রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

অদ্ভুত সব গ্রাম

শামছুল হক রাসেল

অদ্ভুত সব গ্রাম

গ্রাম শব্দটি উচ্চারিত হলেই চোখে ভেসে ওঠে নির্মল বায়ু, সবুজে ভরা প্রাকৃতিক দৃশ্য অথবা নদীর কলকল ধ্বনি। অথচ বিশ্বে এমন কিছু গ্রাম আছে যেগুলো নানা বৈচিত্র্যে বিদ্যমান।  কোনো গ্রাম তৈরি হয়েছে নলখাগড়া দিয়ে, আবার কোনটা তৈরি পাথরে।

 

সিনেমা ম্যাজিক

মাতামাতা [নিউজিল্যান্ড]

মাতামাতা গ্রামটিকে রূপকথার জগৎ বললে অনেকেই ভুল করবেন। অনেকেই এটিকে ব্যারিটি বা ইঁদুরের গ্রাম বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। গ্রামটি নিউজিল্যান্ডের কাইমাই রেঞ্জেসের কাছাকাছি অবস্থিত। ছবির মতোই সুন্দর গ্রামটিতে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৬ হাজার। এ ছাড়া ঘোড়ার পিঠে চড়ে কৃষিকাজ করার মজার এক অভিজ্ঞতা হবে গ্রামটিতে। অত্যন্ত উর্বর মাটির এ গ্রামটি চাষাবাদের জন্য খুবই বিখ্যাত। গ্রামটির কাছাকাছি দূরত্বে হবিটন ফার্মটি অবস্থিত। এই হবিটন ফার্মটিতে পিটার জ্যাকসন পরিচালিত লর্ড অব দ্য রিংস সিনেমার সেট রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে নিউজিল্যান্ড সরকারের তত্ত্বাবধানে পর্যটকদের আগ্রহী করতে ইঁদরের গর্ত তৈরি করা হয়েছে।

উনিশ শতকের শুরুতে এ অঞ্চলটি নাপাত হাওয়ার অংশবিশেষ ছিল। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম গ্রামটিতে ইউরোপীয় পর্যকটদের সমাগম ঘটে। তবে পরবর্তীতে স্থানীয় আদিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ইউরোপীয়রা।

গ্রামটিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের উপজীব্য কৃষিকাজ হলেও গ্রামটির মানুষ খুবই রোমাঞ্চপ্রিয়। ঘোড়াকে বস মানানো গ্রামটির বাসিন্দাদের শখের মধ্যে অন্যতম। কৃষিকাজের পাশাপাশি গ্রামের মানুষজন গবাদিপশু পালনে বেশ আগ্রহী। তবে লর্ড অব দ্য রিংস সিনেমার সেট তৈরি করার পরবর্তী সময়কাল থেকে বিশ্বের পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  এ ছাড়া মাতামাতা গ্রামটির আশপাশের শহরের অনেকেই এখানে অবসর সময় কাটাতে ছুটে আসেন।

 

অন্যরকম বাড়িগুলো

হাক্কা ওয়াল [চীন]

চীনের হাক্কা ওয়াল গ্রামটি সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে সেখানকার বিশেষ গঠনশৈলীর বাড়িগুলোর কারণে। এসব বাড়ির আকার-আকৃতি অন্য যে কোনো বাড়ি থেকে ভিন্ন ও স্বতন্ত্র। দেখতে সাদামাটা হলেও নয়ন জুড়াতে এগুলোর কোনো জুড়ি নেই। মূলত গঠনশৈলীর কারণে বিশ্বের স্বতন্ত্র গ্রামের তালিকায় উঠে এসেছে এটি।  বাড়িগুলোতে একই সঙ্গে অনেক পরিবার বসবাস করতে পারে। চীনের দক্ষিণাংশে অবস্থিত গ্রামটিতে বসবাসকারী সম্প্রদায়কে হাক্কা নামে সবাই চিনে। মূলত হাক্কা জনগণের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন বলা যেতে পারে। চীনের ম্যান্ডারিন ভাষায় হাক্কাদের ‘কেজি জিয়া’ বলা হয়। হাক্কা ওয়াল গ্রামটির একত্রিত বাড়ির কারণ হলো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মূলত শত্র“দের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গ্রামটির বাসিন্দারা একই বাড়িতে বসবাস করে। চীনের উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী জনগণ মিলে দক্ষিণাঞ্চলের এই হাক্কা গ্রাম প্রতিষ্ঠা করে। ১৭ শতাব্দী থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতিবেশী গ্রামগুলোর সঙ্গে প্রায়ই সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটে প্রাণহানি। ফলে দিনের পর দিন গ্রামটির জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। মূলত পার্শ্ববর্তী পুনোটি গ্রাম অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হওয়া শুরু করলে হাক্কা গ্রামের বাসিন্দারা তাদের রুখতে একত্রে বসবাসযোগ্য বাড়ি তৈরি করতে শুরু করে। গোলাকৃতির বাড়িগুলোকে খন্ড খন্ড অংশে ভাগ করে খাবার স্টোরেজ, বাসগৃহ, সব মন্দির অস্ত্রশস্ত্র রাখার স্থান তৈরি করা হয়েছে। ইট, পাথর এবং শক্ত মাটির সমন্বয়ে গঠিত বাড়িগুলো দৃঢ়।  বাড়িগুলোতে এক মিটার পুরুত্বের দেয়াল রয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও নির্মাণের গঠনশৈলী ধরে রেখেছে চীনের এই গ্রামটি।

 

সবার উঁচুতে

নাগরকোট  [নেপাল]

গ্রামটির বৈশিষ্ট্য হলো পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম স্থানে অবস্থিত এটি। এখানকার মানুষ নিচের দিকে তাকিয়ে মেঘ দেখতে পারেন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পর্বতশৃঙ্গের প্রতিবেশী গ্রামটির নাম ‘নাগরকোট’। নেপালের নাগরকোট গ্রামটি ভূমি থেকে ২১৯৫ মিটার বা ৭২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখানকার লোকজন ঘুম থেকে উঠে দরজা খুললেই দেখতে পান খন্ড খন্ড ভাসমান মেঘ। ঐতিহ্যবাহী এ গ্রামটিতে বর্তমানে সাড়ে ৩ হাজার আদিবাসী বাস করেন। পর্বতে কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করে গ্রামটির বাসিন্দারা। নেপালের রাজধানী কাঠমা-ু থেকে ২০ মাইল পূর্বদিকে অবস্থিত গ্রামটির মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। পৃথিবীর অন্যান্য গ্রামে বসবাসকারী মানুষজন যেখানে মাঠ থেকে ওপরে তাকিয়ে আকাশকে দেখে, সেখানে নগরকোট গ্রামের বাসিন্দারা নিচে তাকিয়ে আকাশ দেখে। ঠিক যেন স্বর্গের অপার সৌন্দর্য অনুভব করার মতো অবস্থা। গ্রামটির আদিবাসীরা পাহাড়ের বুকে টেরাকোস্টা কেটে একেকটি বাড়ি তৈরি করেছেন। পাহাড়ের সরু ও উঁচু-নিচু ঢালু পথ দিয়ে চলাচলে খুবই দক্ষ এই গ্রামের সাধারণ মানুষ। শিশুরা বড়দের পাশাপাশি কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে।  মানুষজনের জীবনধারা অত্যন্ত সাদাসিধে হলেও প্রশান্তিতে ভরপুর প্রতিটি বাসিন্দার মুখই বলে দেয় কতটা আনন্দে জীবনযাপন করছেন তারা। জীবিকানির্বাহের জন্য পাহাড়ের ঢালে খাদ্যশস্য উৎপাদন করে তারা। খুব কম বসতি হওয়ায় এখানকার বাসিন্দারা প্রত্যেকের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

 

স্বর্গের শোভা

পপেয়া [মাল্টা]

মাল্টা। পৃথিবীর অন্যতম ছোট্ট একটি দেশ। যেখানে বাস করে মাত্র ৫ লাখের কিছু বেশি মানুষ। আর পরিধির কথা বলতে গেলে- ৪০ মিনিটেই দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছা যায়। এর মধ্যেই আছে ছোট্ট একটি গ্রাম পপেয়া। পৃথিবীর আনাচে-কানাচে যে কত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে তা পপেয়া গ্রামটিকে না দেখলে বোঝা যাবে না। মূলত সৌন্দর্যপিপাসুদের কল্যাণে গ্রামটি স্বতন্ত্র তালিকায় উঠে এসেছে। পপেয়া গ্রামটিকে অনেকে সুইট হ্যাভেন বা স্বর্গের শোভা বলেও চিনে থাকে। মাল্টার ভূমধ্যসাগরীয় আইল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত আংকর বেতে পপেয়া গ্রামটির অবস্থান। গ্রামটিতে কাঠের তৈরি অপূর্ব সৌন্দর্যের বাড়িগুলো চোখে পড়ার মতো। গ্রামটি বর্তমান সময়ে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

১৯৮০ সালে রবিন উইলিয়ামসের ‘পেয়ো’ সিনেমার জন্য গ্রামটিতে সিনেমার সেট তৈরি করা হয়। তবে গ্রামটিতে মূলত সিনেমার সেট তৈরিকে কেন্দ্র করে ১৯৭৯ সালে ১৬৫ জন ক্রু মিলে সাত মাস অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৯টি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি নির্মাণ করে। সে সময় সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রচুর পরিমাণে কাঠের সৌন্দর্যবর্ধক সরঞ্জাম নেদারল্যান্ডস থেকে আনা হয়। এ ছাড়া কানাডা থেকে আনা হাজার গ্যালন রং দিয়ে গ্রামটিকে রঙিন করে তোলা হয়। গ্রামটির মুখে ২০০-২৫০ ফুট অঞ্চল ‘অ্যাংকর বে’-এর পানি দিয়ে পূর্ণ করা হয়, যাতে শুটিংয়ের সময় এটিকে দেখতে সমুদ্রের মতো মনে হয়। সে সময় গ্রামটিকে রূপকথার রাজ্যের থিম মাথায় রেখেই সাজানো হয়।  বর্তমান সময়ে পপেয়া গ্রামটিকে পর্যটন স্পট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সপ্তাহে একদিন পর্যটকদের দর্শনের জন্য গ্রামটিকে উন্মুক্ত করা হয়।

 

পাটখড়ির নলখাগড়া

ইউরোস [দ. আমেরিকা]

দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম আকর্ষণীয় গ্রাম এটি। ইউরোস গ্রামটি একটি বিস্ময়কর গ্রাম। কারণ এই গ্রামের পুরোটাই নলখাগড়াতে তৈরি এবং এটি পেরু এবং বলিভিয়ার সীমানায় টিটিকাকা লেকে ভাসমান অবস্থায় আছে। এখানকার প্রতিটি ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা নলখাগড়া দিয়ে তৈরি। এ ছাড়া এ গ্রাম জমি, বালু এবং পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। 

  ‘Totora’  নামক লেকে ভাসমান এক প্রকার বাঁশের পাতলা ছড়ি বা পাটের খড়ি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দ্বীপ এই ইউরোস। দূর থেকে এই গ্রাম দেখতে দুর্গের মতো মনে হয়। কারণ এখানকার স্থাপনাগুলো মিনারের মতো তৈরি করা হয়েছে। এই গ্রাম স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বারাই তৈরি হয়েছে। এখানকার প্রতিটি বাসিন্দা নান্দনিক ও শৈল্পিক কারুকার্যে দীক্ষিত। তারা এই নলখাগড়া দিয়ে শুধু তাদের ঘরবাড়ি বানাননি, বানিয়েছেন সেই দ্বীপটিও যেটিতে তারা এখন বাস করছে। তারা নৌকা বানাতেও এই নলখাগড়া ব্যবহার করে। এক কথায় বলতে গেলে, এসব পাটের খড়ি ও নলখাগড়াকে পুঁজি করেই তাদের দৈনন্দিন ও ব্যবসায়িক কাজকর্ম সম্পাদিত হয়।

 

পাথরের রাজ্য  কান্দোভান [ইরান]

প্রথমবার এই গ্রাম দেখার পর আপনি নিঃসন্দেহে অবাক হবেন। মনে হবে পাথররা আপনাকে বলছে, শক্ত নিরেট প্রস্তর শহরে আপনাকে স্বাগত।

ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের একটি পর্যটন গ্রাম এই কান্দোভান। এর পুরোটাই পাথরে তৈরি। মূলত, এই স্থান ছিল আগ্নেয়শিলা সমৃদ্ধ একটি স্থান। মঙ্গোলিয়া থেকে পালিয়ে আসা বাসিন্দারা নিজেদের লুকিয়ে রাখার জন্য পাথর দিয়ে এই গ্রাম তৈরি করেছিলেন। গ্রামটি সত্যিই বিস্ময়কর। শুধু এসব আগ্নেয়শিলার দিকে চোখ বুলালে যে কেউ বুঝতে পারবেন এ গ্রামের স্বাতন্ত্রতা। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে, পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ঘরবাড়ি অবস্থিত। এসব দেখে প্রস্তর যুগে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা জাগতে পারে যে কারও। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, পাথরে ঘেরা এই গ্রামে The Laleh Kandovan  নামে পাথরের তৈরি একটি আন্তর্জাতিক পাঁচ তারা হোটেলও রয়েছে।

 

নিজস্ব সূর্য ভিজানেলা [ইতালি]

ইতালিতে Verbano-Cusio উপত্যকার নিচে একটি গ্রাম অবস্থিত। যে কারণে গ্রামটি স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছে-তা শুনলে অনেকেই আঁতকে উঠবেন। কারণ এই গ্রামে নাকি নিজস্ব সূর্য আছে। একেবারে ব্যক্তিগত সূর্য। কীভাবে সম্ভব? আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এই সূর্য প্রকৃতি প্রদত্ত নয় বরং মানুষের নিজের হাতে বানানো। উপত্যকার নিচের দিকে অবস্থানের কারণে এই Viganella গ্রামের বাসিন্দারা কখনই সূর্যের আলো পায় না। তাই গ্রামের একজন স্থপতি  এর acomo Bonzani  সৌরশক্তিতে চলমান একটি কৃত্রিম সূর্য বানান।

প্রকল্পে তিনি একটি দৈত্যাকার আয়না ব্যবহার করেন যা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে উপত্যকার নিচের দিক পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে এ বিশাল আয়নার জন্যই এখানে সূর্যের আলো পৌঁছায়। এই আয়না বাসিন্দাদের কাছে কৃত্রিম সূর্য নামেই পরিচিত। আর গ্রামটি হয়ে ওঠে কৃত্রিম সূর্যের।

 

যে গ্রামে সবাই যমজ

কোধিনি [ভারত]

কোধিনি। কেরলের মালাপ্পুরম জেলার এই গ্রামটি এখন যমজের গ্রাম নামেই পরিচিত। যে কোনো দিকে তাকালে চোখে পড়বে জোড়ায় জোড়ায় একই রকম ব্যক্তি। এই গ্রামটি ভারত তথা বিশ্বের এক বিস্ময়কর গ্রাম। কারণ এখানেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যমজের বাস। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই গ্রামের মোট ২ হাজার বাসিন্দার ৪০০ জোড়া যমজের বাস। যেখানে সমগ্র বিশ্বে গড়ে ১ হাজার যমজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে  কোধিনিতেই যমজের হার ৪৫ শতাংশ। গ্রামটি তিন দিক দিয়ে পানিবেষ্টিত। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ থেকে ভারতে যমজ জন্মানোর রেকর্ড কম, কিন্তু এই কোধিনি বাকি সব অঞ্চলকে ছাপিয়ে গেছে। কোধিনি গ্রামে সব ধরনের যমজ দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণ যমজ বা নন-আইডেনটিক্যাল টুইন এবং হুবহু একই রকম দেখতে আইডেনটিক্যাল টুইন। আবার দুটি যমজ ভাইবোনের দেখাও পাওয়া যায় এখানে। কিন্তু এই গ্রামে যমজের সংখ্যা এত বেশি কেন? তা নিয়ে স্থানীয়দের ধারণা অনেকটা এ রকম, ১৯৪৯ সালে এখানে প্রথম যমজ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে।

 

এরপর থেকে প্রতি বছরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই সংখ্যা। কারও কারও মতে, এ গ্রামের পরিবেশ এবং জিনগত কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। কেবল এ গ্রামেই নয়, গ্রামের যেসব মেয়ের বাইরে বিয়ে হয়েছে, সেখানেও তারা যমজ সন্তান জন্ম দিয়েছেন।  স্বভাবতই কোধিনি গ্রামের এই অদ্ভুত ঘটনায় বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় সবাইকে। কারণ অনেক সময় একই চেহারার দুজন মানুষকে তারা নিজেরাই আলাদা করতে পারেন না। বেশির ভাগ পর্যটকই এটা দেখতে যান যে, ওই গ্রামে আসলেই ৪০০ জোড়া জমজ আছে কি না তা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর