টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকালে জেলার ভোটকেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের ৬টিতে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা ভোট কারচুপি ও এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর) আসনে বিএনপি প্রার্থী সরকার শহীদ, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের প্রার্থী সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুর পক্ষে তার ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম তোফা, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের প্রার্থী লুৎফর রহমান খান আজাদ, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী ও টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের বিএনপি প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি করেন।এদিকে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে ধানের শীষের এজেন্টদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিউল্লাহ আল মুনির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন।
জেলার ১২টি উপজেলার ৮টি আসনে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনী এলাকায় ৭শ’ সেনাবাহিনী ১৩টি টিমে ভাগ হয়ে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ১৫টি প্লাটুনে ৩শ’ বিজিবি, ২ হাজার পুলিশ, ১৭০ জন র্যাব, ১২ হাজার আনসার সদস্য ও ৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্টেটও দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ নেই। জেলার ৮ টি আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন