বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিচিত্র যত অবকাশ

রণক ইকরাম

বিচিত্র যত অবকাশ

কর্মস্রোতে জীবন যখন রুদ্ধশ্বাস, তখন সামান্য অবকাশই নিয়ে আসে মুক্তির আশ্বাস। আর এই ‘অবকাশ’ শব্দটা শুনলেই চোখে ভেসে আসে সমুদ্রসৈকতে স্নান কিংবা নির্জন পাহাড়ের হাতছানি। আর ওই সময়টা আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে যদি পাশে থাকে প্রিয় মানুষটি। এ অবকাশ বিলাসে পিছিয়ে নেই বলিউড তারকারাও। সারা বছর ব্যস্ত সময়ে তাদেরও চাহিদা থাকে একটু অবকাশযাপনের। আজকের আয়োজনে রইল বিশ্বের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে থাকা অবকাশযাপনের বিচিত্র সব আয়োজন...

 

বিবস্ত্র অবকাশযাপন!

রিসোর্টে অবকাশযাপনের কথা এলে চোখে ভেসে ওঠে নির্জন কোনো দ্বীপ, লোকালয় থেকে অনেক দূরের কোনো রিসোর্ট। যেখানে সমুদ্রের ঢেউ গুনে একটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। তবে আজ আমরা জানব এমন এক বিচিত্র রিসোর্টের গল্প, যেখানে সহসা সবাই যেতে পারে না। এর একমাত্র কারণ, এখানে যাওয়ার পূর্বশর্ত হলো কারও গায়ে কোনো পোশাক থাকা চলবে না। জনপ্রিয় রিসোর্টটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ‘সি মাউন্টেইন ন্যুড রিসোর্ট’। একে এখন লোকজন ডাকেন ‘ডিজনিল্যান্ড ফর অ্যাডাল্টস’ নামে। অর্থাৎ ওই অবকাশযাপন শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। কেননা বিবস্ত্র অবকাশযাপন।

এতে আধুনিক খুল্লামখুল্লা জগতের অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন। এর মধ্যে আছেন বেশ কিছু প্রথম শ্রেণির সেলিব্রেটিও। ২০ বছর আগে যাত্রা শুরুর পর ডিইউয়ি ইয়ল ও তার স্ত্রী এরই মধ্যে এর দুটি শাখা খুলেছেন। একটি লাস ভেগাসে। অন্যটি ক্যালিফোর্নিয়ায়। সি মাউন্টেইনের নিয়ম হলো- কোনো গেস্ট পোশাক পরে সেখানে যোগ দিতে পারবেন না। তাদেরকে যৌনতার বিষয়ে মুক্ত ধারণা থাকতে হবে। এর ভিতর যেখানে খুশি তারা অন্তরঙ্গতায় লিপ্ত হতে পারেন। সুইমিংপুলে ভরা হয়েছে মিনারেল ওয়াটার। ফলে তার ভিতরে কোনো যুগল যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ অবস্থান করতে পারবেন। ২৪ ঘণ্টা চারদিক থেকে আসবে নাচের শব্দ। অসীম বিনোদনের জন্য দেওয়া হয় বেড। আছে স্ট্রিপার পোল। স্টাফরা শতভাগ নারী। তাদের ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। তারা গেস্টদের মতোই রিসোর্টে সারাক্ষণ বিবস্ত্র হয়ে ঘোরেন। রিসোর্টের মালিক ডিইউয়ি ইয়লে জানান, পৃথিবীতে এটার মতো আর কোনো অবকাশযাপন কেন্দ্র নেই। এখন আমাদেরকে অনেকেই অনুকরণ করছেন। আমাদের উদ্যোগ বিভিন্ন কারণে ব্যতিক্রমী। এতে আছে মিনারেল ওয়াটারের পুল, ২৪ ঘণ্টার ড্যান্স ক্লাব। বিপুলসংখ্যক সেলিব্রেটি এতে যোগ দেন। তারা অন্তরঙ্গতা অনুভব করেন। এর মধ্যে অনেকে আছেন এ-তালিকাভুক্ত সেলিব্রেটি, এমনকি মিউজিক আর্টিস্টও। আপনি যদি সি মাউন্টেইন লাস ভেগাস বা সি মাউন্টেইন ক্যালিফোর্নিয়াতে আসেন তাহলে দেয়ালে দেয়ালে দেখবেন তাদের অটোগ্রাফ। আছে ব্যক্তিগত চিহ্ন। আছে টপ মিউজিক চার্টের আর্টিস্ট। ডিইউয়ি ইয়লের মতে, আপনি যদি কোনো ফোর সিজন রিসোর্টে যান, সেখানে হয়তো পাবেন ৫০০ রুম। আর পরিচিত সব ব্যক্তি। তাহলে তো আর সেটা ভ্যাকেশন থাকলা না। তাই এমন একটি স্থানে আসুন, যা ছোট আকারের। একসঙ্গে সেখানে থাকেন ১০০ বা ২০০ মানুষ। আগতদের মধ্যে হাই প্রোফাইল অনেকে থাকেন। তারা সি মাউন্টেইনে সবার সঙ্গে মিশে যান।

 

বেস জাম্পিং

বেস জাম্পিং হলো উঁচু ভবন বা স্থাপনা থেকে লাফিয়ে প্যারাসুট দিয়ে নামার একটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ খেলা। এটিকে খেলা বলা ঠিক কি না তা নিয়ে বিতর্ক করার চেয়ে জেনে নিই কিছু তথ্য বেস জাম্পিং সম্পর্কে। উঁচু যে কোনো ভবন বা ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে কিছু সময় ফ্রি ফল করে উত্তেজনা লাভ করাই বেস জাম্পারদের উদ্দেশ্য। প্যারাসুট জাম্পিং সাধারণত অনেক উঁচু থেকে বা প্লেন থেকে লাফিয়ে হয়। প্যারাসুট জাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে যত বেশি উচ্চতা ততটাই সহজ ও ঝুঁকির পরিমাণ কম। কারণ ভুল শোধরানোর সময় ও সুবিধা বেশি। বেস জাম্পারদের জন্য কিন্তু ভুল শোধরানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ অল্প উচ্চতা থেকে লাফ দেওয়ার ফলে মাত্র অল্প কিছু সময় পান তারা প্যারাসুট খোলার। যদি ভুল হয় তাহলে ওই লাফটাই তার শেষ লাফ হয়ে যায়। বলা হয়ে থাকে, প্রতি ৬০টি বেস জাম্পের মধ্যে একটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে Thrill seeker দের জন্য নিঃসন্দেহে চরম উত্তেজনা উৎপাদক এই বেস জাম্পিং। বেস জাম্পারদের ফেভারিট জাম্পিং The New River Gorge Bridge, El capitan hill, Lauterbrunnen valley, Switzerland । নরওয়েকে বেস জাম্পিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো দেশ বলা হয়ে থাকে। উঁচু উঁচু সবুজ পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে বিশেষ ধরনের পোশাকের সাহায্যে নিজের শরীরকে পাখির মতো গ্লাইড করে। বিপজ্জনক চূড়া আর পাহাড় থেকে জেগে ওঠা গাছের ডালপালাকে পাশ কাটিয়ে মাটির দিকে তীব্র গতিতে এগিয়ে যাওয়ার মাঝে রয়েছে চরম উত্তেজনার হাতছানি।

 

মহাশূন্যের হোটেলে

কোথাও ঘুরতে গেলে থাকার জন্য হোটেলের বিকল্প মেলা ভার। তবে সেই হোটেলটি যদি পৃথিবীতে না হয়ে মহাকাশে হয়? এই অসম্ভবকে সম্ভব করার উদ্যোগ নিয়েছে ‘অরবিটাল অ্যাসেম্বলি করপোরেশন’ নামের একটি সংস্থা। তারা মহাকাশে এমন একটি হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন, যেখানে ভ্রমণকারীদের থাকা, খাওয়া, ঘোরাঘুরি- এমনকি নানানরকম বিনোদনেরও ব্যবস্থা থাকবে। সংস্থাটির প্রধান জন ব্লিনকাউয়ের মতে, অন্তত ২৮০ জন মানুষের থাকার মতো ব্যবস্থা তারা করবেন। সঙ্গে ১১২ জন কর্মচারী। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর মতো করে মানুষ মহাকাশেও ঘুরতে যাবে। ক্যালিফোর্নিয়ার এক কোম্পানি- গেটওয়ে ফাউন্ডেশন প্রথম ভেবেছিল একটা জাহাজ আকৃতির হোটেল তৈরি করবে, যেটা থাকবে মহাশূন্যে ভাসমান। পৃথিবী ও মহাশূন্যের মধ্যবর্তী কারম্যান লাইন অতিক্রম করে এই জাহাজ আকৃতির হোটেল ভেসে থাকবে মহাশূন্যে। ২০২৫ সালে কাজ শুরু করে ২০২৭ সাল নাগাদ এটি চালুর ইচ্ছা তাদের। তবে প্রকল্প প্রধান ব্লিনকাউ আশা করছেন, ২০২৬ সাল নাগাদ তারা এর নির্মাণকাজ শেষ করতে পারবেন। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৭ সাল থেকে ভ্রমণের জন্য জমে উঠবে মহাকাশ হোটেল।

