রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভোটে আছে মাঠে নেই বিএনপি

রাজশাহীর ছয়টি আসনের ৪৭ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী। এত বিপুল সংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী এর আগের সংসদ নির্বাচনগুলোতে সাক্ষাসকারে অংশ নেননি

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

দীর্ঘ সময় থেকে মাঠে নেই রাজশাহীর বিএনপি নেতারা। দলীয় কর্মসূচিতে নেননি অংশ। স্থবির দলকে চাঙ্গা করতে নেই কোনো উদ্যোগ। তৃণমূলের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে তৃণমূলে দেখা দিয়েছে চরম সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা। তবে ভোটের দামামা বেজে ওঠার কারণে মনোনয়নযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন নেতারা। এ কারণে তৃণমূল নেতা-কর্মীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, অসন্তোষ।

তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা রাজনৈতিক মাঠে অনুপস্থিত। খোঁজ রাখেন না তৃণমূল নেতা-কর্মীর। নেতা-কর্মীরা তাদের অনেককেই চেনেন না। আবার অনেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন। দল, নেতা-কর্মী ও সাংগঠনিক অবস্থানের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকেই বড় করে দেখছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ কারণেই বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেওয়ার পরই পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। ইতিমধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাসকার গ্রহণ শেষ হয়েছে। বর্তমানে নেতারা ঢাকায় অবস্থান করছেন। দলের টিকিট নিশ্চিত করার জন্য বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডসহ দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে রাখছেন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ।

রাজশাহীর ৬টি আসনে ৪৭ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী। এত বিপুলসংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী এর আগের সংসদ নির্বাচনগুলোয় সাক্ষাসকারে অংশ নেননি। মনোনয়ন চাওয়ার ক্ষেত্রে এবার অতীতের যে কোনো রেকর্ড ভেঙেছে। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে রাজশাহীর ৬টি আসনে বিএনপির ১৪ জন নেতা মনোনয়ন চান। ২০১৪ সালে শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশ না নিলেও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ২২ জন।

এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা বিএনপির সহসভাপতি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল গফুর বলেন, ‘হঠাৎ করে বিএনপিতে বসন্তের কোকিলদের আগমন ঘটেছে। দীর্ঘ সময় থেকে যারা সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় এবং তৃণমূল নেতা-কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই, তারাও মনোনয়নপ্রত্যাশী! এর ফলে তৃণমূলে অসন্তোষ বাড়বে। ব্যালট বাক্সে পড়বে এর প্রভাব।’ রাজশাহীর ৬টি আসনের মধ্যে রাজশাহী-১ থেকে তিনজন, রাজশাহী-২ থেকে দুজন, রাজশাহী-৩ থেকে ১৭ জন, রাজশাহী-৪ থেকে নয়জন, রাজশাহী-৫ থেকে সাতজন ও রাজশাহী-৬ থেকে নয়জন বিএনপি নেতা মনোনয়নের জন্য সাক্ষাসকারে অংশ নিয়েছেন। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মোহনপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুস সামাদ বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত। ক্ষমতাসীনদের নির্যাতনের মাঝেও দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আছি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর