রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
রংপুর

মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের পাঠক বেশি

নজরুল মৃধা, রংপুর

মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের পাঠক বেশি

প্রায় অর্ধ লাখ বইয়ের সমাহার রংপুর বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারে। সপ্তাহের ৫ দিন থাকে পাঠকের পদচারণা। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৩০ জন পাঠক এখানে আসেন। শিশু, ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ পাঠকের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ গণগ্রন্থাগারটি। নগরীর শাহী পাড়ার কলেজ শিক্ষার্থী রিদিকা বললেন, সপ্তাহে তিনি দুই দিন এখানে আসেন বই পড়তে। মুক্তিযুদ্ধের বই তার বিশেষ পছন্দের। নিয়মিত পাঠক সবুজ আহমেদ বলেন, প্রতিদিন কিছু সময় বের করে এখানে আসেন। গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক পদটি দীর্ঘদিন থেকে শূন্য। এ ছাড়া সহকারী পরিচালক একজন, লাইব্রেরি সহকারী দুজন, পাঠকক্ষ সহকারী দুজন, বুকসটার দুজন, অফিস সহায়ক একজন।

বই আছে ৫১ হাজার ৩৯৯টি। দৈনিক পত্রিকা ৮/১০টি। এখানে পড়ার পাশাপাশি বই বাড়িতে নিয়েও যাওয়া যায়। এ ধরনের সদস্য সংখ্যা ৩৭১ জন। গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক আবেদ হোসেন বলেন, এখানে আগের চেয়ে অনেক পাঠক বেড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের পাঠক সবচেয়ে বেশি। জনসাধারণের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি এবং গ্রন্থাগারের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে। গণগ্রন্থগারের সামনেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি। এটি দেশের মধ্যে প্রাচীনতম। ১৮৩২ সালে কুন্ডীর জমিদাররা এটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে রাজমোহন রায় চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক আর্থিক দায়িত্ব নেন। পরবর্তীকালে তুষভান্ডারের জমিদার রমণীমোহন রায় চৌধুরী এবং কাকিনার জমিদার মহিমারঞ্জন রায় চৌধুরী গ্রন্থাগারটির পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এখানে ৩০ হাজারের বেশি বই, পান্ডুলিপি, পুঁথি, উৎকীর্ণলিপি ও প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষিত ছিল। ১৯৩৫ সালে ভারত সরকার এটিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অধিগ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রায় ১৯১ বছর বয়সী এ প্রতিষ্ঠানটি নিভু নিভু অবস্থায় চলছে।

 

সর্বশেষ খবর