 

স্কুবা ডাইভিং

সমুদ্রের তলদেশে সাঁতার কাটছেন, প্রচুর নাম না জানা মাছের দলের সঙ্গে হলো সাক্ষাৎ। চোখের পলক না ফেলতেই সাঁই সাঁই করে কই যে পালালো মাছগুলো! কিছুক্ষণ পর আবার জীবিত শৈবালের ফুরসত না মিলতেই রীতিমতো ৪০ ফুট লম্বা আরও একটি মাছের সঙ্গে সাক্ষাৎ! এমন স্কুবা ডাইভিংয়ে প্রিয়জনকে নিয়ে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন, দুবাই, মিসর, জ্যামাইকা, মালয়েশিয়া, তানজানিয়ার মতো দেশগুলোয় এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ নেওয়া যাবে। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও স্কুবা ডাইভিং বেশ জনপ্রিয়। স্কুবা ডাইভিং হলো- পানির তলে নিজে বহনযোগ্য শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার যন্ত্রের সাহায্যে ডাইভিং করা। স্কুবাতে ভয়ের কোনো কারণ নেই, এমনকি সাঁতারে খুব ভালো হওয়ার প্রয়োজনও নেই! হাই প্রেসার এয়ার কম্প্রেসার, স্কুবা সিলিন্ডার ব্রিদিং রেগুলেটর প্রেসার মিটার, বয়েন্সি কন্ট্রোল ডিভাইস, মাস্ক, ফিন্স ওয়েটবেল্ট, নাইফ, ওয়েটসুট, ডাইভ কম্পিউটার, টর্চলাইটের মতো যন্ত্রপাতি স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য প্রয়োজন। জানা গেল, এসব যন্ত্রপাতি লাগানোর পর এমনিতেই ভেসে থাকতে পারবে যে কেউ।

 

মরু ভ্রমণ

মানুষের অবকাশ ভাবনায় বৈচিত্র্যের কোনো শেষ নেই। কেউ কেউ আছেন দুর্গম সব জায়গায় বেরিয়ে পড়েন অবকাশ কাটানোর জন্য। তেমনি একটি অবকাশ যাপনের মাধ্যম হচ্ছে মরু ভ্রমণ। মরুভূমিতে ভ্রমণ করার জন্য একজন প্রশিক্ষিত অভিযাত্রীর মতোই আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। মরুভূমিতে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জানা থাকতে হয় যাবতীয় কৌশল। পানির পিপাসা মেটানোর জন্য সঙ্গে রাখতে হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয়। আবার কাপড়ের নিচে লুকিয়ে থেকে মরুঝড়ের হাত থেকে বাঁচার কৌশলসহ অন্যান্য কৌশল রপ্ত করতে হয়। কেউ কেউ মরুভূমিতে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রি যাপন করতে ভালোবাসেন। সেই সঙ্গে গান আর বারবিকিউর সান্নিধ্যে একেবারেই অন্যরকম হয়ে ওঠে মরুভূমির নির্জন-ধূসর রাত। মরুভূমি থেকে সবচেয়ে বড় তারা দেখা যায়। সেই লোভেও কেউ কেউ ছুটে যান তপ্ত মরুর বুকে। নিরাপত্তাজনিত কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মরু ভ্রমণ করা হয় দলবেঁধে।

 

সমুদ্রস্নান

সমুদ্র স্নান পশ্চিমা দেশগুলোতে খুব জনপ্রিয়। অবকাশের জন্য সাগরপাড়ে ছুটে যাওয়া যেন মানুষের ছুটিকে পূর্ণ করে। সমুদ্রে স্নান করা বলতে এখন আর শুধু সমুদ্রে গোসল করা বা সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে বাতাস খাওয়াতেই সীমাবদ্ধ নেই। অনেকেই ছোটখাটো বোট জোগাড় করে সমুদ্রের গহিনে চলে যান। সামুদ্রিক নৌকাগুলোতে করে সমুদ্রের একেবারে মাঝখানে যেখানে সাধারণত মাছ ধরার নৌকা বা বড় জাহাজের যাতায়াত কম, সেখানেও দীর্ঘদিন থাকার পরিকল্পনা নিয়ে চলে যান। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন পরিচিতজনদের কাছ থেকেও। অবকাশের এই সময়টুকু একেবারেই নিজের মতো করে কাটাতে সব কিছু থেকেই যেন নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। সমুদ্র স্নানে এখন অনেকেই পার্শ্ববর্তী দ্বীপের উদ্দেশে নৌকা ভাসিয়ে দেন। সমুদ্রের সঙ্গে নিজের বন্ধুত্বটা অটুট করতে এমন অদ্ভুত ও বিচিত্র কৌশল নিয়ে থাকেন, যেগুলো আপাতদৃষ্টিতে পাগলামি মনে হতে পারে। সমুদ্রের কাছেই অনেকে আবার ঘুড়ি উড়ানোর নেশায় জমায়েত হন নিজেদের বানানো বিচিত্র রঙে বিচিত্র ঢঙের ঘুড়ি নিয়ে। ধনবান মানুষদের ক্ষেত্রে সমুদ্রযাত্রার মানেটা আবার আরেকটু ভিন্ন। তারা রীতিমতো বিশালাকারের স্ক্রুজ শিপে করে ১৫ দিন কিংবা এক মাসের জন্য বেরিয়ে পড়েন উত্তাল সমুদ্রে। আর সেখানেই কাটে তাদের সকাল-দুপুর অষ্টপ্রহর।

 

সার্ফিং

সার্ফিং আমাদের দেশে পরিচিত অবকাশের মাধ্যম না হলেও বহির্বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারেও বেশ জোরেশোরে চলছে সার্ফিংকে জনপ্রিয় করার কাজ। বিভিন্ন প্রকার অবকাশের দিক থেকেই এগিয়ে আছে সার্ফিং। সার্ফিং আমাদের দেশে পরিচিত অবকাশের মাধ্যম না হলেও বহির্বিশ্বে এর তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। কারণ এটিও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী একটি বিষয়। মৃত্যুর আগে সার্ফিং করার কথাও বিশ্বজুড়ে অনেক বেশি আলোচিত। সমুদ্রের উত্তাল জলরাশির সামনে থেকে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার উত্তেজনা পেতে সার্ফিংয়ের তুলনা নেই। কিছুটা বিপজ্জনক হলেও এই অবকাশে মানুষের আগ্রহ এতটা বেশি যে, মৃত্যুর আগে গর্জন করে ধেয়ে আসা সমুদ্রের জলরাশির সামনে থেকে সার্ফিং করার বাসনা রয়েছে। বিশ্বের নির্দিষ্ট বেশ কয়েকটি সমুদ্রে সার্ফিং করতে ভিড় করে অনেকে। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারেও বেশ জোরেশোরে চলছে সার্ফিংকে জনপ্রিয় করার কাজ। বহির্বিশ্বে এতটাই জনপ্রিয় যে, শিশুরা মাত্র চার মাস বয়স থেকেই শিখতে শুরু করে সার্ফিং খেলা। কিন্তু এরই মধ্যে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সমুদ্রের ঢেউয়ে সার্ফিং করছে। বিশ্বজুড়ে সার্ফিং পেশাদার খেলা হিসেবেও দারুণ জনপ্রিয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের অবকাশ যাপনের মাধ্যম হিসেবেও বেছে নিচ্ছেন সার্ফিংকে। ইদানীংকালে বাংলাদেশেও পেশাদার সার্ফিংয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। আর এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশি সার্ফারদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশ ও কক্সবাজারকে সারা বিশ্বে নতুন করে পরিচিত করে তুলবে বলে মনে করছেন সবাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর