ভোলা জেলার ৪টি আসনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল জোরদার করেছে। গতকাল সকাল থেকে ভোলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৮০০ নৌবাহিনীর সদস্য, ৮ প্লাটুন (১৯৬ জন) বিজিবি, ১৮ প্লাটুন কোস্টগার্ড সদস্য ভোলায় দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি ১ হাজার ৭০০ পুলিশ এবং ১ হাজার ৫৬০ জন আসনার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও দুজন অফিসারের নেতৃত্বে র‌্যাবের ৮টি টিম ভোলার ৪টি নির্বাচনী আসনে সার্বক্ষণিক টহলের দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়া জেলার ৪টি আসনে ৫০১ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ২,৮৪৮ জন সহকারী প্রিসাইডিং এবং ৫৭০০ পোলিং অফিসারসহ মোট ৯০৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ভোট গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে ভোলা-১ আসনে ভোটকেন্দ্র ১১৩, ভোলা-২ আসনে ১১২, ভোলা-৩ আসনে ১১৫ এবং ভোলা-৪ আসনে ১৩৬টি ভোটকেন্দ্রসহ জেলায় মোট ৪৭৬টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি কেন্দ্র দুর্গম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এদিকে শেষ পর্যন্ত ভোলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট আওয়ামী লীগের ৪, বিএনপির ৪, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৪, জাপার ২ এবং স্বতন্ত্র ১ জনসহ মোট ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। 

প্রার্থীরা হচ্ছেন ভোলা-১ আসনে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, বিএনপির গোলাম নবী আলমগীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা ইয়াছিন নবীপুরী, জাপার কেফায়েত উল্লাহ নজিব; ভোলা -২ আসনে আওয়ামী লীগের আলী আজম মুকুল, বিএনপির হাফিজ ইব্রাহিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওবায়দুর রহমান; ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, বিএনপির মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মোসলেহ উদ্দিন, জাপার মো. নুরনবী সুমন এবং ভোলা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বিএনপির নাজিম উদ্দিন আলম, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা অ্যাডভোকেট মো. মহিবুল্লাহ।

এদিকে ভোলা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আশা করেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোলায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে।