মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কোন আসনে কার লড়াই

সৈয়দ আশরাফের আসনে তারই সহোদর ভাই বোনের লড়াই

সৈয়দ আশরাফের আসনে তারই সহোদর ভাই বোনের লড়াই

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আসনে তারই সহোদর ভাই বোন নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। বিষয়টি এখন মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এ আসনটিতে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ পুুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। নির্বাচিত হওয়ার পর এখানকার উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয় তার। ফলে যতবারই তিনি প্রার্থী হয়েছেন, এখানকার মানুষ তাকে ততবারই আপনজন মনে করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুর পর তারই সহোদর ছোট বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সৈয়দ আশরাফের উত্তরসূরি হিসেবে মানুষ তাকেও আপন করে নেয়। কিন্তু তার বিগত পাঁচ বছরের কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট নন দলীয় নেতা-কর্মীসহ অনেকেই। ফলে তারা পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন।

এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জাকিয়া নূর লিপিকে। আর তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারই বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে সাফায়াতকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছে। হোসেনপুর উপজেলায় তৈরি হয়েছে তার বড় একটি বলয়।

দলীয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কেন সমর্থন দিয়েছেন- এমন প্রশ্নে সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য বিগত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগকে একপ্রকার ধ্বংস করে ফেলেছেন। উন্নয়ন কর্মকান্ড তেমন কিছুই করেননি, বরং নজিরবিহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত বাহিনী তৈরি করেছেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করিনি। দলকে বাঁচানো এবং উন্নয়নের গতি বাড়ানোর জন্য এবার আমরা পরিবর্তন চাই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর