রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঢাকা-১২

মাঠে কেবল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সাকি

আকতারুজ্জামান

মাঠে কেবল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সাকি

ঢাকা-১২ আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাইফুল আলম নীরব, কোদাল প্রতীকে গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি (জোনায়েদ সাকি), জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে নাসির উদ্দিন সরকার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকে শওকত আলী হাওলাদার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আম প্রতীক নিয়ে শাহীন খান নির্বাচন করছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ৩৫ ও ৩৬ ওয়ার্ড নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত। সরেজমিনে এ সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা, কোদাল ও হাতপাখা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোস্টার দেখা যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিয়মিত তার নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। নৌকাকে বিজয়ী করতে প্রচারণা চালাতে মধুবাগ, মিরবাগ, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী বুথ স্থাপন করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা আসাদুজ্জামান খান কামালের নৌকা প্রতীকে বাসায় বাসায় গিয়ে ভোট চাইছেন। গত ১০ বছরে সরকারের নানা সফলতা তুলে ধরে এবারও নৌকার জন্য ভোট চাইছেন তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল চন্দ্রিমা সনাতন সংঘের এজিএমে অংশ নেন। নৌকাকে বিজয়ী করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

নাখালপাড়া বড় মসজিদে তিনি জুমার নামাজ পড়ে ভোটারদের কাছে ভোট চান। ঢাকার বিভিন্ন আসনের নৌকার প্রার্থীদের শোডাউন ছিল গুলশান ইয়ুথ ক্লাবমুখী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিশাল কর্মিবাহিনীর মিছিল নিয়ে ইয়ুথ ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন।

এ জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সঙ্গে মঞ্চে অতিথির আসনে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাতে নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এদিকে কোদাল প্রতীক নিয়ে জোনায়েদ সাকি তার নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্দিক মাস্টারের ঢালের সামনে থেকে তেজগাঁও অঞ্চলে মধ্য কুনিপাড়া, হ্যাপি হোমস, বউবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন জোনায়েদ সাকি। এ সময় তিনি বলেন, সরকারি দলের পক্ষ থেকে একাধিক নির্বাচনী বুথ স্থাপন করা হলেও তাকে নির্বাচনী বুথ স্থাপন করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শেরেবাংলানগরে একটি বুথ স্থাপন করা হলেও কিছু সন্ত্রাসী তা ভেঙে কর্মীদের মারধর করেছে। নির্বাচন কমিশন এখনো সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারেনি।

ধানের শীষ প্রতীকে সাইফুল আলম নীরব এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন। ধানের শীষের নির্বাচনী পোস্টার লাগাতে গেলে তাদের আটক করা হচ্ছে।মহিলা কর্মীরা প্রচারণা চালাতে গেলে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। তবু সব প্রতিকূলতা সামলে শিগগিরই নির্বাচনের মাঠে নামবেন তিনি। নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নীরব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর