সিলেটের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে সরাসরি প্রার্থী দিয়েছিল বিএনপি। আরেকটি আসনে জোটের শরিক দলের এক প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। অপর আসনে বিএনপি প্রার্থী দিলেও তা আদালতে আটকে যায়। এ আসনে শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন গণফোরামের নেতা। নির্বাচনে এই সূর্যই উদিত হয়েছে বিজয়ের আলো নিয়ে, আর বাকি আসনগুলোতে পরাজয়ে ডুবেছে ধানের শীষ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে ধানের শীষের প্রার্থী থাকলেও একটিতেও জয় পাননি তারা। সিলেট-১, সিলেট-৩, সিলেট-৪, সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীদের ভরাডুবি ঘটেছে। এসব আসনে যথাক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং সিলেট জেলা বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের কাছে হার মেনেছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে ধানের শীষের প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধানও ছিল অনেক বেশি।
মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া এবার সুবিধা করতে পারেননি। কাল রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় প্রাপ্ত সর্বশেষ বেসরকারি ফলাফলে ইয়াহইয়ার অবস্থান ছিল চার নম্বরে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমানের চেয়ে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন মোকাব্বির খান।