নৌকা পেয়েও স্বস্তিতে নেই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল ওদুদ। প্রতিপক্ষ হেভিওয়েট প্রার্থী না হলেও তাঁর অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। কারণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল ওদুদ নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর প্রচারণা শুরু করেছেন। অন্যদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে বিএনএমের মাওলানা আবদুল মতিন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তিনিও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আবদুল ওদুদকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে না পেরে জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বিএনএম প্রার্থী মাওলানা আবদুল মতিনের নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন এবং নৌকাকে ঠেকাতে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের নৌকার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় দলের অন্যান্য নেতা-কর্মী ছাড়াও জনমনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অনেক সাধারণ ভোটার মনে করছেন, জামায়াত-বিএনপি অধ্যুষিত এই আসনটি দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের দখলে এলেও কতিপয় নেতার বিরোধিতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে দলের সম্পর্কে খারাপ ধারণা জন্ম দিচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগ আগের মতো করুণ অবস্থার মধ্যে পড়তে পারে বলেও অনেকেই মন্তব্য করছেন। এনিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানী গণমাধ্যমের কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বলেন, গত সংসদ উপ-নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে দলের কতিপয় নেতা ষড়যন্ত্র করে লাভবান হননি। এবারও তারা নৌকার বিরোধিতা করে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারবেন না।