শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ময়মনসিংহের ১১ আসনের ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

কাল সকাল থেকেই ভোট উৎসবে মাতবে ময়মনসিংহের সাড়ে ৩৭ লাখেরও বেশি ভোটার। সচেতন ভোটাররা প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের অঙ্ক কষছেন। তবে ১১ আসনেই ভোটের লড়াই হবে দ্বিমুখী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে পাঁচ থেকে ছয়টি আসনে।

ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে বিএনপি থেকে আলী আজগরকে প্রথমে মনোনয়ন দিলেও পরে আফজাল এইচ খানকে দেওয়া হয়। এমন মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্বে অনেকটাই সুবিধা করে নিয়েছে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি জুয়েল আরেং। ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে বিএনপির সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। দুই উপজেলার মধ্যে ফুলপুরে রয়েছে তার নিজস্ব ভোটব্যাংক। আওয়ামী লীগের এমপি শরীফ আহমেদের একচেটিয়া দাপট তারাকান্দার ১০ ইউনিয়নেই। সব মিলিয়ে দুই উপজেলার ২০ ইউনিয়নেই সমান দাপট আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। সুষ্ঠু ভোটে এখানে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। 

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। বিএনপি থেকে প্রথমে মনোনয়ন পান আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হীরণ। এর একদিন পরই ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল  হোসেইনকে ধানের শীষ তুলে দিলে বেকায়দায় পড়ে দলটি। ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে লড়াই হচ্ছে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবু ওয়াহাব আকন্দের। প্রচারণার প্রথম দিকে ধানের শীষের প্রার্থী মাঠ গরম রাখলেও শেষ কদিনে মহাজোটের লাঙ্গল চাঙ্গা থাকায় লড়াই জমে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) : মহাজোটের প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেএম খালিদ বাবু ও বিএনপির জাকির হোসেন বাবলুর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে বিভিন্ন সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের ভাষ্য নৌকাই এগিয়ে এই আসনটিতে। ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে ছয়জন প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিমুখী। আওয়ামী লীগের এমপি মোসলেম উদ্দিন ও বিএনপির শামছউদ্দিন আহমদের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় পার্টির ডা. কে আর ইসলাম (লাঙ্গল) নির্বাচন করায় মহাজোটের ভোটে ভাগ বসছে। ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) : আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী লড়বেন বিএনপির প্রার্থী ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সঙ্গে। সুষ্ঠু ভোটে দুই প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) : মহাজোটের প্রার্থী জাপার এমপি ফখরুল ইমাম (লাঙ্গল) এবং ঐক্যফ্রন্টের গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামানের (ধানের শীষ) মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী উপজেলা  চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান ফখরুল ইমামকে সমর্থন দেওয়ায় সুবিধাজনক অবস্থায় মহাজোট প্রার্থী। ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন ও বিএনপির খুররম খান  চৌধুরীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। এমপি তুহিন নিজ উপজেলার উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বিরামহীন গণসংযোগ চালিয়েছেন। খুররম খানও ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) : আওয়ামী লীগের এমপি ফাহমি  গোলন্দাজ বাবেল নির্বাচনী মাঠ দাবড়ে বেড়ালেও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এলডিপি নেতা সৈয়দ মাহমুদ মোরশেদ অনেকটাই নীরব ছিলেন। ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) : ভোটযুদ্ধে লড়ছেন    আওয়ামী লীগের কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ও বিএনপি থেকে ফখরউদ্দিন আহমেদ। স্থানীয়রা মনে করছেন, এই আসনটিতে তীব্র লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষে।

সর্বশেষ খবর