বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির যুগান্তকারী সৌন্দর্য

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির যুগান্তকারী সৌন্দর্য
রূপ পাল্টে ফেলার জন্য মোটেও অপরিচিত নন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। তিন দশক ধরে মাতিয়েছেন হলিউডপাড়া। চলচ্চিত্র, রেড কার্পেট তো বটেই! এর বাইরেও বাহারি মেকআপ ও চুলের স্টাইলের জন্য বিখ্যাত..

অস্বীকার করার উপায় নেই যে, অ্যাঞ্জেলিনা জোলির রূপ-সৌন্দর্য, বাদাম-আকৃতির চোখ এবং দীর্ঘকায় গাল সত্যিই অতুলনীয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাকে করেছে অন্য সবার থেকে আলাদা। এর বাইরেও চলচ্চিত্র, রেড কার্পেট- এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মেকআপ কিংবা চুলের স্টাইলের জন্য তিনি বিখ্যাত। জোলি সুপার অ্যান্ড্রোজিনাস বা আল্ট্রা-গ্ল্যামারাস যাই হোক না কেন, তার লাইফস্টাইল এবং ফ্যাশন অনুসরণ করেন বিশ্বের অনেক তরুণী। হলিউডের এই অভিনেত্রীর কয়েকটি যুগান্তকারী সৌন্দর্য নিয়ে আজকের আয়োজন...

ফ্যাশন মডেল হিসেবে ১৪ বছর বয়সে জোলির পেশাজীবন শুরু। এরপর ১৯৮২ সালে লুকিন টু গেট আউট চলচ্চিত্রে বাবা জন ভয়েটের সঙ্গে শিশু চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জোলির আবির্ভাব। থিয়েটার প্রোডাকশনে অভিনয় করার পাশাপাশি মডেলিং এবং মিউজিক ভিডিওতে পরিচিতি পান জোলি। ১৯৯৩ সাল থেকে চলচ্চিত্রজীবনে তার পদচারণা শুরু। তবে পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে স্বল্প বাজেটের ছবি সাইবর্গ ২ (১৯৯৩)-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। তার অভিনীত প্রথম বড় মাপের ছবি হ্যাকারস (১৯৯৫)। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আসে একের পর এক সাফল্য। অর্জন করেন ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ অ্যাওয়ার্ড। তিনবার গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, দুবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড এবং একবার একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৭ সালের অস্কারের লাল কার্পেটে তাকে ভিন্ন সাজে দেখা যায়। সেবার পনিটেইল হেয়ারস্টাইল এবং বাউফ্যান্ট লুকে অস্কার মাতিয়েছেন। জোলির হেয়ার এক্সপার্ট টেড গিবসন বলেন, ‘অ্যাঞ্জেলিনা তার চুল মুখ থেকে দূরে রাখতে পছন্দ করেন।’ জোলির রূপান্তরকারী মেকআপগুলো হলো-

১. লাল ঠোঁট : জোলির লাল ঠোঁট জটিল চরিত্রেও গ্ল্যামার এবং আবেদনময়ী আবহ নিয়ে আসে। তার মেকআপ আর্টিস্ট বলেন, জোলির ঠোঁট আর মুখ জন্মগতভাবেই অসম্ভব সুন্দর এবং আবেদনময়ী। আর লাল লিপস্টিক তার ঠোঁটকে পূর্ণতা দেয়। জোলি তার ঠোঁট কোমল রাখার জন্য তাতে ব্লিস্টেক্স ব্র্যান্ডের লিপ বাম ব্যবহার করেন।

২. ব্লান্ট কাটস : জোলি গার্ল, ইন্টারাপ্টেড চলচ্চিত্রে লিসা রোর চরিত্রে অভিনয়ের সময় আইকনিক লুক উপস্থাপন করেছিলেন। ছোট ফ্রেঞ্জ হেয়ার কাট তার চরিত্রের ‘খারাপ মেয়ের মনোভাব’কে আরও বেশি প্রাণবন্ত করেছিল। তবে সেই চলচ্চিত্রের আগে, ১৯৯৫ সালে সাইবারস্পেস থ্রিলার হ্যাকারস-এ কেট লিবির চরিত্রে ছোট ক্রপড কাটে হাজির হয়েছিলেন।

৩. সোনালি চুল : লাইফ, অর সামথিং লাইক ইট-এ অভিনয়ের সময় স্বর্ণকেশী রূপে তাকে দেখা যায়। আসলে জোলির চুলের রং সোনালি। হেয়ার এক্সপার্ট টেড গিবসন বলেন, ‘আমি সাধারণত জোলির চুলে বেশি কালার করি না। জোলি চুলকে ন্যাচারাল রাখতে পছন্দ করেন। এটি তাকে আরও বেশি আবেদনময়ী করে তোলে।

সর্বশেষ খবর