পরিচয় থেকে প্রেম; প্রেম থেকে পরিণয়। প্রেমের টানে সুদূর জার্মানি থেকে প্রেমিকের কাছে ছুটে আসেন প্রেয়সী মারিয়া। বিয়ে করেন পছন্দের মানুষ বাংলাদেশি আব্রাহামকে। এরপর থেকে সুখেই তাদের সংসার যাত্রা। গ্রামের বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন আব্রাহাম। তাদের সংসার দুই বছর তিন মাসের বেশি সময়ের। এর মধ্যে পিএইচডি গবেষণার কাজে একাধিকবার জার্মানি আসা-যাওয়া করেন স্ত্রী মারিয়া। বর্তমানেও তিনি অবস্থান করছেন জার্মানিতে। অপরদিকে নিজ বাড়িতে আছেন স্বামী আব্রাহাম। বিবাহিত জীবনে এখনো নিঃসন্তান এই দম্পতি।
জানা যায়, সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আব্রাহাম হাসান নাঈমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জার্মান তরুণী মারিয়ার। মারিয়া জার্মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত ছিলেন শিক্ষকতা পেশায়। দীর্ঘদিন মন দেওয়া-নেওয়ার পর, তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। এদিকে জার্মানি যেতে আব্রাহামের অনীহা থাকায় ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর জার্মানি থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মারিয়া। সম্পর্ককে পরিণয়ে রূপ দিতে পরে ৭ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এ প্রেমিক যুগল। বিয়ের দিন বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো বাড়ি। আমন্ত্রিত হন এলাকার সবাই। রাজকীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুসলিম রীতি অনুসারে সম্পন্ন হয় বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা।
সম্প্রতি তাদের সাংসারিক জীবনযাত্রার খোঁজখবর নিতে শ্রীধরপুর গ্রামে আব্রাহামের বসতবাড়িতে যাওয়া হয়। এ সময় আব্রাহাম বাড়িতে থাকলেও রাজি হননি গণমাধ্যমে কথা বলতে। তখন কথা হয় তার ভগ্নিপতি, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের প্রভাষক ডা. এস এম জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘সে বিয়ের দিন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত মিডিয়ায় কোনো বক্তব্য-বিবৃতি দেয়নি। এটি তার পছন্দ নয়। তবে আব্রাহাম-মারিয়ার দ্বৈত জীবন সুখেই কাটছে। আব্রাহামের বিদেশ যাত্রায় অনীহা থাকায় মারিয়া মাঝেমধ্যে পিএইচডি গবেষণার কাজে জার্মান আসা-যাওয়া করেন। বর্তমানেও তিনি জার্মানি অবস্থান করছেন। কাজ শেষে হলেই ফিরবেন স্বামীর সংসারে।’