নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্থানের স্থানীয় প্রশাসনে রদবদল করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা দুই ডিসি, এক এসপি, এক এডিসি ও সাত ওসি। ৩০ ডিসেম্বরের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে। জানা যায়, গত বুধবার সক্রিয় না থাকায় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সেবাস্টিন রেমা, ফরিদপুরের এডিসির (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক) বাবা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ায়, মির্জা আব্বাসের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), মির্জা ফখরুলের ওপর হামলার কারণে ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর হামলার ঘটনার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওসি প্রত্যাহারে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আর ডিসি ও এডিসিকে প্রত্যাহারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণলায়কে এ নির্দেশনা দেয় ইসি। অন্যদিকে, যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর গত ২৫ নভেম্বর নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ গোলামুর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়। তার স্থলে নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব মো. শাহরিয়াজকে। একই দিন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমানকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এসপি আনিসুর রহমানের স্ত্রী বেগম ফাতেমা তুজ জহুরা আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি হওয়ায় তার পক্ষে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব না-ও হতে পারে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বদলি করা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জে এসপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় মোহাম্মদ হারুন অব রশীদকে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা এবং রংপুরের মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া প্রচারণায় ভোট প্রার্থনা করায় গতকাল প্রত্যাহার করা হয়েছে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ওসিকে।