চলতি মৌসুমে ২১ ম্যাচের ১১টিতেই ক্লিনশিট ধরে রেখেছেন জিকো। জিকো যেন চীনের মহাপ্রাচীর। বসুন্ধরাকে কত ম্যাচ থেকে উদ্ধার করেছেন তার হিসাব মেলানো মুশকিল। শহীদুর শান্টু ও মহাসিনের পর জিকোই যেন দেশের সেরা গোলরক্ষক হয়ে গেছেন।
প্রথমার্ধ্বে ইনজুরি আক্রান্ত দল নিয়ে বেশ সমস্যায় ছিল বসুন্ধরা কিংস। তপু বর্মণ, জনাথন ফার্নান্দেজ, খালেদ শাফি, তারিক কাজীরা ইনজুরিতে ছিলেন। ফর্ম ছিল না ব্রানিয়েসের। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ড লাইনের কঠিন আক্রমণগুলো শক্ত হাতে সামলেছেন জিকো। প্রায় প্রতি ম্যাচে ৩-৪টা নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। আগের দুই মৌসুমে লিগে ১২টি করে ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রাখেন জিকো। কিংসের গোলপোস্টের সামনে তিনি যেন চীনের মহাপ্রাচীর।
বসুন্ধরা কিংসের এ গোলরক্ষক টানা তিনবার লিগ শিরোপা জিতেছেন। তিনটির মধ্যে এবারের লিগ শিরোপাই সবচেয়ে বেশি কঠিন ছিল বলে জানালেন তিনি। জিকো বলেন, ‘আমরা টানা তিনটি লিগ শিরোপা জিতে দারুণ আনন্দিত। তিনটি ট্রফির মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ছিল তৃতীয়টি। এ কারণে এটার গুরুত্ব অনেক।’ গোলপোস্টের সামনে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন জিকো। এর রহস্য কী! জিকো বলেন, ‘কঠোন অনুশীলন করি। কোচদের পরামর্শ মেনে চলি। ঘুম, খাবার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই করি। বাকি সময় কেবল পারফরম্যান্সের কথাই চিন্তা করি। ফিটনেস নিয়ে কাজ করি।’ লিগ চলাকালীন মাত্র তিন ঘণ্টা করে ঘুমিয়েছেন জিকো। তিনি বলেন, ‘শিরোপা জেতার আগে ঘুম নিয়ে ভাবতেও পারিনি। শিরোপা জয় করেছি। এবার কিছুদিন নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নিতে পারব।’