রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকায় বিরতিহীন উড়ালসড়ক

নির্মাণে ৯৫ ভাগ সিমেন্ট বসুন্ধরার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় বিরতিহীন উড়ালসড়ক

ছবি : আবু তাহের খোকন

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বসুন্ধরা গ্রুপের ৯৫ ভাগ সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আর পুরো প্রকল্পের জন্য বিটুমিনও সরবরাহ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। রাজধানীতে অসহনীয় যানজটের কারণে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় সমস্যার অনেকাংশেই সমাধান হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বহুল কাক্সিক্ষত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার উদ্বোধন করেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কাওলা অংশে ফলক উন্মোচন করে এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় গাড়িপ্রতি ৮০ টাকা হারে প্রথম টোল দিয়ে ফলক উন্মোচন মঞ্চে ওঠেন সরকারপ্রধান। পরে বোতাম চেপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের পর মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। জানা গেছে, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নির্মাণের প্রধান উপাদান হলো সিমেন্ট ও বিটুমিন। এই প্রকল্প নির্মাণে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রায় ৯৫ ভাগ সিমেন্ট ও বিটুমিন সরবরাহ করেছে। এর আগে পদ্মা সেতুর জন্য বসুন্ধরা সিমেন্টের বড় অংশও সরবরাহ করেছিল। বসুন্ধরা গ্রুপ এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৮ লাখ টন সিমেন্ট সরবরাহ করেছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে একটি বিদেশি কোম্পানি। তারপরও বসুন্ধরা সিমেন্ট কেন বেছে নিলেন জানতে চাইলে বসুন্ধরা সিমেন্টের চিফ মার্কেটিং অফিসার খন্দকার কিংশুক হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বড় প্রকল্পে কাঁচামালের মান এবং কোম্পানির সিমেন্ট সংগ্রহের সক্ষমতার দিকে নজর দেওয়া হয়। এগুলো ছাড়াও লজিস্টিক ক্ষমতা এবং বিপণন কৌশলগুলোর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বড় প্রকল্পগুলোতে সরবরাহের গুণমান এবং ধারাবাহিকভাবে সরবরাহ করার ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় মেগা প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন ধরনের সিমেন্টের প্রয়োজন হয়, যা সব কোম্পানির সরবরাহ করার ক্ষমতা নেই। 

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, সিমেন্ট দুই ধরনের পোর্টল্যান্ড কম্পোজিট সিমেন্ট (পিসিসি) এবং অর্ডিনারি পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (ওপিসি)। ওপিসিতে ৯৫ ভাগ ক্লিঙ্কার এবং প্রায় এক দশমিক জিপসাম রয়েছে। পিসিসি সিমেন্টে তুলনামূলকভাবে কম ক্লিংকার থাকে। বসুন্ধরা গ্রুপ প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে সিমেন্ট সরবরাহ করে। প্রকল্পের প্রকৌশলীরা সিমেন্টের প্রতিটি চালান পরীক্ষা করে দেখেন। গুণমান ভালো হওয়ায় তারা আমাদের সিমেন্ট ব্যবহার করেছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের প্ল্যান্টে সব ধরনের সিমেন্ট উৎপাদনের সুবিধা পাওয়া যায়। আমরা যে কোনো প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী সিমেন্ট তৈরি করতে পারি।

খন্দকার কিংশুক আরও বলেন, শুধু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নয়, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মেগা প্রকল্পে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। পদ্মা মূল সেতু, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্পে একচেটিয়াভাবে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পেও বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করছে পঞ্চম মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।

জানা গেছে, এই পুরো প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫ লাখ টন সিমেন্ট সরবরাহ করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এর আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পুরো অ্যাপ্রোচ রোডটি ১০০ ভাগ বসুন্ধরার সিমেন্ট দিয়ে করা হয়েছিল। জাজিরা ও মাওয়া এই দুই প্রান্তে নদী ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের ১৪টি সিমেন্ট সাইলো রয়েছে। বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়েও করা হয়। পদ্মা রেলওয়ে লিঙ্ক প্রকল্প, যার মাধ্যমে পদ্মা সেতু থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানেও বসুন্ধরা সিমেন্ট একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করা হয়।

অন্যান্য প্রকল্পে বসুন্ধরা সিমেন্টের ব্যবহার উল্লেখ করে খন্দকার কিংশুক হোসেন বলেন, আমরা মূল পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু নদী ব্যবস্থাপনা, পদ্মা সেতু অ্যাপ্রোচ রোড, পদ্মা রেল প্রকল্প, ঢাকা মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সেতু, রূপসা রেল সেতু, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমরা সফলভাবে সিমেন্ট সরবরাহ করছি। মান ও সেবায় সন্তুষ্ট হয়েই আমাদের ব্র্যান্ড বেছে নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা নিশ্চিত করাই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এখানে মূল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। সঙ্গে ওঠানামার ৩১টি পথ (র‌্যাম্প) মিলিয়ে পুরো পথের দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এই পথের সঙ্গে গাজীপুর হয়ে সাভারমুখী আরেকটি নির্মীয়মাণ উড়াল মহাসড়ক যুক্ত করবে সরকার। দ্বিতীয়টির নাম ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এর দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। এই দুই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হলে সাভার ইপিজেড থেকে আশুলিয়া-বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর হয়ে বিমানবন্দর, কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে কুতুবখালী পর্যন্ত এক রেখায় যুক্ত হবে। এ পথেও মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার। র‌্যামসহ পুরো পথের দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে প্রায় ৮২ কিলোমিটার।

সরকার ২০১১ সালে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) ব্যবস্থায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের নেতৃত্বে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সেতু বিভাগ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফাইন্যান্সিং হিসেবে সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) প্রকল্পকে সহায়তা করার জন্য সার্পোট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্ট নামে ৪ হাজার ৯১৮ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের বেসরকারি অংশীদার বিনিয়োগ করছে ৬ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা, আর সরকার দিচ্ছে ৭ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। চায়না এক্সিম ব্যাংক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না ঋণ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের ৮৬১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। ২৫ বছরের চুক্তির আওতায় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। বিনিয়োগকারীরা ২০৪৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টোল আদায় করবে এবং ২০৪৫ সালের প্রথম দিনে এক্সপ্রেসওয়ে সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে।

 

ওঠানামার যত পথ

যারা পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিন রোড, সেগুনবাগিচা, শাহবাগ, ফার্মগেট থেকে এসে উড়ালসড়কে উঠতে চান, বিজয় সরণি ওভারপাস কিংবা তেজগাঁও এলাকায় যেতে হবে তাদের। বিজয় সরণি হয়ে র‌্যাংগস ভবন ভেঙে তৈরি ওভারপাসটিতে উঠে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার আগেই উড়ালসড়কের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। আবার তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে ওভারপাসে আরেকটি সংযোগ রয়েছে ওঠার জন্য। রাজধানীর দক্ষিণ, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য উড়ালসড়কে ওঠার এটিই সহজ পথ।

এ ছাড়াও যারা বনানী যেতে পারবেন, তারা বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়ে উড়ালসড়কে উঠতে পারবেন। তবে উত্তর দিক থেকে এসে নামার জন্য মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেটগামী যানবাহনের সুবিধাজনক সহজ পথ ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড।

আরও পথ রয়েছে ঢাকা উড়ালসড়কে ওঠানামার। দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান- ১. হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা। ২. প্রগতি সরণি এবং বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব। দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান- ১. বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ। ২. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে। ৩. ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে।

উত্তর অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান- ১. বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন। ২. বনানী রেলস্টেশনের সামনে। উত্তর অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান- ১. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে। ২. বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর সামনে বিমানবন্দর সড়ক। ৩. কুড়িল বিশ্বরোড ৪. বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।

 

গতিসীমা

এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা আপাতত ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং ওঠানামার র‌্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার। থ্রি-হুইলার, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও পথচারী চলাচল নিষিদ্ধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও গাড়ি থেকে নেমে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ।

 

টোল কত

এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ে যানবাহনগুলোকে ভাগ করা হয়েছে চার শ্রেণিতে। শ্রেণিভেদে সর্বনিম্ন ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে টোলের পরিমাণ। শ্রেণি-১ এ কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা। শ্রেণি-২ এ মাঝারি ট্রাক (ছয় চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা। শ্রেণি-৩ এ ট্রাক (ছয় চাকার বেশি) ৪০০ টাকা। শ্রেণি-৪ এ ১৬ বা তার বেশি আসনের সব ধরনের বাসের টোল ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

এক নজরে

প্রকল্পের নাম : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প।

প্রকল্পের রুট : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী)।

বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান : ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড।

শেয়ারহোল্ডারস : ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (থাইল্যান্ড) ৫১ শতাংশ, চায়না শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ।

চুক্তি সই : ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি

সংশোধিত চুক্তি সই : ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর

প্রকল্পের মেয়াদ : ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রাক্কলিত ব্যয় : ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান চায়না এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ৪৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নার (আইসিবিসি) সঙ্গে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ মোট ৮৬১ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়। এরই মধ্যে মোট ৩৮২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ছাড় হয়েছে।

এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য : মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‌্যাম্প রয়েছে। র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পের ধাপ : প্রথম ধাপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।

দ্বিতীয় ধাপ : বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার।

তৃতীয় ধাপ : মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্য অবশিষ্টাংশ।

কাজ শুরুর তারিখ : ফর্মাল কন্সট্রাকশন কমেন্সমেন্ট ডেট (সিসিডি) ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি।

কাজ সমাপ্তির তারিখ : ২০২৪ সালের ৩০ জুন।

অর্থনৈতিক প্রভাব : প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ কমবে। এ ছাড়া জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সর্বশেষ খবর