বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পূজার পোশাক

পূজার পোশাক

মডেল : অপুর্বা কাজী, পোশাক : বিসর্গ, ছবি : কায়সার কবির কচি

বাতাসে ভাসছে পূজার গন্ধ। বেজে উঠেছে পূজার বাদ্যি। ষষ্ঠী থেকে দশমী এই পাঁচ দিন পূজার উৎসব চলতে থাকে। পূজায় আনন্দ ভাগাভাগি, ঘোরাঘুরি, কেমন হবে পোশাক, আর সাজকাহন- এসব নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। তাই এ উৎসবে সনাতনীদের মনে আনন্দ অবিরাম...

শরতের শুভ্রতায় আকাশের বর্ণিল রঙের ভেলায় চেপে এসেছে দুর্গাপূজা। বাতাসের তালে কাশফুলের মাথা দোলানো আর ঢাকের গুড়গুড় শব্দ জানান দিয়েছে সেই মহালগ্নের। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে শুরু হয় সাজ সাজ রব, মধুর আয়োজন। উৎসবের আয়োজনে নতুন পোশাক তো থাকবেই। ইতোমধ্যেই পূজার কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। শপিং মল থেকে শাড়ির দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। আর পুরুষদের তুলনায় তো মহিলাদের জামাকাপড়ের অপশন সবসময়ই বেশি। ফলে, কেনাকাটা করতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েন তাঁরা। কোনটা ছেড়ে কোনটা কিনবেন? রইল বিস্তারিত...

পূজা জমে ওঠে সপ্তমী থেকে। তবে কী ষষ্ঠী বাদ পড়বে? কেননা, ষষ্ঠীর দিন অনেকেই একটু সাদামাটা থাকতে পছন্দ করেন। তাঁরা শাড়ির পাশাপাশি বেছে নিতে পারেন ট্র্যাডিশনাল সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, ওয়ান পিস অথবা ওয়েস্টার্ন যে কোনো পোশাক। পূজা মানেই যে সবসময় ঐতিহ্যবাহী সাজে থাকতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনি যে পোশাকে স্বস্তি পান সে পোশাকই পরুন। শাড়ি পরতে চাইলে সুতির শাড়ি, মণিপুরী বা তাঁতের শাড়ি পরতে পারেন। সপ্তমীর সকালে পরার জন্য লাল, সাদা, কমলা, রংগুলো মানানসই। এই দিনে উৎসবের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে পরতে পারেন জামদানি শাড়ি। লাল-সাদার পাশাপাশি হলুদ, কমলা, সবুজ, মেরুন রঙের শাড়িও বেশ চলছে। এমনকি শিফনের শাড়ির সঙ্গে ভারী ঝুমকা আর কপালে কালো টিপও মানাবে। সঙ্গে সোনা, রুপার ভারী গহনা এবং হাতভর্তি চুড়ি। আর শাড়ি পরতে না চাইলে জর্জেট বা সিল্কের কুর্তি, থ্রিপিস বা গাউন পরতে পারেন।

অষ্টমীর সাজটা হওয়া চাই একদম অন্যরকম। অষ্টমীতে রাজশাহী সিল্ক, হাফ সিল্ক, কাতান, জামদানি, মসলিন, জর্জেট যে কোনো ধরনের শাড়ি গায়ে জড়াতে পারেন। তবে পোশাকের রং হওয়া চাই হালকা রঙের। এতে সাজে বৈচিত্র্য থাকবে। এছাড়া এমব্রয়ডারি, কারচুপি কারুকাজের লেহেঙ্গা বা স্কার্ট পরতে পছন্দ করেন অনেকে। যা পূজায় অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলবে। আর কুর্তি, কামিজ যেমন ভিন্ন লুক দেবে, তেমনি স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতেও পারবেন।

নবমীর দিন ভরপুর খাওয়া-দাওয়া আর ঘুরে বেড়ানো। এ দিন উজ্জ্বল রঙের পোশাকে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে পারেন। নীল, সবুজ, লাল, বেগুনি আপনার পছন্দের যে কোনো রঙের শাড়িতে ঠাকুর দেখতে চলে যান। নবমীর দিন সুতির শাড়ি না পরে জর্জেট, কাতান কিংবা সিল্ক জাতীয় শাড়ি বাছাই করতে পারেন। সঙ্গে রাখুন মানানসই গয়না আর মেকাপ। বেশি অসুবিধা না থাকলে পূজার শেষ দুটো দিন শাড়িতেই ফুটিয়ে তুলুন নিজেকে।

শারদীয় দুর্গাপূজার প্রধান আকর্ষণ দশমী। পূজার শেষ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন। যতই নানা রঙের শাড়ির চল থাকুক না কেন, লাল পেড়ে সাদা শাড়ির আবেদন নারীর কাছে অন্যরকম। তাই দশমীর দিন লাল-সাদা শাড়ি জড়িয়ে মায়ের সামনে দাঁড়ান। অন্যান্য রং যেমন বাদামি, খয়েরি, মেরুন, বাসন্তি শাড়িও পরতে পারেন। শাড়িতে অনীহা থাকলে সালোয়ার-কামিজ, থ্রিপিস, লেহেঙ্গাও পরা যেতে পারে। সাদা কুর্তির সঙ্গে লাল পায়জামা আর লাল ওড়নাও বেশ মানাবে।

সাজগোজ বা পোশাকের বেলায় নিজে কিসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, সেটিই বাছাই করুন। পোশাকের রং যা-ই থাকুক, এই পূজায় উৎসবের রঙে নিজেকে রাঙাতে ভুলবেন না।

লেখা : ফেরদৌস আরা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর