৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:১১

হিলারির ভাগ্যই কি বরণ করতে হবে বাইডেনকে?

অনলাইন ডেস্ক

হিলারির ভাগ্যই কি বরণ করতে হবে বাইডেনকে?

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের লড়াই আজ। যুক্তরাষ্ট্রে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ভোটার অংশ নেবে এ নির্বাচনে। এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারণ হবে হোয়াইট হাউসের চাবি কার হাতে যাবে। ধনকুবের থেকে রাজনীতিতে এসে বিশ্ব কাঁপানো রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নাকি ডেমোক্র্যাট পার্টির আশা জাগানো প্রার্থী জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে বসবেন- তা ঠিক করবে আমেরিকানরা। হাতি ও গাধা প্রতীকের এ লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে পুরো বিশ্বই।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে ইলেকটোরাল ভোট চাই। সাধারণ জনগণের পপুলার ভোট বেশি কিন্তু দেশজুড়ে ইলেকটোরাল ভোট কম পেলে প্রার্থী পরাজিত হন। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির এই দিকটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়। কম পপুলার ভোট পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্জ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০০ সালে জর্জ বুশ নির্বাচনে ফ্লোরিডার ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে হওয়া জটিলতার কথা অনেকেরই মনে থাকার কথা। সে নির্বাচনে সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েও ওভাল অফিসে বসতে পারেননি ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী আল গোর।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে হিলারি ক্লিনটন প্রায় ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। মোট ভোটের হিসাবে এটি ছিল ২ শতাংশের চেয়ে বেশি। অথচ তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে মাত্র ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন।

ফলে ওই তিন অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যান ট্রাম্প। হিলারি পরাজিত হন। এই পদ্ধতিতে বেশ কিছু অঙ্গরাজ্য অন্যগুলোর তুলনায় বেশি ক্ষমতা পায়। এর কারণে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক, ইলিনয়, পেনসিলভেনিয়া- এই ছয় অঙ্গরাজ্যের হাতেই রয়েছে ১৯১টি ইলেকটোরাল ভোট। ‘উইনার টেক ইট অল’ নীতির কারণে এই ছয় অঙ্গরাজ্য তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর