সুযোগের অপেক্ষায় চট্টগ্রাম বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের তুলনায় বিএনপির প্রার্থীরা প্রচারণার তোড়জোড় না দেখালেও ভিতরে ভিতরে ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। ৩০ ডিসেম্বর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগানোর নানা প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে বলে জানান চট্টগ্রাম বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা। সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য- ঐক্যফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনের ঠিক আগে অথবা পরে জামায়াত-শিবির বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে।

এদিকে ‘ঝোপ বুঝে কোপ’ দেওয়ার অপেক্ষায় বিএনপি-জামায়াতের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা- এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী চট্টগ্রাম-১০ আসনের এমপি ডা. আফসারুল আমিন। নগরীর হালিশহর এলাকায় তার এক নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা এতটাই বর্ণচোরা যে, তাদের চেনা কঠিন। ভিতরে ভিতরে তারা সংগঠিত হয়ে ঝোপ বুঝে কোপ মারার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে।’ একই আসনের বিএনপি প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এবারের নির্বাচন যেহেতু আমাদের আন্দোলনেরই অংশ, সুতরাং এখানে একচুলও ছাড় দেওয়া হবে না। সারা দেশে ধানের শীষের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থীই তাদের সমুচিত জবাব পেয়ে যাবে। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন আসনে পেট্রলবোমা হামলার পুনরাবৃত্তির ঘটনায় সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ কতটুকু স্বাভাবিক থাকবে তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন যুবদল-ছাত্রদলের দায়িত্বশীল নেতা-কর্মীরা জানান, তাদের ওপর গত পাঁচ বছর ধরে নির্মম অত্যাচার করা হচ্ছে। তাই এবারের নির্বাচন এখন তাদের অস্তিত্বের লড়াই। এ লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য তারা ‘মরণকামড়’ বসাতেও প্রস্তুত বলে জানান যুবদল-ছাত্রদলের ক্ষিপ্ত কয়েকজন নেতা।