রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিশ্বজুড়ে ভেসে থাকা বিস্ময়

তানভীর আহমেদ

বিশ্বজুড়ে ভেসে থাকা বিস্ময়

মহাসমুদ্রে মসজিদ

সমুদ্রের নীল ঢেউয়ে ভাসমান মসজিদের মিনার আর নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের দেখে বিস্মিত হতে চাইলে যেতে হবে মরক্কো। বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এ মসজিদটি তৈরি করেছেন ক্লাসাবাঙ্কা শহরে। এর নকশা তৈরি করেছিলেন বাদশা হাসানের ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ। মসজিদটির তিন ভাগের একভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয় ঢেউয়ের বুকে মসজিদটি দুলছে। এখানে প্রায় ১ লাখ মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। এর মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার। আর মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মসজিদের ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট পরপর যান্ত্রিকভাবে খুলে যায়। ফলে মসজিদের ভিতরে প্রাকৃতিক আলো ও সমুদ্রের খোলা বাতাস প্রবেশ করতে পারে।  ২২.২৪ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এ মসজিদের মূল ভবনের সঙ্গেই আছে লাইব্রেরি, কোরআন শিক্ষালয়, অজুখানা এবং কনফারেন্স রুম। এ মসজিদের ভিতরের পুরোটাই টাইলস বসানো। কোথাও কোথাও সোনার পাত দিয়ে মোড়া হয়েছে। মসজিদ এলাকায় রয়েছে ১২৪টি ঝরনা এবং ৫০টি ঝাড়বাতি। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পীর দিনে দুই শিফট শ্রমের ফলে প্রায় সাত বছরে নির্মিত হয় এ মসজিদ।  এটি নির্মাণে খরচ হয় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

 

ম্যানহাটনের হাডসন

নদীতে নয়নাভিরাম পার্ক

নিউইয়র্ক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণের শহর। আর সেই নিউইয়র্ককে পরিচয় করিয়ে দেয় হাডসন নদী। সভ্যতার ছোঁয়া ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ নিউইয়র্কের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে। হাডসন নদী কেন বাদ যাবে। হাডসন নদীর ওপরে ভাসমান পার্ক, পারফরমেন্স স্পেস, সবুজে ঢাকা ওয়াকওয়ে, রাতের আঁধারে নদীর বুকে এক টুকরো রঙিন আলোর ছোট শহর। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে ম্যানহাটনের এ ভাসমান পাবলিক পার্ক যে কারও চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। ১৩০ থেকে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এ ভাসমান পার্কের সচিত্র খবর আসে বিজনেস ইনসাইডারে। নিউইয়র্কের ইতিহাসে পাবলিক ডোনেশনে এত বড় অংক খরচের পাবলিক পার্ক এটিই প্রথম। ভাসমান পার্ক বলা হলেও এটি রীতিমতো স্টেডিয়াম হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।  ২০১৯ সাল নাগাদ এ ভাসমান পার্ক ও স্টেডিয়ামের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। এ ভাসমান স্টেডিয়ামে যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের খরচ সাধারণ থিয়েটারের চেয়ে খুব বেশি হবে না। পায়ার ফিফটি ফাইভ নির্মাণে দ্য সিটি অব নিউইয়র্ক থেকে মিলবে ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছাড়া আলাদাভাবে নিউইয়র্ক স্টেট থেকে পাওয়া যাবে আরও ১৮ মিলিয়ন ডলার। গোটা পার্কটি নদীর বুকে এমনভাবে বসানো হবে যেন দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি ভাসছে। ওপর থেকে দেখতে এটি আলোর ফুলকির আদলে হবে। নদীর পাশ থেকে মূল সড়ক থেকে একটি সেতু ধরে এখানে আসতে হবে। উঁচু উঁচু কংক্রিটের পিলারের ওপর গোটা পার্কটি বসানো হবে। হারিকেন স্যান্ডি আঘাত হানার পর এর ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। প্রায় ৩০০টি কংক্রিটের পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এ পার্কটিতে সবুজের সমারোহ রাখা হবে।

 

ফাইভস্টার হোটেল

দামি হোটেলে যারা রাত কাটান বা কোনো কাজে থামতে হয় তাদের জন্য রীতিমতো বড় একটি চমক ‘দি মান্তা রিসোর্ট’। পাঁচ তারকা হোটেলের তকমা পাওয়া এ রিসোর্টটি শুধু পানির ওপরে ভেসেই বেড়ায় না, চাইলে পানির নিচেও আপনাকে নিয়ে যাবে। চাইলে সামুদ্রিক মাছেদের সঙ্গী করে ডিনারটাও সেরে ফেলতে পারবেন। তবে হাঙর এসে বাগড়া দেবে না নিশ্চিন্ত থাকুন।

এ রিসোর্টটি তৈরি হয়েছে আফ্রিকার দেশ তানজানিয়াতে। হোটেলটির চারপাশে রয়েছে মাছ ও পানি। এ ছাড়া প্রবাল প্রাচীরের সমারোহ। সমুদ্রপ্রেমীদের কাছে এর চেয়ে ভালো বিস্ময় আর নেই। আফ্রিকাতে পানির নিচে তৈরি হওয়া এটিই প্রথম বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল।

এ হোটেল ডিজাইন করেছে দি আটার ইন নামের সুইডিশ প্রতিষ্ঠান, যারা একই ধরনের আরেকটি ভাসমান হোটেল সুইডেনে তৈরি করেছে। রিসোর্টটি নিকটবর্তী সমুদ্র তীর থেকে প্রায় ২৫০ মিটার বা ৮০০ ফুট দূরে, যার পানির নিচে রয়েছে ৪০ ফুট। ভিতরে রয়েছে ১৭টি কক্ষ। হোটেলটির সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এর পানির নিচের বেডরুমগুলো। এ হোটেলে দুজনের জন্য এক রাত থাকতে খরচ হবে বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা প্রায়।

 

২৫তলা ভাসমান শহর

ভবিষ্যতের শহর মাটিতে নয়, সমুদ্রের বুকে স্থান করে নেবে- এমনটাই পরিকল্পনায় রেখেছেন স্থাপত্যবিদরা। জমির সীমাবদ্ধতা জানান দিয়েছে এবার পানির ওপর দৃষ্টি দিন। আর সেটাই হতে যাচ্ছে। পানির ওপর ভাসমান শহর নির্মাণের চূড়ান্ত পরিকল্পনার খবর প্রকাশ পায় বিশ্ব মিডিয়ায়। বিশ্বের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় ভাসমান শহর বানানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাভিত্তিক একটি কোম্পানি। ২৫ তলাবিশিষ্ট এ শহরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রিডম শিপ’। একটি বৃহদাকার জাহাজের আদলেই এ মিনি শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা। একটি আদর্শ শহরে যা যা প্রয়োজন তার সবই থাকবে এখানে। খেলার মাঠ, হাসপাতাল, স্কুল, পুলিশ স্টেশন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্ট সবই। আর শহরে বসবাসকারীদের জন্য বাড়ি তো বটেই। এ মিনি শহরের আয়তন ব্রিটেনের কুইন মেরি টু জাহাজের চারগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ভাসমান শহরে স্থায়ীভাবে বাস করবে ৪০ হাজার বাসিন্দা। ২৫ তলাবিশিষ্ট বিশাল এ ভাসমান শহরটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি ডলার। ২৭ লাখ টন ওজনের একটি জাহাজ-সদৃশ হবে এটি। যে কারণে এ ভাসমান শহরটি সমুদ্রে এক জায়গায় স্থির থাকবে না। প্রতি দুই বছরে একবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে। চাইলে এটি থামবে বিশ্বসেরা বড় শহরগুলোতে। ভাসমান শহরটিতে ২০ হাজার ক্রু ছাড়াও স্থায়ী বাসিন্দা থাকবে ৪০ হাজার। তবে বাইরে থেকে প্রতিদিন বাড়তি ৩০ হাজার দর্শনার্থীর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া ১০ হাজার অতিথির জন্য রাতযাপনেরও ব্যবস্থা থাকবে। এটি নির্মাণকাজ শুরুর জন্য ১০০ কোটি ডলার সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ভাসমান শহর যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল থেকে জুন মাসে যাত্রা শুরু করে ইউরোপের উদ্দেশে আটলান্টিক পাড়ি দেবে। ইউরোপে তখন থাকবে গ্রীষ্মকাল।  এরপর স্কটল্যান্ড, স্ক্যান্ডিনেভিয়া, এরপর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে জিব্রাল্টার হয়ে ভূমধ্যসাগরে পড়বে। বড়দিনের সময়টায় তারা থাকবে আফ্রিকার উত্তর উপকূলে। জানুয়ারিতে যাবে উত্তমাশা অন্তরীপ। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া, এরপর এশিয়া হয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছবে। জাহাজটির প্রতি ২ বছরের যাত্রার ৭০ ভাগ সময় অবশ্য নোঙর করা অবস্থায়ই কাটবে।

 

স্টেডিয়াম

সিঙ্গাপুরের মেরিনা উপসাগরে নির্মিত হয়েছে ভাসমান স্টেডিয়াম। অবিশ্বাস্য শোনালেও গোটা একটি স্টেডিয়াম ভেসে রয়েছে জলের ওপর। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ভাসমান স্টেডিয়াম এটি। এ স্টেডিয়াম লম্বায় ১২০ মিটার ও চওড়া ৮৩ মিটার। ভাসমান এ স্টেডিয়ামে শুধু খেলাই নয়, কনসার্ট, প্যারেড, প্রদর্শনী আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ইস্পাতের তৈরি এ স্টেডিয়াম একবারে বইতে পারে ১ হাজার সত্তর টন ওজন।

অর্থাৎ ৯ হাজার মানুষ। স্টেজ বানানোর জন্য ২০০ টন আর ৩০ টন ওজনের বড় বড় তিনটি গাড়ি একসঙ্গে রাখা যাবে এ স্টেডিয়ামের ওপর। আর এখানে অনুষ্ঠিত খেলা বা অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য ৩০ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে স্টেডিয়াম লাগোয়া এক বড় গ্যালারিতে। মেরিনা বে ফ্লোটিং স্টেডিয়াম বানানো হয়েছিল সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের বিকল্প হিসেবে অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য।  তখন জাতীয় স্টেডিয়ামটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে ভাসমান এ স্টেডিয়ামের অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে নানা কাজে।

 

ভাসমান স্বর্গদ্বীপ

ভাসমান স্বর্গদ্বীপ। বাক্যটা শুনে নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন এটি শুধু একটি বাড়ি বা শহর নয়। গোটা একটি দ্বীপ। সাধারণত সমুদ্রের বুকে উঁকি দেওয়া দ্বীপগুলোকে দূর থেকে দেখলে ভাসমান বলেই মনে হয়। এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এ ভাসমান দ্বীপ নিয়ে যদি মহাসমুদ্রে ইচ্ছামতো চলাচল করা যায় কেমন হবে? আর সেই ভাবনা থেকেই স্বর্গদ্বীপ। ধনকুবেরদের তৃষ্ণা মেটাতে ব্যক্তিগত ভাসমান একটি দ্বীপ এটি। ব্যক্তিগত এ দ্বীপ নিজেই চলতে পারবে এবং বিশ্বের যে কোনো সমুদ্রের যে কোনো স্থানে নিয়ে যাওয়া যাবে। এ স্বর্গদ্বীপে একটি পেন্ট হাউস যেখানে বসে আপনি চারদিকের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। ৮০ মিটার দীর্ঘ এলিভেটর দিয়ে পেন্ট হাউসে ওঠা যায়। রয়েছে জঙ্গলময় একটি ডেক যাতে কৃত্রিম জলপ্রপাত রয়েছে। হেলিকপ্টার নামানোর জন্য রয়েছে একটি হেলিপ্যাডও। আধুনিক সব সুবিধা যেমন, স্পা, জিম, বিউটি স্যালুন, বার এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে এ ভাসমান দ্বীপে। দ্বীপটিতে একটি ঊর্ধ্বমুখী বাগান এবং পাম গাছ ও ফুলের পাশাপাশি রয়েছে সবুজের সমারোহ। ব্যক্তিগত ইয়ট নির্মাতাদের পরিকল্পনায় রয়েছে এ ধরনের স্বর্গদ্বীপ।

 

বিলাসবহুল ভাসমান বাড়ি

ভাসমান বাড়ি কল্পনার বিষয় নয়। আপনি চাইলে আজই কিনে নিতে পারেন ভাসমান বাড়ি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের ভাসমান বাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ইতালিয়ান স্থপতি জিয়ানকার্লো জেমা পানির ওপর বাড়ি তৈরির যে নকশাগুলো করেছেন সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ‘ওয়াটার নেস্ট-১০০’। এ ধরনের বাড়ি মিলবে হ্রদ বা নদীর ওপর। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। ছোট একটি পরিবারের জন্য এ ভাসমান বাড়িতে রয়েছে দুটি বেডরুম, লিভিং রুম, রান্নাঘর, গোসলখানা ও বারান্দা। এ বাড়িতে চার সদস্যের একটি পরিবার বেশ আয়েশেই থাকতে পারে। বিশাল গোলাকার এ বাড়ির মডেলটির ব্যাসার্ধ ৩৯ ফুট। বারান্দাসহ এক হাজার ৭৬ বর্গফুটের বাড়িটি ১৩ ফুট উঁচু। স্থপতি জেমার ভাষায়, ভাসমান এ বাড়িটি আসলে জলজ পাখির বাসার আদলেই নকশা করেছেন। ভাসমান এ বাড়ি ইচ্ছা হলে অর্ডার দিয়েও বানাতে পারেন। লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ইকোফ্লোলাইফ কোম্পানি এ ধরনের ভাসমান বাড়ি তৈরি ও বিক্রির কাজ করে থাকে। বাড়ির দাম পড়বে বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা থেকে ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এখন অর্ডার দিলে এক বছরের মতো সময় লাগবে এটি নির্মাণ করতে।

 

বিমানবন্দর

শিল্পনৈপুণ্যের উদাহরণ হলো- জাপানের ক্যানসাই ভাসমান বিমানবন্দর। প্রকৌশলীদের দৃঢ়তায় সমুদ্রের ওপরই ভাসমান বিমানবন্দর তৈরি করা হয়। ১৯৮৭ সালে শুরু হয়। প্রথমে সমুদ্রের মধ্যে পাথর ফেলে দেয়াল তোলা হয়। নির্মাণের শুরুতে প্রায় ৮ মিটার সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল। ৪ কিলোমিটার লম্বা ও আড়াই কিলোমিটার চওড়া ভাসমান ক্যানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় ১৯৯৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। সেই থেকে এ বিমানবন্দরে সপ্তাহে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামা করে ৬১৪টি, মালবাহী বিমান ২০০টি এবং অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের সংখ্যা ৪৯৩। এ বিমানবন্দরটির টার্মিনাল প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার লম্বা। এ টার্মিনালটির ছাদ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে সামুদ্রিক ঝড় এর ক্ষতি করতে না পারে। ১৯৯৪ সালে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে একটি টাইফুন বিমানবন্দরটির ওপর দিয়ে বয়ে যায়। ১৯৯৫ সালের প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে বিমানবন্দরের একটি কাচও ভাঙেনি। ২০০১ সালে ‘দ্য আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স’ একে ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মনুমেন্ট অব দ্য মিলেনিয়াম’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

সর্বশেষ খবর