শিরোনাম
শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বুকে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ে শিশু তামিম

রিকশাচালক জুয়েল শিকদারের একমাত্র ছেলে তামিম শিকদার (১০) ঢাকার রামপুরা প্রাইমারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামের জুয়েল শিকদার (৪৫) ১৫ বছর আগে পরিবার নিয়ে ঢাকার রামপুরা এলাকায় বসবাস শুরু করেন। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। নিজের বলতে জায়গা জমি, ঘর কিছুই ছিল না। গ্রামের বাড়ি খাপুরা মাঝে মধ্যে এসে অন্যের ঘরে থাকতেন। জুয়েল শিকদারের একমাত্র পুত্র তামিম শিকদার (১০) ঢাকার রামপুরা প্রাইমারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। তামিমের বাবা জুয়েল শিকদার জানান, আমাদের বাসার আশেপাশের মহল্লার ছোট ছোট পোলাপানেরা বিকেলে রাস্তার পাশে প্রতি দিন মাঠে খেলতে যায়। ১৯ জুলাই বেলা ৩টার সময় তামিম সহপাঠীদের নিয়ে রামপুরা এলাকায় বল খেলতে যায়। তার পাশে রাস্তার ওপর কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্ররা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। অন্য শিশুরা জানায়, হঠাৎ তামিম চিৎকার দিয়ে পড়ে যায়। সবাই দেখে তামিমের বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি তামিমের বুকে গুলি লেগেছে। তামিমকে রিকশা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জুয়েল শিকদার বলেন, আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। নিহত তামিমের চাচা খাপুরা গ্রামের মিরাজ শিকদার বলেন, ‘আমার বড় ভাই জুয়েল শিকদার অনেক গরিব মানুষ। লাশ গ্রামের বাড়িতে আনার মতো তাদের সামর্থ্য ছিল না। আমরা যে ভাঙ্গা থেকে টাকা পাঠাব, তার কোনো ব্যবস্থাও ছিল না। পরে ওই দিন রাত ১২টার দিকে রামপুরা কবরস্থানে তামিমকে দাফন করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর