২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৪৮

চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় স্বস্তিতে ভোটাররা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় স্বস্তিতে ভোটাররা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে তৎপরত থাকায় নির্বাচনী পরিবেশে উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে। প্রচারণা শুরুর পর চট্টগ্রামে কয়েকটি আসনে সংঘর্ষসহ নানা ঘটনা ঘটলেও সেনা টহলের পর আর কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। ফলে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় চট্টগ্রামের ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে বলে প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।

শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের প্রধান প্রধান মোড়ে অবস্থান করছে পুলিশ সদস্যারা। তল্লাশি চালাচ্ছেন বিভিন্ন যানবাহন। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যারা। একই সঙ্গে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে নির্বাচনী সরঞ্জাম রাখায় এর আশপাশের সড়কে রাখা হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নগরের আন্দরকিল্লা এলাকার ভোটার সাজু আলম বলেন, ‘সেনা সদস্য মোতায়েনের পর থেকে মনে স্বস্তি ফিরেছে। আশা করছি নির্বাচনে কোনো ঘটনা ঘটবে না।’

চট্টগ্রাম-১১ (পটিয়া) আসনের ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী এ এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী হালিম বলেন, ‘আমরা চাই সুন্দর, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন পরিবেশে নির্বাচনটা সম্পন্ন হোক। ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। সেনা সদস্য মোতায়েনের পর থেকে সে পরিবেশ আসছে বলে মনে করছি। শেষ পর্যন্ত এমন দৃশ্য থাকবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

জানা যায়, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে মোতায়েন করা হয়েছে আট হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। সেনা বাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্য আছেন ১ হাজার ৪২৮ জন। এর মধ্যে নগর ও জেলার ১৫টি আসনে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীর ১ হাজার ৩২৭ জন সদস্য এবং সন্দ্বীপে দায়িত্ব পালন করবেন নৌ বাহিনীর ১০১ জন সদস্য। তাছাড়া মাঠে আছেন বিজিবি’র ২১০০, আনসার ভিডিপি’র প্রায় ২৫ হাজার সদস্য ও স্থানীয় চৌকিদার। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।  

জানা যায়, সাতজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা চট্টগ্রামের ১৬ আসনে কর্তব্যরত সেনা সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব সমন্বয় করছেন। মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতিটি সংসদীয় আসনে দায়িত্ব পালন করছেন ৩ প্লাটুন সেনা সদস্য। সেনা সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা কিংবা প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদা মতে সার্বিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তাছাড়া সন্দ্বীপে একজন সিনিয়র কর্মকর্তার নেতৃত্বে থাকবে নৌ বাহিনীর ৪ প্লাটুন সদস্য। তাঁদের সঙ্গে মাঠে থাকবেন কোস্টগার্ডের ১৩৪ সদস্যও। আছে র‌্যাবের ৪৬টি মোবাইল টিমের ৩৮১ জন সদস্য এবং পুলিশের ১৬টি স্ট্রাইকিং টিম, ১৬টি স্ট্যান্ডবাই টিম, ২০০টি মোবাইল টিমসহ ৩ হাজার ৩৩৩ জন সদস্য।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর