতিহাসে আবার এই প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার মাধ্যমে। এতে চীন, ভারত ও হংকংয়ে এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ মারা যান। পরবর্তীতে এই প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে ভারত, আফ্রিকা, ইকুয়েডর, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও। প্রায় দুই দশক স্থায়ী এ মহামারীতে প্রাণ হারায় ১ কোটির বেশি মানুষ। ১৮৯০-এর দশকে প্লেগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন হওয়ার ফলে এই রোগের প্রকোপ কমে আসে। বিশ শতকের সবচেয়ে বড় প্লেগ মহামারী দেখা দেয় ১৯১০ সালে। চীনের মাঞ্চুরিয়ায় দুই বছরে মারা যায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। ভ্যাকসিন ততদিনে  উদ্ভাবন হওয়ায় রোগটি আর বেশিদূর ছড়াতে পারেনি।

 

মশার বংশবিস্তার রোধ ও টিকা প্রদান

ইয়েলো ফিভার এপিডেমিক (১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দ)

১৭৯৩ সালে ইয়েলো ফিভার আঘাত হানে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায়। তাই এর নামকরণ হয় ইয়েলো ফিভার এপিডেমিক অব আমেরিকা। এটি মশাবাহিত রোগ। এতে ফিলাডেলফিয়ার ১০ ভাগের এক ভাগ; প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ মারা যায়। ইয়েলো ফিভার একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষণসমূহ হলো- জ্বর, ক্ষুধামন্দা, বমিভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা ও মাথাব্যথা। লক্ষণগুলো সাধারণত পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো উন্নতি হওয়ার একদিনের মধ্যে পুনরায় জ্বর হতে পারে, পেটব্যথা শুরু হয় ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জন্ডিস হতে পারে ও শরীর হলুদ হয়ে যায়। কার্যকর ও নিরাপদ টিকার ব্যবহার ও মশার বংশবিস্তার রোধ করে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। যেসব এলাকায় টিকার ব্যবস্থা নেই সেখানে মহামারী ঠেকানোর জন্য প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় ও টিকাদানের ব্যবস্থা করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে।

 

প্রতিকার থেকে প্রতিরোধে গুরুত্ব

সার্স (২০০২ খ্রিস্টাব্দ)

সার্স অর্থাৎ সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এক জাতীয় বিড়াল থেকে ভাইরাসটি এসেছিল। তবে এটি বাঁদুড়ের দেহেও পাওয়া গেছে। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দুবার এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ৮ হাজারের বেশি আক্রান্তের মধ্যে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়। ফলে নড়েচড়ে বসে বিশ্ব। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এরকম আরেকটি ভাইরাস হচ্ছে মার্স। এটি সার্সের একই গোত্রীয় ভাইরাস। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বায়ুবাহিত এ রোগের জীবাণু সহজে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে আক্রান্তদের ৩৫ শতাংশ মারা যায়। এই রোগের নাম দেওয়া হয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে মার্স। করোনাভাইরাস গোত্রীয় বলে ভাইরাসটির নাম মার্স করোনাভাইরাস। সৌদি আরব ছাড়াও এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন দেশে। চিকিৎসাবিজ্ঞান দ্রুত কাজ শুরু করলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারেনি। মার্সের ক্ষেত্রে সফলতা এসেছিল দ্রুত। মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী মার্স নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। মার্স নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও আজকে যে করোনা তা কিন্তু এরই একটি রূপ। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে করোনাতে দিন দিন  মানুষের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই।

 

জোনাস সাল্কের টিকা আবিষ্কার

পোলিও (১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ)

পোলিওমাইলিটিজ এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। সচরাচর এটি পোলিও নামেই সর্বাধিক পরিচিত। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি এ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িক কিংবা স্থায়ীভাবে শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হন ও তার অঙ্গ অবশ বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ১৯১৬ সালে পোলিও রোগ প্রথম মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সে বছর নিউইয়র্কে নয় হাজার মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে ছয় হাজার মানুষই মৃত্যুবরণ করেন! নিউইয়র্ক শহর থেকে ক্রমে পোলিওর প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছর বিশ্বে কত শত মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার কোনো সঠিক তথ্যও পাওয়া যায় না। অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যেতে থাকে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে ১৯৫০ সালে জোনাস সাল্ক পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে পোলিওর টিকা শিশুর জন্মের পরপরই দিয়ে দেওয়ার নিয়ম চালু হয়।  ফলে পৃথিবীতে এখন পোলিওর প্রকোপ নেই বললেই চলে।

