রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রচারণায় উত্তেজনা বাড়ছে রাজশাহীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে হঠাৎ করেই বেড়েছে দুই জোটে উত্তেজনা। মাঝে বিএনপি নেতা-কর্মীরা কিছুটা চুপচাপ থাকলেও এখন তারা সরব। আর এতেই বেড়েছে উত্তেজনা। দুই জোটই মাঠ দখলে রাখতে তৎপর। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে যে বিভেদ ছিল, সেটিও দূর হয়েছে। ফলে এখন প্রচারে বাড়ছে উত্তেজনা।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদের জানান, বড় দুই জোটের কিছু অভিযোগ থাকলেও ভোটের মাঠ  শান্ত। প্রার্থীরাও সহযোগিতা করছেন। ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে কোনো প্রতীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আগামীতেও যাতে না ঘটে, সে জন্য তারা তৎপর আছেন। রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তার বিরোধিতা করে প্রচারণার মাঠে ছিলেন সাত নেতা। তারা এখন ফারুক চৌধুরীর পক্ষে। দু’বারের মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক এবার বিএনপির প্রার্থী।

এলাকায় তার জনপ্রিয়তা আছে। ফলে প্রচারণায় এই আসনটিতে কে এগিয়ে থাকবেন এনিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা। ফারুক চৌধুরী কোনো অভিযোগ না করলেও বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হক অভিযোগ করেন, পুলিশি হয়রানির ভয়ে অনেক নেতাকর্মী মাঠে নামতে পারছেন না। কাউকে কাউতে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নিজ দলের লোকবল সীমিত হলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই মূলত মহাজোট প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষে মাঠ দখলে রেখেছেন। এ আসনেও প্রচারে মাঠে আধিপত্য বজায় রেখেছে নৌকা।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আয়েন উদ্দীন স্থানীয় প্রার্থী হওয়ায় প্রচারে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন।

সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনকে নগরী থেকে গিয়ে প্রচারে নামতে হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় না হওয়ায় তাকে ভোটারদের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হতে হচ্ছে। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীই প্রচারণায় আচরণবিধি মানছেন না।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে নৌকার নতুন প্রার্থী ডা. মনসুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আছেন। তবে ১২ বছর পর মাঠে নেমে শোডাউন করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন বিএনপির প্রার্থী নাদিম মোস্তফা।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ভোটের মাঠ- সবই তার দখলে।  বিএনপি নেতা জাকিরুল ইসলাম বিকুল অভিযোগ করেন, মাঠে নামলেই পুলিশ তাদের নামে মামলা দিচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর