সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় চার নারী প্রার্থী

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় চার নারী প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১১টি আসনে ৯১ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। তাদের মধ্যে চারজন নারী প্রার্থী রয়েছেন। চারজন প্রার্থী হলেন- কুমিল্লা-১ হোমনা-মেঘনা আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহামাদ মেরী, কুমিল্লা-৬ সদর আসনের বর্তমান সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আনজুম সুলতানা সীমা, কুমিল্লা-১০ নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ, লালমাই আসনে দক্ষিণ জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মিসেস জোনাকী হুমায়ূন ও কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী বেনজির আলম অনন। তাদের মধ্যে তিনজন আলোচনায় রয়েছেন। দুজন জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র মতে, কুমিল্লা-১ হোমনা-মেঘনা আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মজিদ ও মেঘনা উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল আলমের সঙ্গে। মেরী দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ আসনে নির্বাচন করছেন। তিনি জেলার সাধারণ আসনে প্রথম নারী সংসদ সদস্য।

কুমিল্লা-৬ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনজুম সুলতানা সীমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সঙ্গে। সীমা প্রথমবারের মতো সাধারণ আসনে নির্বাচন করছেন। এর আগে তিনি কুমিল্লা পৌরসভার তিনবারের কাউন্সিলর, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। কুমিল্লা-১০ নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ, লালমাই আসনে মিসেস জোনাকী হুমায়ূনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে। জোনাকী হুমায়ূন ২০১৯ সালে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তবে বিভিন্ন কারণে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। আনজুম সুলতানা সীমা বলেন, তিন দশক রাজনীতি ও সামাজিক কাজে জড়িত আছি। নির্বাচিত হলে নির্বাচনি এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের জন্য কাজ করব।

মিসেস জোনাকী হুমায়ূন বলেন, ১৫ বছর ধরে রাজনীতি করছি। প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে ভাবছি না। সুষ্ঠু ভোট হলে বিজয়ী হব। নারীর প্রতি বৈষম্য কমাতে কাজ করব। নারী উন্নয়ন ফোরাম, কুমিল্লার সভাপতি রাশেদা আখতার বলেন, আরপিও অনুযায়ী মূল দলীয় কাঠামোতে নারীদের ৩৩ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাধকতা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। এতে রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তেমন পরিকল্পনা নেই। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লে বাড়বে নেতৃত্ব। কমবে নারীদের দুর্ভোগ।

সর্বশেষ খবর