বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিশ্বসেরা ফুটবল ক্লাব

বিশ্বসেরা ফুটবল ক্লাব

কেন তারা সেরা

যে কোনো খেলাতেই বড় ভূমিকা পালন করেন সমর্থকরা। তাছাড়া সমর্থক সংখ্যার ভিত্তিতে দল কিংবা ক্লাবগুলোর মধ্যে বড় বাণিজ্য থাকে। যদিও সেরা ফুটবল ক্লাবগুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত চলে নানা আলোচনা। আর কোন ক্লাব সেরা, কাদের কাছে বেশি শিরোপা বা কাদের সমর্থক সংখ্যা কত- এসবের হিসাব-নিকাশ করেন বিশ্লেষকরা। তারাও সেরা ক্লাব নির্ধারণ করে থাকেন অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়া- ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটারের অনুসারী সংখ্যা আর তাদের স্পন্সরশিপ ও প্রচার বিবেচনায় উঠে আসে সেরা ক্লাবের তালিকা। আর এসব হিসেবে সাহায্য করে- দলের সক্ষমতা, আগের পারফরম্যান্স ডেটা, জনপ্রিয়তা এবং চ্যাম্পিয়নশিপ। সাধারণত যে ক্লাবের সফলতা যত বেশি হয় সেই ক্লাবের সমর্থকও তত বেশি থাকে। তবে সব ক্ষেত্রেই যে বিষয়টি এমন, তা নয়। কারণ ভৌগোলিক সীমানা থেকে শুরু করে ইতিহাস, সংস্কৃতি এসব বিষয় সমর্থক বাড়াতে বা কমাতে ভূমিকা রাখে। আবার ক্লাবও টিকিট ও জার্সি বিক্রি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থনের ওপর ভিত্তি করে আয় থেকে উপকৃত হয়। ফুটবলের জনপ্রিয়তার নিরিখে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো এগিয়ে। পিছিয়ে নেই আমেরিকান ক্লাবগুলোও। সম্প্রতি মধ্যপ্রচ্যের বেশ কয়েকটি ফুটবল ক্লাবও জনপ্রিয়তার পালে দোলা দিয়ে যাচ্ছে। বিংশ শতাব্দীতে অনেক ইউরোপীয় এবং দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল দল মাঠে তাদের আধিপত্য ধরে রেখেছে। বিশ্ব দেখেছে অনেক দক্ষতা এবং উচ্চ মাত্রার ফিটনেসসহ খেলোয়াড়দের খেলায় যোগ দিতে এবং ছেড়ে যেতে। এখানে কয়েকটি দল রয়েছে যারা বছরের পর বছর সেরা পারফর্ম করেছে এবং বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে। তারা তাদের দুর্দান্ত খেলার জন্য সুপরিচিত। ২০২৩ সালের সেরা ফুটবল ক্লাবের তালিকায় রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস, চেলসি, প্যারিস সেন্ট জার্মেই, বায়ার্ন মিউনিখ, আর্সেনাল, লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটির মতো সবচেয়ে বেশি পছন্দের দল। ফোর্বসে ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের বিশ্বে সবচেয়ে দামি দুই ক্লাব ছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কোন ক্লাবের জনপ্রিয়তা কতটুকু তা পরিমাপ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্লাবগুলোর সমর্থকদের সংখ্যা উল্লেখ করা যেতে পারে। এই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সমর্থক স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের। তাদের সমর্থকসংখ্যা প্রায় ২৭০ মিলিয়ন। পরের অবস্থানে রয়েছে স্প্যানিশ আরেক জনপ্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা। একই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে লিভারপুল (ইংল্যান্ড), ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (ইংল্যান্ড), জুভেন্টাস (ইতালি), চেলসি (ইংল্যান্ড), পিএসজি (ফ্রান্স), বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি) ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড) এবং আর্সেনাল (ইংল্যান্ড)।

 

রিয়াল মাদ্রিদ

স্পেন

স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের জন্ম ১৯০২ সালের ৬ মার্চ। এটি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সফল ক্লাব। একের পর এক ইতিহাস গড়েই ভক্তদের হƒদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ঘরোয়া ফুটবলে রিয়াল এ পর্যন্ত ৬৪টি শিরোপা জয় করেছে। রিয়াল মাদ্রিদের ৩৫টি লা লিগা চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা অন্য যে কোনো স্প্যানিশ দলের চেয়ে বেশি। তারা দুটি উয়েফা কাপ, ১৯টি কোপা দেল রে কাপ, ২৫টি কোপা ইভা ডুয়ার্তে শিরোপা এবং আরও অনেক কিছু জিতেছে। তারা সবচেয়ে বেশি লাল লাইফগ্যাস শিরোপা ঘরে তুলেছে। ফিফা কাপ অব দ্য সেঞ্চুরি জেতার জন্য তারা ৪২.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এ ছাড়াও উয়েফা সুপারকাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, স্প্যানিশ সুপারকাপসহ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অসংখ্য শিরোপা জিতেছে তারা। যুগে যুগে অসংখ্য কিংবদন্তি খেলোয়াড় ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। যাদের মধ্যে রোনাল্ডো, রবার্তো কার্লোস, জিনেদিন জিদান, লুইস ফিগো, ডেভিড বেকহ্যাম, রাউল গঞ্জালেস এবং ইতালির ফ্যাবিও অন্যতম। ২০১৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ফোর্বস দ্বারা প্রকাশিত ফোর্বস সবচেয়ে মূল্যবান ফুটবল ক্লাবের তালিকায় স্থান পায়।

মোট সম্পদ :  ৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ১১৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ১৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ১৪০ দশমিক ২ মিলিয়ন

 

বার্সেলোনা

স্পেন

রিয়াল মাদ্রিদের শক্ত প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা। বলা হয়- এটি স্পেনের দ্বিতীয় সবচেয়ে পছন্দের পেশাদার ফুটবল দল। তাদের অর্জনের ঝুলিতে অনেক জয় এবং পুরস্কার রয়েছে। বার্সেলোনার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো খেলোয়াড়দের সমন্বয় এবং খেলার ধরন। ফুটবলের জনক ডাচ্ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ এই দর্শনে পরিবর্তন এনেছিলেন। ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এফসি বার্সেলোনা। তারা ২৬টি লা লিগা, ৩১টি কোপা দেল রে, ১৩টি সুপার কাপ, তিনটি কোপা এভা দুয়ার্তে এবং দুটি কোপা দে লা লিগা ট্রফি জিতেছে। আন্তর্জাতিক খেলায়ও তাদের অর্জন অনেক। তারা মোট ২০টি ট্রফি জিতেছে, যার মধ্যে পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, রেকর্ড চারটি উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ, যৌথ রেকর্ড পাঁচটি উয়েফা সুপার কাপ, রেকর্ড তিনটি ইন্টার সিটিজ ফেয়ার্স কাপ এবং যৌথ রেকর্ড তিনটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ।

মোট সম্পদ :  ৫ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ৭৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ২৮ দশমিক ১ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ৯৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন

 

লিভারপুল

যুক্তরাজ্য

১৯৭৮ সাল ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাকাল। এর পুরনো নাম ছিল সেন্ট ডমিঙ্গো ক্লাব। পরবর্তীতে এভারটন, সবশেষ লিভারপুল এফসি রাখা হয়। তারা ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ী ক্লাব। এর বাইরেও ছয়টি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনটি উয়েফা ইউরোপা লিগ, চারটি উয়েফা সুপার কাপ, আটটি এফএ কাপ ছাড়াও অসংখ্য অর্জন রয়েছে তাদের। সবশেষ দুটি ইউরোপিয়ান কাপ (২০০৫ ও ২০১৯) ও ২০২০ সালের ১৯তম লিগ শিরোপা পেয়েছে দলটি। সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জনের তালিকায় তারা দ্বিতীয়। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায়ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে দ্বৈতভাবে শীর্ষে অবস্থান করছে লিভারপুল এফসি।

মোট সম্পদ : ৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ৪৫ দশমিক ১ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ২৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন

বাৎসরিক জার্সি বিক্রয় : ১ কোটি ২০ লাখ

 

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

যুক্তরাজ্য

ইংলিশ ফুটবলে পুরাতন ক্লাবগুলোর মধ্যে ম্যানইউ অন্যতম। ১৮৭৮ সালে ক্লাবের প্রতিষ্ঠকাল। আগের নাম নিউটন হিথ এফসি, পরবর্তীতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড করা হয়। সর্বাধিক পছন্দের ক্লাবগুলোর মধ্যে এটি তৃতীয়। ১৯০৭-০৮ এবং ১৯১০-১১ মৌসুমে প্রথম বিভাগ ইংলিশ লিগ জিতলেও পরের ৪০ বছর তারা শিরোপাশূন্য ছিল। ১৯৪৫ সালের পর ম্যানইউ বিশ্বসেরার খেতাব অর্জন করে। ১৯৬৮ সালে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী প্রথম ইংলিশ ক্লাব তারা। ২০০৮ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ী দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এ ছাড়াও এফএ কাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগের মুকুটও অর্জন করেছে ক্লাবটি।

মোট সম্পদ : ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ৮৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ১৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ৪১ দশমিক ২ মিলিয়ন

বাৎসরিক জার্সি বিক্রয় : ২ কোটি ৩০ লাখ

 

বায়ার্ন মিউনিখ

জার্মানি

১৯০০ সাল বায়ার্ন মিউনিখের প্রতিষ্ঠাকাল। ১৯৩২ সালে প্রথমবার তারা লিগ শিরোপা অর্জন করে। ষাটের দশকে ১৪টি শিরোপার দেখা পায় এই জার্মান ক্লাব। এরপর আরও দুটি শিরোপা আসে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট পাঁচটি শিরোপা, জার্মান কাপ, উয়েফা সুপারকাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপসহ অসংখ্য শিরোপা জিতেছে দলটি। ফুটবলে তারা তাদের দলের ধারাবাহিক সক্ষমতার বজায় রেখে চলেছে। গেল কয়েক বছর ধরে দলটি বিশ্বের অসংখ্য ফুটবলপ্রেমীদের পছন্দের দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তাদের অর্জনের ঝুলিতে আরও রয়েছে ৩২টি বুন্দেসলিগা শিরোপা, ২০টি ডিএফবি-পোকাল শিরোপা এবং দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি।

মোট সম্পদ : ৪ দশমিক ২৭৫ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ৫৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ১৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ২৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন

বাৎসরিক জার্সি বিক্রয় : ১ কোটি ৪০ লাখ

 

চেলসি

যুক্তরাজ্য

বিশ্বের অভিজাত ফুটবল ক্লাবের মধ্যে চেলসি অন্যতম। এটি পশ্চিম লন্ডনের পেশাদার ফুটবল ক্লাব। ১৯০৫ সালে যুক্তরাজ্যে এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ তাদের হোমগ্রাউন্ড। তাদের অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে সুপার কাপ, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ২০১২ সালে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে চেলসি। পরের বছর জিতে নেয় ইউরোপা লিগ ট্রফি। তারাই প্রথম দল- যারা চারটি বড় ইউরোপীয় ট্রফি অর্জন করেছে। চলতি বছরের উয়েফা লিগে তারা ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয়। ব্লুজ বিশ্বের সেরা ফুটবল দলগুলোর তালিকায় চেলসির অবস্থান পঞ্চম।

মোট সম্পদ : ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ৫৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ২৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ২৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন

বাৎসরিক জার্সি বিক্রয় : ১ কোটি ১০ লাখ

 

ম্যানচেস্টার সিটি

যুক্তরাজ্য

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে এর হোম গ্রাউন্ড। ১৮৮০ সালে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালে ক্লাবটিকে কিনে নেয় আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ। এতে তারা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ক্লাবে পরিণত হয়। ২০১২ সালে তারা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতে, যা ৪৪ বছরের মধ্যে তাদের প্রথম লিগ শিরোপা। ২০১৩-১৪ মৌসুমে তারা আবারও লিগ শিরোপা জেতে। তারা সর্বমোট লিগ সাতবার, এফএ কাপ ছয়বার, ইএফএল কাপ সাতবার এবং একবার ইউরোপীয় কাপ জেতে। ২০২৩ সালে বিশ্বের সেরা ফুটবল ক্লাবের খেতাব পেয়েছে দলটি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপে তারা হয়েছে রানার্স আপ।

মোট সম্পদ : ৪ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ৪২ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ১৬ দশমিক ১ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন

বাৎসরিক জার্সি বিক্রয় : ৮০ লাখ

 

পিএসজি

ফ্রান্স

প্যারিসের পেশাদার ফুটবল ক্লাব পিএসজি। যার পুরো নাম প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি বিশ্বের ১১তম সর্বাধিক মূল্যবান ক্লাব। তারা ইতোমধ্যে অসংখ্য চ্যাম্পিয়নশিপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ সহ ৩৬টি সর্বোচ্চ স্তরের শিরোপা জয় করেছে। ফরাসি লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। ফলে এটি ফরাসি ফুটবলে সবচেয়ে সফল ক্লাব হিসেবে স্বীকৃত। ৩০টিরও বেশি চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ঘরোয়া ফরাসি ফুটবল প্রতিযোগিতায় ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০২০ সালে তারা প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা নির্ধারণী খেলায় অংশগ্রহণ করে। মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পের পিএসজি বিশ্বের জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব।

মোট সম্পদ : ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ৪৬ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন

বাৎসরিক জার্সি বিক্রয় : ১ কোটি ৬০ লাখ

 

জুভেন্টাস

ইতালি

ইতালিভিত্তিক পেশাদার ফুটবল ক্লাব জুভেন্টাস; যারা বর্তমানে ইতালির শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ সেরিয়ে আ-এ খেলে। ক্লাবটি ১৮৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৩০-এর দশক থেকে জুভেন্টাসের সফলতা আসতে থাকে স্রোতের মতো। ইতালিয়ান লিগ ও ইতালিয়ান কাপে একক আধিপত্য বিস্তার করে তারা। তারা দুবার মহাদেশীয় শিরোপা অর্থাৎ ইউরোপিয়ান কাপ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অর্জন করেছে। তারা এ পর্যন্ত ৬০টি শিরোপা জয়লাভ করেছে। যার মধ্যে ৩৬টি সেরি এ লিগ শিরোপা, ১৪টি কোপা ইতালিয়া শিরোপা, ৯টি সুপার কাপ শিরোপা, দুটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ২টি, একটি জাতীয় রেকর্ড এবং আরও অসংখ্য অর্জন রয়েছে।

মোট সম্পদ : ০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ৪৭ দশমিক ২৮ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ৪৯ দশমিক ১ মিলিয়ন

বাৎসরিক জার্সি বিক্রয় : ১ লাখ

 

আর্সেনাল

যুক্তরাজ্য

ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব আর্সেনাল। জনপ্রিয় এই ক্লাবটি বর্তমানে ইংল্যান্ডের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ প্রিমিয়ার লিগে খেলে। ১৮৮৬ সালে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯৩ সালে ক্লাবটি দ্য ফুটবল লিগে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের প্রথম ক্লাব হিসেবে যোগদান করে এবং ১১ বছর পর তারা শীর্ষ স্তরের লিগ খেলায় উত্তীর্ণ হয়। ১৯৩০-এর দশকে তারা পাঁচটি লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং দুটি এফএ কাপ এবং যুদ্ধের পরে আরও একটি এফএ কাপ এবং দুটি চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করে। ১৯৮৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে তারা আরও দুটি ডাবলসহ মোট পাঁচটি লিগ এবং পাঁচটি এফএ কাপ অর্জন করে। এটি ইংল্যান্ডের তৃতীয় মূল্যবান ক্লাব।

মোট সম্পদ : ৮৫১ মিলিয়ন ডলার

ফেসবুক সমর্থক : ৪১ দশমিক ২ মিলিয়ন

টুইটার সমর্থক : ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন

ইনস্টাগ্রাম : ১৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন

বাৎসরিক জার্সি বিক্রয় : ৮০ মিলিয়ন

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর