সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিশিষ্টজনদের চোখে মনোনয়ন

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত ছিলেন একঝাঁক নেতা। এক আসনে একাধিক প্রার্থী থেকে দলের হাইকমান্ড বেছে নিয়েছে সর্বোচ্চ যোগ্য প্রার্থীকে। তাই হতাশা ঝেড়ে ফেলে দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তাদের মতামত নিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক— জয়শ্রী ভাদুড়ী।

 

দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে

— এম আবদুস সোবহান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভীষণ রকমের রাজনীতি-সচেতন এবং নির্বাচনমুখী। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। মনোনয়ন না পেলেও হতাশা ঝেড়ে ফেলে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে দলের জন্য কাজ করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, দলের হাই-কমান্ড অনেক কিছু বিচার-বিবেচনা করে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। এক আসনে ৫২ জন প্রার্থীও মনোনয়ন তুলেছে। তাই দল অবশ্যই সার্বিক বিশ্লেষণ করে সর্বোচ্চ যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতি যে কোনো দলের নেতা-কর্মীদেরই শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। মনোনয়ন না পাওয়ার হতাশাকে কোন্দল বা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাওয়া ভালো ফল বয়ে আনবে  না। এ ধরনের কর্মী সমর্থক যে কোনো রাজনৈতিক দল এবং দেশের জনগণের জন্য ক্ষতিকর। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো সংশয় নেই। নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু ভোটের জন্য।

 

সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় রাখা জরুরি

— মীজানুর রহমান

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের দলের সিদ্ধান্তে আস্থা রাখতে হবে। নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে হবে। যখন কোনো দল নির্বাচন থেকে সরে আসে তখন সে জায়গায় সন্ত্রাসী জঙ্গি গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার করে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হয় দেশ এবং দেশের জনগণ। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তাই শক্ত হাতে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। দুর্বল হলেই দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ফায়দা লোটার চেষ্টা করবে। এ ঘটনাগুলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দলকেও শক্ত হাতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। জনগণ পাশে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হবেই। 

 

 

দলের হাইকমান্ডকে দৃঢ় থাকতে হবে

— নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন উত্তোলন থেকে প্রার্থী নির্বাচন দলের জন্য এই সময়টুকু খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোভে অনেক সময়ই ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা। তাই অন্তর্কোন্দল ঠেকাতে দলের হাইকমান্ডের অবস্থান স্পষ্ট এবং দৃঢ় হতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে মনোনয়নের পরে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে। এ জন্য দলের নেতৃত্ব এবং নির্বাচন কমিটিকে শক্ত থাকতে হবে। প্রার্থীদেরও তার কর্মী-সমর্থকের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলে সেটাই তার বড় শক্তি।

সর্বশেষ খবর