বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া সিইও

আবদুল কাদের

সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া সিইও
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হলো একটি অফিসের সম্মানজনক পদ। এর সঙ্গে রয়েছে সম্মানজনক বেতনও। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ডস ফরচুন ৫০০ কোম্পানিস সর্বোচ্চ বেতনভোগী সিইওর তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে উঠে এসেছে বিশ্বসেরা প্রযুক্তি ও বায়োটেক প্রতিষ্ঠানের ১২ জন সিইওর নাম। তাঁরা কে কত পান? এসব নিয়ে আজকের রকমারি...

কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকেই ভালো বেতনের আশা করেন। অফিসের বড় পজিশন দখল করতে চান সবাই। আর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হলো একটি অফিসের সম্মানজনক পদ। এর সঙ্গে রয়েছে সম্মানজনক বেতনও। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ডস ফরচুন ৫০০ কোম্পানিস সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী সিইওর তালিকা তৈরি করেছে। যেখানে রয়েছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত ১২ জন সিইও, যারা প্রত্যেকেই বিশ্বের নামিদামি প্রযুক্তি ও বায়োটেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া সিইওদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

ওয়ার্ল্ডস ফরচুন ৫০০ কোম্পানিসের তালিকায় সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া সিইওদের মধ্যে এক নম্বরে আছেন ইলন মাস্ক। যদিও এতে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা, যার ধ্যানজ্ঞানের পুরোটাই যে প্রযুক্তি। আর এসব নিয়ে যেন তাঁর সারা দিন কেটে যায়। বিশ্বের শীর্ষ এই ধনী ব্যক্তি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থা টেসলা, রকেট নির্মাতা সংস্থা স্পেসএক্স, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার, দ্য বোরিং কোম্পানি এবং নিউরালিংকসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। আর এ কারণে তিনি সারা দিন কাজ করেন। ২০২২ সালে বেতন হিসেবে ইলন মাস্ক ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার (২ হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার) পেয়েছিলেন। তাঁর বেতন সুন্দর পিচাই, সত্য নাদেলা, টিম কুক, এন চন্দ্রশেখরসহ বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের চেয়ে অনেক বেশি। সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া সিইওদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি বেতন পান এই সিইও। এরপরই আছেন যুক্তরাষ্ট্রের চিপ কোম্পানি এনভিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেনসেন হুয়াং। তৃতীয় অবস্থানে থাকা জেনসেন হুয়াংয়ের বার্ষিক আয় ৭৭ বিলিয়ন ডলার। আর চতুর্থ অবস্থানে আছেন নেটফ্লিক্সের প্রধান নির্বাহী রিড হ্যাস্টিংস। এরপর রয়েছেন গেল বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া রিভিয়ান অটোমোবিকের প্রধান নির্বাহী রবার্ট স্ক্যারিঞ্জ। বার্ষিক আয়ের হিসেবে এ বছর তিনি জায়গা পেয়েছেন পঞ্চম স্থানে। রবার্ট স্ক্যারিঞ্জের পরেই আছে লুসিড মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিটার রলিনসনের নাম। তালিকায় সপ্তম অবস্থানে আছেন এই প্রধান নির্বাহী। এরপর পর্যায়ক্রমে সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত সিইওদের তালিকায় আছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যার প্ল্যাটফরম সি৩ এআই এবং অ্যাপ্লিকেশন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও টম সিবেল। মাইক্রোসফট করপোরেশনের সিইও সত্য নাদেলা। তাঁদের অবস্থান যথাক্রমে সপ্তম এবং অষ্টম। তালিকায় নবম ও দশমে রয়েছেন কেকেআরের যুগ্ম সিইও জো বে এবং সেন্টিলেন সাইবার সিকিউরিটির সিইও টোমার ওয়েইনগার্টেন। সর্বোচ্চ বেতনভোগী সিইওদের সবাই প্রায় প্রযুক্তি ও বায়োটেক প্রতিষ্ঠানের।

 

ইলন মাস্ক, [স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা সিইও]

বার্ষিক পারিশ্রমিক : দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার

ইলন মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ফোর্বসের মতে, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২৪ হাজার ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার।

অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই যে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতনভোগী সিইওদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। যিনি সারা বছরই কারণে-অকারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হয়ে থাকেন। অন্যদিকে ব্লুমবার্গ ফাইন্যান্সে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তাকে অনায়াসে খুঁজে পাওয়া যাবে। মহাকাশযান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক টেসলা ইন করপোরেটেডের সিইও এবং টুইটারের মালিক ও চেয়ারম্যান ইলন মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। টেসলা, পেপ্যালসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে তার নাম। রোবট, সৌরশক্তি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং জলবায়ুর মতো বিষয়গুলোয় তাঁর আগ্রহের কমতি নেই। এই মানুষটির বেতন বিশ্বের যে কোনো কোম্পানির সিইওর চেয়ে বেশি। ওয়ার্ল্ডস ফরচুন ৫০০ কোম্পানিসের তালিকায় সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া সিইওদের মধ্যে এক নম্বরে আছেন মাস্ক। ২০২২ সালে ইলন মাস্ক ২.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার) পেয়েছিলেন। তাঁর বেতন গুগলের সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা, অ্যাপলের টিম কুক, চ্যাটজিপিটিসহ বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের চেয়েও অনেক বেশি।

 

টিম কুক [সিইও, অ্যাপল]

বার্ষিক পারিশ্রমিক : ৯৯ দশমিক মিলিয়ন ডলার

বিশ্বের সেরা টেক জায়ান্ট অ্যাপল। স্টিভ জবসের প্রয়াণের পরও প্রতি বছর নিত্যনতুন পণ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চমক অব্যাহত রেখেছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন বর্তমান অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া সিইওদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন তিনি। করোনাকালে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মতো কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিল অ্যাপল। তবে সেই ক্ষতি পূরণে সক্ষম হয়েছে অ্যাপল। ২০২২ সালে টিম কুক ৯৯.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৯৯৪ কোটি ডলার) পেয়েছিলেন। যদিও তাঁর বার্ষিক আয় স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা সিইও ইলন মাস্কের মোট বেতনের অর্ধেকেরও কম। ২০২১ সালে টিম কুকের মোট আয় হয়েছিল ৯৮.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৯৮৭ কোটি ডলার)। সিইও হিসেবে টিম কুক যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন অ্যাপলের মূল্য ছিল ৩৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা এখন ২ ট্রিলিয়নে পরিণত হয়েছে। ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হতে অ্যাপলের সময় লেগেছে ৪২ বছর। তবে ২ ট্রিলিয়নে যেতে শুধু দুই বছর। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় টেক জায়ান্ট অ্যাপল কত শক্তিশালী হয়ে সামনে এগোচ্ছে।

 

জেনসেন হুয়াং [সিইও, এনভিডিয়া]

বার্ষিক : ৭৭ মিলিয়ন ডলার

মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ডস ফরচুন ৫০০ কোম্পানিস প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী সিইওর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছেন এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এনভিডিয়া করপোরেশনের নেতৃত্ব দিয়ে তাঁর বার্ষিক আয় ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৭৭০ কোটি ডলার)। তার নেতৃত্ব আর যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে এনভিডিয়া আজ অনেক দূর এগিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি বেশকিছু নতুন প্রযুক্তি নিয়ে যুগান্তরকারী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে এনভিডিয়া। আর সেই পরিবর্তনের কান্ডারি হলেন- জেনসেন হুয়াং। বিশ্বের প্রতিটি শিল্পে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহার নিশ্চিত করতে চান তিনি। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় জেনসেনের সম্পদের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

রিড হ্যাস্টিংস [সিইও, নেটফ্লিক্স]

বার্ষিক : ৫০ মিলিয়ন ডলার

১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ও প্রযোজনা সংস্থা নেটফ্লিক্সের যাত্রা শুরু। জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিড হ্যাস্টিংস। প্রায় দুই দশক ধরে নেটফ্লিক্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। নেটফ্লিক্সের সফলতার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে রিড হ্যাস্টিংসের। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ডস ফরচুন ৫০০ কোম্পানিস প্রকাশিত সবোচ্চ বেতনভোগী সিইওর তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছেন এই প্রধান নির্বাহী। ২০২২ সালে রিড হ্যাস্টিংসের বার্ষিক আয় হয় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫০০ কোটি ডলার)। ২০২১ সালের তুলনায় আয় সামান্য কমেছে। সে বছর তাঁর বার্ষিক আয় হয়েছিল ৫১ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাবে, রিড হ্যাস্টিংসের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

রবার্ট স্ক্যারিঞ্জ [সিইও, রিভিয়ান অটোমোবিক]

বার্ষিক : ৫০ মিলিয়ন ডলার

তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন ‘রিভিয়ান অটোমোবিক’ সংস্থার প্রধান নির্বাহী (সিইও) রবার্ট স্ক্যারিঞ্জ। প্রতি বছর ইলন মাস্কের বেতনের ৫ ভাগের ১ ভাগ সমপরিমাণ বেতন পান রিভিয়ানের এই কর্মকর্তা। ২০২১ সালে তিনি ছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও)। তিনি এই প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিলেন। তবে বছর না পেরোতেই সেই আয় কমে গেছে। এখন তিনি তালিকায় পঞ্চম স্থানে চলে এসেছেন। যদিও তাঁর নেতৃত্বে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। তবু ২০২২ সালে তাঁর আয় হয়েছে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫০০ কোটি ডলার)। করোনাকালে প্রতিষ্ঠানটির আয় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাবে রবার্ট স্ক্যারিঞ্জের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

পিটার রলিনসন [সিইও, লুসিড মোটরস]

বার্ষিক : ৪৭ মিলিয়ন ডলার

রবার্ট স্ক্যারিঞ্জের পরেই আছেন লুসিড মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিটার রলিনসনের নাম। ওয়ার্ল্ডস ফরচুন ৫০০ কোম্পানিস প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী সিইওর তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছেন তিনি। তার মোট বেতনের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন ডলারেরও কম। তার বার্ষিক আয় ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪৭০ কোটি ডলার)। পিটার রলিনসন ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত একজন ব্রিটিশ প্রকৌশলী। তিনি লুসিড মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি টেসলা মডেল এস এবং লুসিড এয়ারের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত।

 

টম সিবেল [সিইও, সি৩ এআই]

বার্ষিক : ৪৫ মিলিয়ন ডলার

তালিকার সপ্তম অবস্থানে রয়েছেন আমেরিকান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যার প্ল্যাটফরম সি৩ এআই এবং অ্যাপ্লিকেশন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টম সিবেল। যিনি একজন আমেরিকান ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, দক্ষ প্রযুক্তিবিদ এবং লেখক। এক দশকেরও বেশি সময় তিনি এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। তাঁর নেতৃত্বে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অনেক দূর এগিয়েছে। একসময় তিনি টেক জায়ান্ট ওরাকলের সঙ্গে কাজ করতেন। আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থার প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাঁর বার্ষিক আয় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪৫০ কোটি ডলার)। তবে বছরখানেক আগেও তাঁর আয়ের পরিমাণ এতটা ছিল না। ২০২১ সালের তাঁর মোট আয় ছিল ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৯০ কোটি ডলার)। বর্তমান বিশ্বের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বার্ষিক আয়ও বেড়ে চলেছে। ইনসাইডারের তথ্য মতে, ৬৮ বছর বয়সী এই সিইওর বার্ষিক আয় ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

সত্য নাদেলা [সিইও, মাইক্রোসফট]

বার্ষিক : ৪৪ মিলিয়ন ডলার

মাইক্রোসফট করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সত্য নাদেলা। তিনি একজন ভারতীয়-আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহী। ওয়ার্ল্ডস ফরচুন ৫০০ কোম্পানিস প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী সিইওর তালিকায় অষ্টম অবস্থানে রয়েছেন মাইক্রোসফটের এই প্রধান নির্বাহী। তাঁর বেতন ১৫ লাখ ডলার হলেও আয় অনেক বেশি। সর্বশেষ মাইক্রোসফট থেকে তিনি আয় করেছিলেন ২ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে তাঁর মোট আয় হয়েছিল ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪৪০ কোটি ডলার)। এর আগে ২২ বছর তিনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। তাঁর বিশাল কর্মদক্ষতা ও দূরদর্শিতার জন্য মাইক্রোসফটের শীর্ষপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সবচেয়ে আস্থাভাজন ব্যক্তিতে পরিণত হলেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের বিল গেটস ও স্টিভ বলমারের পর মাইক্রোসফটের ৪০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে সত্য নাদেলা তৃতীয় সিইও।

সর্বশেষ খবর