সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিলেট-১ ও ৪ আসন

দুই মন্ত্রীর মূল চ্যালেঞ্জ ভোটার উপস্থিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

দুই মন্ত্রীর মূল চ্যালেঞ্জ ভোটার উপস্থিতি

শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। জয় অনেকটা নিশ্চিত। তারপরও মাঠে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেটের দুই মন্ত্রী। দুই মন্ত্রীর মধ্যে সিলেট-১ আসন থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও সিলেট-৪ আসনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দেশের মর্যাদাপূর্ণ আসনের মধ্যে অন্যতম সিলেট-১। ‘মিথ’ আছে পুণ্যভূমির এ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হন, সে দলই সরকার গঠন করে। দেশ স্বাধীনের পর অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনেই এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ আসন থেকে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। আসনটি থেকে জাতীয় পার্টি দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল মহানগর শাখার সভাপতি শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বাবুলকে। কিন্তু ড. মোমেনের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও ড. মোমেনকে সমর্থন দিয়ে তিনিও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে দলের ‘ডামি’ প্রার্থীরও মুখোমুখি হতে হয়নি নৌকার প্রার্থী মোমেনকে। সিলেট-১ আসনে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন অবস্থায় আছে নৌকা। তার সঙ্গে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা ফয়জুল হক, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আবদুল বাছিত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ইউসুফ আহমদ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ সোহেল আহমদ চৌধুরী। তবে এখনো মাঠে এ চার প্রার্থীর কাউকে দেখা যায়নি। কোথাও তাদের পোস্টার কিংবা প্রচারণাও পরিলক্ষিত হয়নি। যে কারণে প্রতিদ্বন্দ্বীহীন মাঠে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে। প্রতিদিনই গণসংযোগের পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলছেন। গত শনিবার তিনি নগরীর মেন্দিবাগ, ছালিম ম্যানশন, সোবহানীঘাট, কালাগুল ও আখালিয়াঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ ছাড়া তিনি জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন ও নির্বাচনি কার্যালয় উদ্বোধনও করেন তিনি। নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘সিলেটজুড়ে ভোটের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে উৎসবভাব বিরাজ করছে। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাদের রায় দেন, সেজন্য আমরা তাদের উদ্বুদ্ধ করছি। আমরা আশাবাদী ৭ জানুয়ারি মানুষ উৎসবের আমেজে ভোট দিতে আসবেন।’ সিলেট-১ এর মতো একই অবস্থা সিলেট-৪ আসনে। এ আসনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির আবুল হোসেন ও ইসলামী ঐক্যজোটের নাজিম উদ্দিন কামরান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে আবুল হোসেনকে প্রচারণায় দেখা গেলেও নাজিম উদ্দিন কামরান এখনো মাঠছাড়া। প্রতিদিনই এলাকায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর