২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:২৭

চট্টগ্রামে সুযোগের অপেক্ষায় বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সুযোগের অপেক্ষায় বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট

সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন চট্টগ্রাম বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের তুলনায় বিএনপির প্রার্থীরা প্রচারণার তোড়জোড় না দেখালেও ভেতরে ভেতরে ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। ৩০ ডিসেম্বর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগানোর নানা প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা। 

আওয়ামী লীগের প্রার্থী চট্টগ্রাম-১০ আসনের এমপি ডা. আফছারুল আমীন। নগরীর হালিশহর এলকায় তার এক নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা এতোটাই বর্ণচোরা যে, তাদের চেনা কঠিন। ভেতরে ভেতরে তারা সংগঠিত হয়ে ঝোঁপ বুঝে কোপ মারার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে। একাত্তরে তারা একবার পরাজিত হলেও ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদেও চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে হবে।

একই আসনের বিএনপি প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এবারের নির্বাচন যেহেতু আমাদের আন্দোলনেরই একটি অংশ। সুতরাং এখানে একচুলও ছাড় দেওয়া হবে না। ভোট দেওয়ার মতো পরিবেশ ও সুযোগ পেলে গণরায় আসবে আমাদের পক্ষে। সারাদেশে ধানের শীষের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থীই তাদের সমোচিত জবাব পেয়ে যাবে। আমরা কেবল সুযোগের অপেক্ষায় আছি।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন আসনে পেট্রোল বোমা হামলার পুনরাবৃত্তির ঘটনায় সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ কতটুকু স্বাভাবিক থাকবে তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন যুবদল-ছাত্রদলের দায়িত্বশীল নেতা-কর্মীরা জানান, তাদের ওপর গত পাঁচবছর ধরে নির্মম অত্যাচার করা হচ্ছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে সেই অত্যাচার ও হয়রানির মাত্রা এতো বেড়েছে যে, সাধারণ কর্মী-সমর্থকরাও এখন নিজেদের বাসাবাড়িতে থাকতে পারেন না। তাই এবারের নির্বাচন এখন তাদের অস্তিত্বের লড়াই বলে। 

অন্যদিকে জামায়াত ও শিবিরের জন্য এবারের নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করতে না পারলেও তাদের শক্তি কোনো অংশেই কমেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী নির্বাচনের ঠিক আগে অথবা পরে জামায়াত-শিবির বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে। ইতিপূর্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার জালে আটকে পড়া জামায়াত-শিবিরের নেতারাও এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের কাছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবন-মরণের কঠিন পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে তারাও ‘মরণকামড়’ বসাতে নানা কৌশলে প্রস্তুতি নিয়ে ঘাপটি মেরে বসে আছে বলে মনে করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তা ব্যক্তিরা।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর