নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকাসহ সারা দেশের আটটি বিভাগীয় অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণামূলক পোস্টার-ব্যানার, ফেস্টুন-প্লাকার্ড দেয়াল বা অন্যান্য স্থান থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে। কোথাও কোথাও পোস্টার নামানোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউব বা ফেসবুকের দেয়ালে রয়ে গেছে সেই একই ধরনের নির্বাচনী প্রচারণার অসংখ্য পোস্ট। এসব প্রচারণা বন্ধ করবে কে? এমন প্রশ্ন এখন সচেতন সব মহলে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রচারণাগুলোতে পছন্দমতো প্রার্থীর পক্ষে কেউ নৌকা মার্কায়, আবার কেউ ধানের শীষে ভোট চেয়ে ব্যানার বানিয়ে পোস্ট করে রেখেছেন। এভাবে প্রতিদিনই কেউ না কেউ নিত্যনতুন পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধিতে নির্দেশনা না থাকায় অপব্যবহারের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। তবে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আগামী ২৬ নভেম্বর এ নিয়ে আমাদের বৈঠক আছে। বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার, ফেস্টুন-প্লাকার্ড দেয়াল বা অন্যান্য স্থান থেকে নামিয়ে ফেলা হলেও প্রচারণায় সব মনোনয়নপ্রত্যাশী কিংবা প্রার্থীর অনুসারীরা সরব রয়েছেন ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কিন্তু নির্বাচনী আচরণবিধিতে এ নিয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীর ছবি, প্রতীক, রাজনৈতিক সংগঠনের প্রচারণা এসব যোগাযোগমাধ্যমে তুলেছে ঝড়।
তবে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ এলে বিধি অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিপক্ষ প্রার্থীর চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে ব্যবহূত হলে আইসিটি অ্যাক্টে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা পক্ষ প্রতিকার পেতে পারেন।