রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কোয়ালিটি দেখেই বসুন্ধরা সিমেন্ট মেগা প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়

খন্দকার কিংশুক হোসেন, বিক্রয় বিভাগের প্রধান, বসুন্ধরা সিমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোয়ালিটি দেখেই বসুন্ধরা সিমেন্ট মেগা প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়

আমাদের দেশে কাজ করা বিদেশি কোম্পানিগুলো যখন দেখে একটি কোম্পানি কোয়ালিটি প্রডাক্ট দিচ্ছে, তাদের কোনো অসুবিধা নেই। সে ক্ষেত্রে তারা বসুন্ধরা গ্রুপকে প্রথম পছন্দ করে

 

বসুন্ধরা সিমেন্টের বিক্রয় বিভাগের প্রধান খন্দকার কিংশুক হোসেন বলেছেন, দীর্ঘদিন থেকেই দেশের মেগা প্রকল্পে ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত সিমেন্ট সরবরাহ করে আসছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বর্তমান চলমান মেগা প্রকল্পেই শুধু নয়। আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল পদ্মা সেতু থেকে। দেশের বৃহৎ ও গর্বিত প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজে কোয়ালিফাই করেই আমরা বসুন্ধরা সিমেন্ট সরবরাহ করেছি। সব খাতে কোয়ালিফাই করেই বসুন্ধরা সিমেন্ট অংশীদার ছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এককভাবে সাপ্লাইয়ার ছিল বসুন্ধরা সিমেন্ট। সেই অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে বসুন্ধরা সিমেন্ট প্রায় ৯৫ ভাগ সরবরাহ করেছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি অর্জন।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কিংশুক হোসেন বলেন, নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে একের পর এক অবকাঠমোতে ব্যবহৃত হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট। একসময় দেশে সিমেন্টের চাহিদা পূরণে পুরোপুরি আমদানির ওপর নির্ভর করতে হতো। সেই অবস্থা এখন আর নেই। দেশীয় সিমেন্টে নীরব বিপ্লব ঘটেছে এই শিল্পে। দেশে উৎপাদিত সিমেন্টের মান বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে তুলনীয়। সে ক্ষেত্রে বসুন্ধরা সিমেন্ট মেগা প্রকল্পগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের ওপর ভরসা রাখার একটাই কারণ, এই সিমেন্টের গুণগত মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখা হয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কাজ করা বিদেশি কোম্পানিগুলো যখন দেখে একটি কোম্পানি কোয়ালিটি প্রডাক্ট দিচ্ছে, তাদের কোনো অসুবিধা নেই। সে ক্ষেত্রে তারা বসুন্ধরা গ্রুপকে প্রথম পছন্দ করে। তারা দেখে কোম্পানির সক্ষমতা আছে কি না। ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম কি, প্রডাকশন সিস্টেমে কাঁচামাল সোর্স কি, দক্ষ টেকনিশিয়ান, কর্মী আছে কি না। এর বাইরে তারা নির্দিষ্ট সময় নিয়মিত সিমেন্টের কোয়ালিটি পরীক্ষা করে দেখে। কোয়ালিটি প্রডাক্ট উৎপাদন আছে কি না। সব মানদন্ডে কোয়ালিফাই করার পরেই মেগা প্রজেক্টে তারা পণ্য নেয়। কিংশুক হোসেন বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প শতভাগ বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়ে তৈরি। এ ছাড়াও আমরা মূল পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতুর নদীশাসন, পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড, পদ্মা রেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সেতু, বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে সফলভাবে সিমেন্ট সরবরাহ করেছি। আমাদের কোয়ালিটি ও সার্ভিসে সন্তুষ্ট হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আমাদের ব্র্যান্ডকে বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, কোয়ালিফাই করার পর আমাদের সিমেন্ট পছন্দ করে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট প্রথম বসুন্ধরা গ্রুপ ইটালিয়ান থাই কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি করে। সেই চুক্তিতে প্রথম আমরা বড় প্রকল্পগুলোতে সিমেন্ট সরবরাহ করছি। এখন পর্যন্ত ১২৫ হাজার মেট্রিক টন সিমেন্ট সরবরাহ করি। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ৯৫ ভাগ সিমেন্ট সরবরাহ করেছে এককভাবে বসুন্ধরা। এই প্রকল্পে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। এত বড় প্রকল্পে আমরা সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে কাজ করছি। দেশের মানুষের যেমন সময় বাঁচবে, যানজটে সময় অপচয় হতো তা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। দেশের অর্থনীতিতে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সরাসরি সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগান হচ্ছে, ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’। বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। এসব মেগা প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহ করার ক্ষেত্রে আমাদের সেটা খেয়াল রাখতে হয়। আমরা ভালো মানের পণ্য দিলে উন্নত স্থাপনা তৈরি হবে। দেশের প্রতি দায়িত্ব থেকে আমরা সেই কাজটি করে থাকি। পণ্য সরবরাহ করেই আমাদের কাজ শেষ করি না। প্রকল্পগুলোতে যে নির্মাণ শ্রমিক কাজ করে, অন্য যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সামাজিক সুরক্ষার প্রতি আমাদের লক্ষ্য থাকে। কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা সিমেন্ট।

সর্বশেষ খবর