 

পানীয়জলের বিশুদ্ধতায় সাফল্য

কলেরা (১৮১৭ খ্রিস্টাব্দ)

রাশিয়ায় ১৮১৭ সালে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সেখানে তখন প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পরবর্তীতে স্পেন, আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, জাপান, ইতালি, জার্মানি, ভারত ও আমেরিকাতেও কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল মহামারী আকারে। পরে আরও বিভিন্ন সময়ে কলেরার প্রাদুর্ভাব প্রত্যক্ষ করেছিল পৃথিবীর মানুষ। জন স্নো নামের এক চিকিৎসক প্রথম কলেরা রোগের সঙ্গে দূষিত পানির যোগসূত্র আবিষ্কার করেছিলেন। যেসব এলাকায় কলেরায় মৃত্যুর হার বেশি সেসব এলাকায় পানি দূষিত ছিল। পানিদূষণ রোধ করার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজিকের মতো কলেরার সংক্রমণ নানা অঞ্চলে কমতে থাকে। এ ঘটনার পরই বিশ্বের নগরগুলোর স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকার তালিকায় সর্বাগ্রে স্থান পেতে থাকে। সেই সঙ্গে পানীয়জলের বিশুদ্ধতা রক্ষার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়। আর জন স্নোকে এখন আধুনিক রোগতত্ত্বের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। বর্তমানে কলেরা প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগের কারণে প্রায় ৩৭ শতাংশ কলেরা রোগী সেরে উঠেছে। এমনকি মৃত্যুর মুখ থেকে  ফিরে এসেছে অনেক রোগী।

 

টিকা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা

গুটিবসন্ত (১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ)

গুটিবসন্ত বা স্মল পক্স ভ্যারিওলা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতো। এই মারাত্মক ব্যাধি কীভাবে প্রথম শুরু হয়েছিল সঠিকভাবে জানা যায়নি। এই রোগে মানবদেহে প্রথমে এক ধরনের গুটি বের হয় যা পরবর্তী সময়ে তিল বা দাগ, কুঁড়ি, ফোস্কা, পুঁজবটিকা এবং খোসা বা আবরণ ইত্যাদি পর্যায়ের মাধ্যমে দেহে লক্ষণ প্রকাশ করে। গুটিবসন্তের টিকা আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৭৯৬ সালে। অথচ টিকা আবিষ্কারের প্রায় ২০০ বছর পরেও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে ভারতে। ১৯৭০ সালে লক্ষাধিক মানুষ রাতারাতি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তী কয়েক বছরে ভারত সরকার এবং জাতিসংঘের সহায়তায় গঠিত একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালেই ভারতকে গুটিবসন্ত মুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হয়।  এডওয়ার্ড জেনার গুটিবসন্তের প্রথম টিকা আবিষ্কার করেন। এটিই ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথম সফল টিকা। অথচ টিকা আবিষ্কারের প্রায় ২০০ বছর পরও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে  হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে!

 

আইন করে মাস্ক পরিধান

দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক (১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ)

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অর্থোমিক্সোভিরিডি ফ্যামিলির একটি ভাইরাস, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য দায়ী। বিভিন্ন সময়ে এটা লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সাল সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই মহামারীকে তখন নাম দেওয়া হয় ‘স্প্যানিশ ফ্লু’। এটি ‘দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক’ নামেও পরিচিত। গ্রিক বিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস প্রথম ২ হাজার ৪০০ বছর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন। এরপর বিশ্বব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা ঘটিত নানা মহামারী ঘটার প্রমাণ রয়েছে। মাত্র এক বছরেই ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক কেড়ে নেয় কোটির বেশি মানুষের প্রাণ! সে সময় দেশে দেশে সরকার সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানের জন্য আইন পাস করে,  দীর্ঘদিনের জন্য বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়।

সর্বশেষ খবর