শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

আধুনিক স্থাপত্যের বিস্ময়

আবদুল কাদের

আধুনিক স্থাপত্যের বিস্ময়

স্থাপত্য ও তার নকশা, পাশাপাশি অন্যান্য কারুশিল্প বরাবরই যে কোনো স্থাপত্যশিল্পকে করে তোলে আকর্ষণীয়। সময়ের রকম ফেরে মানুষের সৃষ্ট অনেক স্থাপনা জাগিয়েছে বিস্ময়। অনেক সময় নিজের সৃষ্টিকে নিজেই অবাক হয়ে দেখেছে মানুষ। এমন অসাধারণ নকশা ও চাকচিক্যময় স্থাপনা সহজেই জয় করে নিতে পারে যে কারও মন। এমনি আধুনিক স্থাপত্য কেবল মানুষের বসবাস বা প্রয়োজনীয় কাজে নির্মাণ হয়নি। কিছু নির্মিত ভবন মানুষকে করেছে মুগ্ধ ও বিস্মিত।

দুবাই

বুর্জ খলিফা

বুর্জ খলিফার সৌন্দর্য আর প্রাচুর্যে মন হারাননি- এমন মানুষ পাওয়া দায়! প্রথমে নির্মাতারা ঠিক করেছিলেন শুধু মানুষের বসবাসের জন্যই ভবনটি তৈরি করা হবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিকল্পনায় বদল আসে। বর্তমানে গগনচুম্বী বহুতল ভবনটি বাসস্থান, করপোরেট অফিস এবং হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোভিত্তিক আর্কিটেকচার ফার্ম স্কিডমোর, ওইংস এবং মেরিল। ভবনটির স্থপতি অ্যাড্রিয়ান স্মিথের ডিজাইন করা এবং এর স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন উইলিয়াম এফ বেকার। ১৬৩ তলা বিশিষ্ট বুর্জ খলিফার উচ্চতা প্রায় ৮২৯.৮ মিটার (২৭১৭ ফুট)। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এখানে অ্যাপার্টমেন্ট এবং স্টুডিও মিলিয়ে মোট বাসস্থানের সংখ্যা ৯০০। তাতে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ থাকেন। হোটেলের মধ্যে বুর্জ খলিফার ভেতরে রয়েছে আরমানি হোটেল দুবাই। ১২২ তলায় রয়েছে ডাইনিং রেস্তোরাঁ। এ ছাড়াও ‘দ্য লাউঞ্জ বুর্জ খলিফা’ রয়েছে ১২৫ তলা এবং ‘দ্য টপ বুর্জ খলিফা স্কাই’ রয়েছে ১২৪ তলায়। দর্শনার্থীরা দুবাইয়ের দুর্দান্ত দৃশ্য উপভোগ করতে ১৪৮ তলায় যেতে পারেন। এখানে হোটেলের নিজস্ব স্পা, সুইমিং পুল, লাইব্রেরি এবং জিম রয়েছে। বুর্জ খলিফায় রয়েছে নিজস্ব দোকান, বাজার, শপিং মল। এখানে কিছু কিনতে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ভেতরে মেলে সব।

 

মালয়েশিয়া

পেট্রোনাস টাওয়ার

প্রাকৃতিক পরিবেশ আর সুপরিকল্পিত নগরায়ণ যে কারও নজর কাড়বে। অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী কুয়ালালামপুর নগরের অন্যতম নিদর্শন এই পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার। গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ৮৮ তলাবিশিষ্ট সুউচ্চ ভবনটির উচ্চতা ৯১.৯ মিটার (১৪৮৩ ফুট)। উচ্চতার দিক দিয়ে এই টাওয়ারটি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ারের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল। এখনো এটি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা টুইন টাওয়ার। অপরূপ সুন্দর এই টাওয়ারটির নকশা করেছিলেন আর্জেন্টাইন স্থপতি চেসার পেলী। এই ভবনের জোড়ার নিচে প্রায় ১২০ মিটারের ফাউন্ডেশন গাঁথুনি আছে। আর এই ফাউন্ডেশন গাঁথুনি করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ব্যাচি সোল্টাঞ্চ। বিল্ডিং দুটির মধ্যখানে একটি সংযোগ সেতু আছে, যা ৪১ এবং ৪২তম তলায় অবস্থিত। ৫৮.৪ মিটার সেতুর ওজন ৭৫০ টন। এখানে আলজাজিরা, বোয়িং, আইবিএম, ক্রওলার নেটওয়ার্ক, মাইক্রোসফট, রয়টার্সসহ বেশ কটি প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর রয়েছে। এই টাওয়ারে আছে আটতলা বিশিষ্ট শপিংমল। যার পাঁচতলা মাটির নিচে। বাকি তিনতলা সমতলে।

 

অস্ট্রেলিয়া

অপেরা হাউস

১৯৫৯ সালে অপেরা হাউসের নির্মাণ শুরু হলেও ১৯৭৩ সালে কমপ্লেক্সটির কাজ শেষ হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের পাড়ে সাড়ে চার একর জায়গার ওপর নৌকার পাল আকৃতির স্থাপনাটি সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে আধুনিক স্থাপত্যশৈলী হয়ে। স্থাপনাটির দৈর্ঘ্য ৬০০ ফুট ও প্রস্থ ৩৯৪ ফুট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে স্থাপনাটির সর্বোচ্চ স্থানটির উচ্চতা ২১৩ ফুট, যা প্রায় ২২ তলা ভবনের সমান উঁচু। এই হাউসটিকে বহুমুখী শিল্পকলা প্রদর্শনের মঞ্চ বলা যায়। এই হাউসে রয়েছে একাধিক মিলনায়তন ও অনুষ্ঠানের স্থান। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো কনসার্ট হল। এর ধারণক্ষমতা প্রায় ২ হাজার ৭০০ জন। এ ছাড়াও এতে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০৭ আসনের অপেরা থিয়েটার, ৫৪৪ আসনের ড্রামা থিয়েটার, ৩৯৮ আসনের প্লে হাউস ও ৪০০ লোক একসঙ্গে কাজ করার মতো একটি স্টুডিও। খাবার ও কেনাকাটার জন্য বেশ কিছু দোকানও আছে এখানে।

 

বেলজিয়াম

দ্য অ্যাটমিয়াম

বিখ্যাত দ্য অ্যাটমিয়াম স্থাপনাটি ১৯৫৮ সালের বিশ্ব মেলার জন্য নির্মিত হয়েছিল। এর ঐতিহ্যগত মূল্য ছাড়াও অ্যাটমিয়াম একটি সাংস্কৃতিক স্থানও বটে। এখন এখানে ব্যক্তিগত আয়োজন, প্রদর্শনী, জাদুঘর, শিশুদের পার্ক একটি রেস্তোরাঁর মতো একাধিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। বিখ্যাত এই ভবনটি বিশালাকৃতির নয়টি গোলক দ্বারা গঠিত। যার প্রতিটি ১৮ মিটার চওড়া এবং গোলকগুলো স্টেইনলেস-স্টিল দ্বারা নির্মিত। নয়টি গোলকের মধ্যে পাঁচটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। ভবনটি ১০২ মিটার (৩৩৫ ফুট) লম্বা এবং শীর্ষ গোলকের রেস্তোরাঁ থেকে গোটা ব্রাসেলস দেখা যায়।

 

চীন

সেন্ট্রাল টেলিভিশন

অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত ভবনটি বেইজিংয়ের বিখ্যাত চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন হেডকোয়ার্টার (সিসিটিভি)। ৫১টি তলাবিশিষ্ট টাওয়ারটি কোনো ঐতিহ্যবাহী টাওয়ার নয়, তবে ভবনটি ২০১৩ সালের সেরা সর্বোচ্চ বিল্ডিং কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট খেতাব পেয়েছিল। এই টাওয়ারটি ভারী ভূমিকম্পেও টিকে থাকবে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। এটি ২০০৮ সালে একটি অফিস বিল্ডিং এবং চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) সদর দফতর হিসেবে খোলা হয়েছিল। এর সর্বোচ্চ চূড়া ভূমি থেকে ২৩৪ মিটার (৭৬৮ ফুট) উঁচু। এটি তার আইকনিক ডিজাইনের কারণে বিখ্যাত। যা এটিকে ‘বিগ বক্সার শর্টস’ বা ‘বিগ প্যান্ট’ তকমা অর্জন করেছে।

 

তাইওয়ান

তাইপে ১০১

তাইপে ১০১ একটি বহুতল ভবন যা তাইওয়ানের জিনই জেলার তাইপে শহরে অবস্থিত। এর আগের নাম ছিল তাইপে ওয়ার্ল্ড ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টার। যদিও এটি তাইপেই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নামে বেশি পরিচিত। ৫০০ মিটার উচ্চতার টাওয়ারটি ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন। ২০১০ সালে বুর্জ খলিফা উদ্বোধনের পর সর্বোচ্চ ভবনের তকমা হারায় তাইওয়ানের গগণচুম্বী ভবন তাইপে ১০১। ভবনটির নকশা প্রণয়ন করেছে সি ওয়াই লি অ্যান্ড পার্টনার্স এবং নির্মাণ করেছে কেটিআরটি জয়েন্ট ভেঞ্চার। ভবনে স্থাপিত লিফটে মাত্র ৩৭ সেকেন্ডে (গতি ৬০ কিলোমিটার) পঞ্চম তলা থেকে ৮৯ তলায় পৌঁছানো যায়। ভূমির ওপরে ১০১ তলা এবং মাটির নিচে পাঁচটি তলা রয়েছে। এর ৮৮তম এবং ৮৯তম তলায় রেস্তোরাঁ, পর্যবেক্ষণ ডেক এবং শপিং মল।

 

সিঙ্গাপুর

মেরিনা বে স্ট্যান্ড

লাস ভেগাস কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন বিখ্যাত রিসোর্ট মেরিনা বে স্ট্যান্ড। এটি সিঙ্গাপুরের একটি পরিবেশবান্ধব পর্যটক কেন্দ্র। যুব অলিম্পিক পার্কের পাশে হেলিক্স লিঙ্ক বেফ্রন্টে বিখ্যাত এই মেরিনা সেন্টারটি অবস্থিত। বিলাসবহুল রিসোর্টটি ২০১০ সালে খোলার সময় সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্যাসিনো হিসেবে পরিচিত ছিল। মহাকাব্যিক ভবন এবং রিসোর্টের চারপাশে রয়েছে দেখার মতো অনেক দুর্দান্ত জিনিস। গ্র্যান্ডস বে, আর্টস মিউজিয়াম, মেরিনা বে স্ট্যান্ড পার্ক, মেরিনা বে স্ট্যান্ড ক্যাসিনো, মেরলিয়ন ইত্যাদি। বিশালাকৃতির রিসোর্টে ২ হাজার ৫৬১টি রুম, একটি জাদুঘর, দুটি বড় থিয়েটার, ‘সেলিব্রিটি শেফ’ রেস্তোরাঁ, দুটি ক্রিস্টাল প্যাভিলিয়ন, শিল্প-বিজ্ঞান প্রদর্শনী, ৫০০টি টেবিল এবং ১ হাজার ৬০০টি স্লট মেশিনসহ বিশ্বের বৃহত্তম অ্যাট্রিয়াম ক্যাসিনো।

জাপান

টোকিও স্কাইট্রি

বর্তমান বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন জাপানের বিখ্যাত টোকিও স্কাইট্রি। এমনকি এটি জাপানের সবচেয়ে উঁচু ভবনও। উচ্চতা ৬৩৪ মিটার (২ হাজার ৮০ ফুট)। ত্রিভুজ ও ইয়েন মুদ্রা গোল আদলের কাঠামোবিশিষ্ট ৩৬ হাজার ৯০০ বর্গমিটার জায়গায় নির্মিত স্কাইট্রি টাওয়ারটি ভূমিকম্প থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। এটি জাপানের কান্টো অঞ্চলের প্রাথমিক টেলিভিশন এবং রেডিও সম্প্রচার সাইট। টাওয়ারের ৩১ তলা পর্যন্ত রয়েছে অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অ্যাকুরিয়াম, ডোম থিয়েটার, বাণিজ্যিক দফতর, রেস্টুরেন্ট ও বার এবং হোটেল। এর প্রধান আকর্ষণ দুটি মানমন্দির। যা রয়েছে ভবনের পঞ্চম তলায়। জাপানের ঐতিহাসিক মন্দিরের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে মানমন্দিরগুলো। এর নিজস্ব রং রয়েছে যা ‘স্কাইট্রি হোয়াইট’ নামে বেশি পরিচিত। ভবনটির ৪৫০ মিটার আকৃতির পর্যবেক্ষণ ডেক থেকে শহরের ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ভিউ দেখা যায়।

 

চীন

সাংহাই টাওয়ার

সাংহাই টাওয়ার চীনের উচ্চতম অট্টালিকা। এর উচ্চতা ৬৩২ মিটার (প্রায় ২ হাজার ফুট)। এই অট্টালিকার উপরের তলাগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে জে হোটেল সাংহাই টাওয়ার। আমেরিকান স্থাপত্য জেন্সেলের কর্তৃক নকশাকৃত পুডং-এর তিনটি সন্নিহিত অসাধারণ ভবনের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা ভবন; অন্য দুটি হচ্ছে জিন মাও টাওয়ার এবং সাংহাই ওয়ার্ল্ড ফাইনেন্সিয়াল সেন্টার। ভবনটি নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চীনা স্থপতি জুন জিয়া। ১৩০ তলাবিশিষ্ট ভবনটির মাটির নিচে দুইতলা; বাকি ১২৮ তলা সমতলে। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। ২০১৫ সালে খুলে দেওয়া হয়।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

অ্যাপল পার্ক

আসল নাম অ্যাপল পার্ক। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের কুপার্টিনোতে অবস্থিত অ্যাপলের সদর দফতর। এর ফ্লায়িং আকৃতির জন্য একে ‘স্পেসশিপ’ও বলা হয়। এর প্রধান নকশাবিদ জনি আইভ। গোলাকার ও চারতলা ভবনটির চারদিকে রয়েছে সবুজের ছোঁয়া। ১৭৫ একরের গোটা ক্যাম্পাসজুড়ে প্রায় ৭ হাজার ফল-ফুলের গাছ রয়েছে। এর অফিস ২৮ লাখ বর্গফুট বা ২ লাখ ষাট হাজার বর্গমিটার। ব্যাসার্ধ প্রায় এক মাইল। এর দেয়াল তৈরি করা হয়েছে শুধু কাচ দিয়ে। এর ভেতরের পার্টিশনেও ব্যবহার করা হয়েছে কাচ। কমপ্লেক্সটির ছাদ তৈরি করা হয়েছে সোলার প্যানেল দিয়ে। যা ‘অ্যাপল পার্ক’-এর ৭৫ শতাংশ প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। এ ছাড়া এতে পার্ক করা যায় ১৪ হাজার ২০০ গাড়ি। বিশাল ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে রয়েছে ১ হাজারেরও বেশি সাইকেল।

 

বেইজিং, চীন

বেইজিং ন্যাশনাল স্টেডিয়াম

২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল অদ্ভুত নকশার বেইজিং ন্যাশনাল স্টেডিয়াম। এটি বার্ডস নেস্ট হিসেবেও সর্বাধিক পরিচিত। বার্ড নেস্ট এখন চীনের বৃহত্তম স্টেডিয়াম। এটি দেশটির সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়া স্থাপনা। যা রিখটার স্কেলের আট মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধেও সক্ষম বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করা যাবে। ৯০ হাজার বা তার বেশি দর্শক ধারণক্ষমতার বার্ড নেস্টে আকস্মিক দুর্ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে। স্টিলের তৈরি আইকনিক স্টেডিয়ামটি তার নিখুঁত নকশার জন্য বিখ্যাত। প্রকৌশলীদের জন্য এর নকশা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হলেও এর নির্মাণশৈলী প্রমাণ করে যে, স্টেডিয়ামটি স্থাপত্যের এক বিস্ময়। ২০২২ সালে এখানে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তা ছাড়া নান্দনিক স্টেডিয়ামটি দর্শকদের আকৃষ্ট করার জন্য এর চারপাশে কেনাকাটার জন্য অস্থায়ী শপিং মল এবং বিনোদনের জন্য স্থাপত্যও তৈরি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল।

 

বিলবাও, স্পেন

গুগেনহাইম মিউজিয়াম

আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্পের অন্যতম সংগ্রহশালা গুগেনহাইম মিউজিয়াম। স্পেনের বিলবাও নগরীর বিখ্যাত মিউজিয়ামটি তার অদ্ভুত নকশার জন্য বেশি জনপ্রিয়। কানাডিয়ান-আমেরিকান স্থপতি ফ্র্যাঙ্ক গহরি আধুনিক এই অদ্ভুত মিউজিয়াম ভবনটির নকশা করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে আজব নকশার ভবনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছিল স্পেন সরকার। ভবনটির আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার পেছনে রয়েছে এর অদ্ভুত নকশা। তিনতলা বিশিষ্ট ভবনে ২০টি গ্যালারি রয়েছে। পুরো ভবনটি টাইটানিয়াম, চুনাপাথর এবং কাচে আবৃত। এই মিউজিয়ামটি নেভারিয়ন নদীর পাশে অবস্থিত, যা ভবনটিকে আরও বেশি দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। এই মিউজিয়ামে সমসাময়িক শিল্পীদের অসংখ্য শিল্পকর্ম রয়েছে। গুগেনহেইম বিলবাওকে বিশেষজ্ঞরা ‘এ সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ ভবন’ বলে অভিহিত করেছেন।

সর্বশেষ খবর