রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভোটের মাঠে ফারুক ও পার্থ, এরশাদ সিঙ্গাপুরে

বিশেষ প্রতিনিধি

ভোটের মাঠে ফারুক ও পার্থ, এরশাদ সিঙ্গাপুরে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজধানীর অভিজাত এলাকা খ্যাত ঢাকা-১৭ আসন থেকে এবার লড়াইয়ে নামছেন ১০ প্রার্থী। তাদের মধ্যে চারজনই ভিআইপি হিসেবে পরিচিত। রাজধানীর গুলশান, বনানী, ঢাকা সেনানিবাস ও ভাসানটেকের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে আকবর হোসেন পাঠান (চিত্রনায়ক ফারুক)। ধানের শীষের প্রার্থী বিজেপির আন্দালিভ রহমান পার্থ। এই আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ মার্কায় নির্বাচন করছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এ ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের আলী হায়দার (বাঘ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এসএম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের এসএম আহসান হাবিব (মই), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিনুল হক তালুকদার (হাতপাখা), বিকল্পধারা বাংলাদেশের লে. কর্নেল ডা. অব. এ কে এম সাইফুর রশিদ (কুলা)। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুক প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নির্বাচনী এলাকার সর্বত্রই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করছেন। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ পাওয়া আন্দালিভ রহমান পার্থ প্রতীক বরাদ্দের পঞ্চম দিন থেকে গণসংযোগ শুরু করলেও তার তৎপরতা তেমন দৃশ্যমান নয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর অবস্থান করছেন। নির্বাচনের আগে তিনি ফিরবেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে জাতীয় পার্টির কেউ কিছু বলতে পারছেন না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটি থেকে এইচ এম এরশাদ এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর ২০০১ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে এই এলাকার (তৎকালীন ঢাকা-৫) এমপি হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, আওয়ামী লীগের এ কে এম রহমতুল্লাহ এবং বিএনপির মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আসনটি থেকে এমপি হন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ। এবার তিনি লড়ছেন টেলিভিশন প্রতীকে। ‘অসুস্থ’ এরশাদ নিজে মাঠে নামতে না পারলেও তার পক্ষে এই প্রচারের দায়িত্ব সামলাবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী। এই আসনে এরশাদের পক্ষে প্রচারণা খুবই সীমিত। তবে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে এরশাদের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনবারের এমপি এবং সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, ‘সিংহ যেমন বনের রাজা, আমিও তেমনি গুলশানের রাজা হতে চাই। সিংহ কখনো পরাজিত হতে পারে না।’ অবশ্য গতকাল পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় তার প্রচারণাও দৃশ্যমান নয়। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুক সর্বাত্মক প্রচারণায় নেমেছেন। শুক্রবার আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে নির্বাচনী সমবেশ করেন। নায়ক ফারুক প্রতিদিনই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্টের বিভিন্ন স্থানে নৌকার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারকালে ফারুককে দেখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের বাইরেও অনেক সাধারণ পথচারীর ভিড় করতে দেখা যায়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিজেপির আন্দালিভ রহমান পার্থ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালান ও লিফলেট বিতরণ করেন। তিনি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর