সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কী আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে

আবদুল কাদের

কী আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে

সম্ভবত এটি বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় অঞ্চল। আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে এ কাল্পনিক ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চলে হারিয়ে গেছে বহু জাহাজ, বিমান এবং অসংখ্য মানুষ। আর সবার নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কারণ- রহস্যময় এ অঞ্চল।  আজ জানব, যুগ যুগ ধরে সমুদ্রের অতল গহ্বরে লুকিয়ে থাকা এ রহস্য সম্পর্কে...

পৃথিবীর বুকে রহস্যময় যত স্থানের নাম রয়েছে- তন্মধ্যে অন্যতম বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। যা আজও বিশ্ববাসীর কাছে অজানা। আজও নানা কুসংস্কার ও রহস্যে মোড়ানো বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। রহস্যেঘেরা স্থানটিকে কখনো কখনো ‘ডেভিলস ট্রায়াঙ্গেল’, ‘লিম্বো অব দ্য লস্ট’, ‘দ্য টোয়াইলাইট জোন’ এবং ‘হুডু সাগর’ বলে ডাকা হয়। বারমুডা, ফ্লোরিডা এবং পুয়েরতো রিকোর মধ্যে একটি ত্রিভুজাকৃতির আয়তন ৭ লাখ বর্গকিলোমিটার, অঞ্চলটিকে একত্রে বলা হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। যদিও এ নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। সে যা-ই হোক, এ অঞ্চলটি মারাত্মক রহস্যময়। এমন কয়েকটি খবর যা কেবল মানুষের মনে বিস্ময় জাগায়নি, রহস্য উন্মোচনে করেছে মরিয়া। বলা হয়, এ ত্রিভুজাকৃতির মধ্যে অদ্ভুতভাবে হারিয়ে গেছে অসংখ্য মানুষ, জাহাজ আর উড়োজাহাজ। তবে রেখে যায়নি কোনো ধ্বংসাবশেষ।

ধারণা মতে, ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি ‘ডেভিলস ট্রায়াঙ্গেলটি’র নামকরণ করা হয়। সে সময় লেখক- ভিনসেন্ট গ্যাডিস আর্গোসি একটি ম্যাগাজিনের জন্য ‘দ্য ডেডলি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল’ শিরোনামের একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। নিবন্ধটি নানা রহস্যময় কাহিনিরচিত, যেখানে পৌরাণিক কাহিনি জনপ্রিয় হওয়ার অনেক আগে, এ অঞ্চলটি নিতান্ত একটি নির্জন দ্বীপ হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রথমে তো, ‘কাহো’ পাখির ডাক এবং তীরবর্তী বন্য শূকরের বীভৎস চিৎকার; নিকটবর্তী সমুদ্র ভ্রমণকারীরা বেশ ভয় পাইয়ে দিত। তখন থেকেই একে ‘দ্য ডেভিলস আয়ারল্যান্ড’ নামকরণ করা হয়। তবে পরবর্তীকালে রহস্য আর নিখোঁজের কাল্পনিক কাহিনি অঞ্চলটিকে করেছে ভূতুড়ে। এ ছাড়া পৃথিবীর বুকে বারমুডা, ফ্লোরিডা এবং সান জুয়ান, পুয়ের্তো রিকো ত্রিমুখী অঞ্চলটি এক রহস্যময় স্থানে পরিণত হয়। দ্বীপটির রহস্যময় খ্যাতি শেকসপিয়রের ‘দ্য টেম্পেস্ট’ রচনায় অমরত্ব লাভ করে। এটি ছিল জাহাজ ধ্বংস-নিখোঁজ এবং জাদুবিদ্যার এক গল্প- শিরোনাম : ‘এখনো বিরক্তিকর বারমুথস।’

ত্রিভুজাকৃতির অঞ্চলটিকে ‘শয়তানের ত্রিভুজ’ বলেও ডাকা হয়। সর্বপ্রথম এ স্থানটির আবিষ্কার করেছিলেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস। আমেরিকার উদ্ভাবক। তার বর্ণনায় উঠে আসে ট্রায়াঙ্গেলকে ঘিরে রহস্য কথা। একবার কলম্বাসের জাহাজের নাবিকরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল পাড়ি দেওয়ার সময় দেখেন আলোর নাচানাচি আর ধোঁয়া। কলম্বাস আরও বলেছেন, এ জায়গায় এসে তার কম্পাসও ভুল নির্দেশনা দিচ্ছিল। আজ পর্যন্ত অসংখ্য জাহাজ এবং উড়োজাহাজ মিলিয়ে গেছে এই ট্রায়াঙ্গেলে যার কোনো চিহ্ন আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ধারণা করা হয়, বিগত ৫০০ বছরে কমপক্ষে ৫০টি বাণিজ্যিক জাহাজ ও ২০টি বিমান রহস্যের বীজ বপন করেছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে। তাদের বেশির ভাগ আবার কোনো প্রকার চিহ্ন ছাড়াই অদৃশ্য হয়ে গেছে কিংবা হারিয়ে গেছে। আশপাশে মেলেনি কোনো ধ্বংসাবশেষ কিংবা লাশও। অনেকের মতে, পানির গভীরতায় মিলিয়ে গেছে, কোনো বিপদসংকেত না দিয়েই। প্রচলিত ঘটনাগুলোর মধ্যে, ১৮৭২ সালে ‘মারি সেলেস্ত’ নামের ১০৩ ফুটের একটি ব্রিগ্যান্টাইন পাওয়া গেছে ভাসমান এবং পরিত্যক্ত অবস্থায়। তবে ‘মারি সেলেস্ত’র আসল রহস্য হলো- জাহাজটি মেলে পর্তুগালের উপকূলে। আর বিচিত্র সব ধারণা জন্ম দিয়েছে এ ত্রিমুখী অঞ্চল। কথিত আছে, ভিনগ্রহের প্রাণী পৃথিবীতে এসে স্থানটিকে তাদের ঘাঁটি বানিয়ে নিয়েছে। এ অঞ্চলের ভিতরে প্রবেশকারী সব কিছুর যেন নিমিষেই গায়েব হয়ে যায়। তাও আবার কোনো চিহ্ন কিংবা ধ্বংসাবশেষ ছাড়াই গায়েব করে দেয়, যাতে কেউ কিছু জানতে না পারে। মজার ব্যাপার হলো- একে ব্ল্যাকহোলের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যেখানে একবার কেউ প্রবেশ করলে ফেরা তো দূরে থাক! তার কোনো অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

রহস্য এখনো সমাধান খুঁজে পায়নি। তবে স্থানটি নিয়ে যেসব সামুদ্রিক বিপর্যয় ঘটেছে তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক তত্ত্বে বলা হয়েছে, জাহাজ এবং বিমানের অদ্ভুতভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পেছনে সমুদ্রের তলের মিথেন গ্যাস দায়ী। কারণ মিথেন গ্যাসের উদ্গিরণ সমুদ্রকে উত্তপ্ত করে। ফলে জাহাজ ডুবে যায়। মাত্রাতিরিক্ত মিথেন গ্যাস দাহ্য হিসেবে বাতাসে উঠে যায় এবং তা বিমানের ইঞ্জিনকে জ্বালিয়ে দেয়। ফলে বিমান বিস্ফোরিত হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়।

স্থানটিকে নিয়ে সর্বপ্রথম রহস্য দানা বাঁধে, ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর। সেদিন আমেরিকার পাঁচটি যুদ্ধবিমান ১৪ জন নিয়ে বারমুডায় মিলিয়ে যায়। সর্বশেষ তথ্য মতে খবর রটেছিল, এর ওপর দিয়ে পাড়ি দেওয়া বিমানগুলো যখন অঞ্চলটির খুব কাছাকাছি আসে, তখন তারা বলছিল- তাদের সামনে কেবল ধোঁয়া আর ধোঁয়া। কিছুই দেখতে পায়নি তারা। তাদের শেষ কথা ছিল- ‘আমাদের বাঁচাও’। এ ঘটনার পর অনুসন্ধানী একটি দল সেখানে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো- আজও তারা নিখোঁজ। তেমনি এক রহস্য- ১৯৬৭ সালের ২২ ডিসেম্বর। মায়ামি থেকে বিলাসবহুল ইয়ট উইচক্র্যাফটে করে বাবা-ছেলে সাগরে পাড়ি জমালেন। কিন্তু তীর থেকে এক মাইল দূরে পৌঁছাতেই কোস্ট গার্ড কল পেলেন যে, জাহাজটি কোনোকিছুর সঙ্গে বাড়ি খেয়েছে, তবে বড় ক্ষতি হয়নি। কোস্ট গার্ড তখনই রওনা হয়ে গেল, ২০ মিনিটের মাথায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা গেল, কিছুই নেই! কোনো চিহ্নই নেই জাহাজের! আজ পর্যন্ত তাদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ১৯৪৭, ১৯৪৮, ১৯৪৯, ১৯৬২, ১৯৬৫, ২০০৫, ২০০৭ এবং ২০১৭ সালে আরও কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। ১৮০০ সালে ঘটে প্রথম জাহাজ দুর্ঘটনা, যেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৯০ জন যাত্রী। এ ছাড়া ১৮১৪, ১৮২৪, ১৮৪০, ১৯১৮, ১৯২১, ১৯২৫, ১৯৪১, ১৯৬৩ এবং সবশেষ বিংশ শতাব্দীর ২০১৫ সালে অসংখ্য প্রাণহানি দেখে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আজ পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষ বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে প্রাণ হারিয়েছেন। যা গড় হিসাবে বছর প্রতি ১০ জন। আজ অবধি অনেক গবেষণা হয়েছে এ ত্রিভুজাকৃতির স্থানকে ঘিরে। তারপরও সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী তুলে ধরেছেন বারমুডার আসল রহস্য। তাদের বর্ণনায়, সমুদ্রের এ জায়গায় ষড়যন্ত্র মেঘের (Hexagonal Cloud) কারণে এক বায়ু গোলার সৃষ্টি হয় যার কারণে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়, তাতে আশপাশের সব কিছু এ বিশাল ঢেউ সহ্য করতে না পেরে হারিয়ে যায় আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গহ্বরে। এ গবেষণাটিকেই আজ পর্যন্ত সব গবেষণার ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা সত্য হোক কিংবা কল্পকাহিনি, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল স্থানীয়দের মধ্যে যে রহস্যের সৃষ্টি করেছে, যা শিগগিরই মিলিয়ে যাবে না।

 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল কী?

এটি একটি ত্রিভুজাকৃতির জায়গা বিশেষ। যার এক পাশে রয়েছে ফ্লোরিডা, অন্যপাশে বারমুডা আর অন্যপাশে আছে সান জুয়ান, পুয়ের্তো রিকো। অনেকে আবার এ জায়গাকে ট্রাপিজিয়াম আকৃতির বলে থাকেন। তবে এর অন্য একটি নাম হলো ‘ডেভিল ট্রায়াঙ্গেল’।

 

কেন এটি রহস্যেঘেরা?

সম্ভবত এটি পৃথিবীর অন্যতম রহস্যেঘেরা স্থান। কারণ, ভয়াল পরিবেশে নৌযান ও আকাশযানের বহু যাত্রীর অকাল প্রাণহানি। যেখানে আজ পর্যন্ত শতাধিক জাহাজ ও বিমান উধাও হয়ে গেছে এবং প্রাণ হারিয়েছেন হাজারখানেক মানুষ। অঞ্চলটি নিয়ে এমন থিওরি রয়েছে যে, এখানে একবার প্রবেশ করলে সেখান থেকে বের হওয়ার বা কোনো তথ্য বের করে আনার সুযোগ নেই।

 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল থিওরি

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে বিমান ও জাহাজ হারিয়ে যাওয়া নিয়ে অসংখ্য থিওরি প্রচলিত আছে। সব থিওরি ছাপিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করলে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আসে।

♦ এখানকার ম্যাগনেটিক ফিল্ড। এখানে কম্পাস অ্যাপ্রোপ্রিয়েট রিডিং দেয় না। ফলে জাহাজ বা বিমান সঠিক দিক চিনতে না পারার জন্য ভুল দিকে এগোয় এবং ভয়ংকর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

♦ এ অঞ্চলটির আশপাশ অগভীর, অসংখ্য হিডেন শোজ রয়েছে। আরও বলা হয়, আটলান্টিকের নিচে হারিয়ে যাওয়া শহর রয়েছে। যেখানে অতৃপ্ত আত্মা এবং রাক্ষস শহরের ধ্বংসাবশেষের প্রতিশোধ নিতে জাহাজ এবং বিমান আক্রমণ করে।

♦ এ মহাসাগরের তলদেশ থেকে উৎপন্ন হওয়া মিথেন হাইড্রেট গ্যাস পানির ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই জাহাজ মিথেন হাইড্রেটস কিংবা মাড ভলকানোর সৃষ্টি হলে পানির ওপরে থাকা জাহাজ ডুবে যেতে বাধ্য।

♦ বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের নিজস্ব আবহাওয়া এবং পরিবেশ রয়েছে। ওই এলাকাটি হ্যারিক্যানপ্রবণ অঞ্চল। এমনকি মারাত্মক টর্নেডো এবং ঝড়ের খবরও পাওয়া যায়। পৃথিবীতে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়প্রবণ অঞ্চলের শীর্ষে রয়েছে চীন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবা। ফ্লোরিডা এ অঞ্চলেই অবস্থিত।

♦ এ অঞ্চলের মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। এমন না যে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ছাড়া পৃথিবীর অন্য জায়গায় এত বেশি দুর্ঘটনা হয় না। এ অঞ্চলটা আসলে সমুদ্রের অন্য অঞ্চলের মতোই। এখানে প্রতিনিয়ত অসংখ্য জাহাজ চলাচল করে। বিজ্ঞানীদের মতে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল কেবল মানুষের মুখে মুখে বেশি পরিচিতি পেয়ে গেছে।

 

এর রহস্য সত্য নাকি মিথ্যা?

গবেষকদের মতে, এ অঞ্চলে জাহাজ ও উড়োজাহাজ নিখোঁজ হওয়ার যেসব থিওরি আজ পর্যন্ত শোনা গেছে তার কোনো ভিত্তি নেই। এখানে মূলত কোনো রহস্য নেই। কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে সত্যি। তবে সেগুলো কেবল নিছক দুর্ঘটনা। ওই এলাকা দিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে প্রচুর জাহাজ চলাচল করে। এমনকি অসংখ্য উড়োজাহাজেরও নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। এ রকম এলাকায় মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। অন্যান্য অঞ্চলেও এমনটি ঘটে।

 

কী ঘটে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে?

বিখ্যাত আবহাওয়াবিদ র‌্যান্ডি কারভ্যানি ও বিজ্ঞানী কার্ল ক্রুজেলেঙ্কির দাবি, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের আবহাওয়া ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়। এর পেছনে হেক্সাগোনাল ক্লাউড অর্থাৎ ষড়ভুজাকৃতি মেঘ দায়ী। ফলে বারমুডা দ্বীপের ২০ থেকে ৫৫ মাইলজুড়ে ষড়ভুজাকৃতির মেঘ তৈরি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ু।  যার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ মাইল। একে বলা হয় ‘এয়ার বম্ব’। এটি এতটাই শক্তিশালী যে প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার সামুদ্রিক ঝড় তৈরি করতে পারে। কোনো উড়োজাহাজ এ তীব্র বাতাস সামাল দিতে পারে না, এমনকি জাহাজও না।

সর্বশেষ খবর